এখানে সর্বমোট ৩ টি হাদিস সনদ সহ মান সহ বিস্তারিত বর্ননা করা হল :
★★★ ০১. হযরত মুয়াজ ইবনে জাবাল (রা.) এর হাদীস-
5665 - أَخْبَرَنَا مُحَمَّدُ بْنُ الْمُعَافَى الْعَابِدُ بِصَيْدَا، وَابْنُ قُتَيْبَةَ وَغَيْرُهُ، قَالُوا: حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ خَالِدٍ الْأَزْرَقُ، قَالَ: حَدَّثَنَا أَبُو خُلَيْدٍ عُتْبَةُ بْنُ حَمَّادٍ، عَنِ الْأَوْزَاعِيِّ، وَابْنِ ثَوْبَانَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ مَكْحُولٍ، عَنْ مَالِكِ بْنِ يُخَامِرَ عَنْ مُعَاذِ بْنِ جَبَلٍ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «يَطْلُعُ اللَّهُ إِلَى خَلْقِهِ فِي لَيْلَةِ النِّصْفِ مِنْ شَعْبَانَ فَيَغْفِرُ لِجَمِيعِ خَلْقِهِ إِلَّا لِمُشْرِكٍ أَوْ مُشَاحِنٍ»
অর্থ : হযরত মুয়াজ বিন জাবাল রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-অর্ধ শাবানের রাতে [শবে বরাতে]আল্লাহ তাআলা তাঁর সমস্ত মাখলুকের প্রতি মনযোগ আরোপ করেন এবং মুশরিক ও বিদ্বেষ ভাবাপন্ন ব্যক্তি ছাড়া সকলকে ক্ষমা করে দেন।
★ সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং-৫৬৬৫,
★ মুসনাদুল বাজ্জার, হাদীস নং-২৭৫৪,
★ মুসনাদে ইসহাক বিন রাহওয়াই, হাদীস নং-১৭০২,
★ তাবারানী : আল মুজামুল আওসাত, হাদীস নং-৬৭৭৬,
★ আল মুজামুল কাবীর, হাদীস নং-২১৫,
★ সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-১৩৯০,
★ মুসনাদুশ শামীন, হাদীস নং-২০৩,
★ মুসন্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস নং-৩০৪৭৯,
★ শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৬২০৪
★ শো’আবুল ঈমান হাদীস নং-৩৫৫২
★ সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং- ১/৪৪৫;
★ মুসনাদে আহমদ, হাদীস নং- ২/১৭৬;
★ সুনানে বায়হাকী, হাদীস নং- ৩/৩৮১; হাদীসটি সহীহ
★ কিতাবুস সুন্নাহ-১/২২৪, হাদীস-৫১২,
★ আল ইহসান-৭/৪৭,
★ মাওয়ারিদুয যমআন-৪৮৬, হাদীস-১৯৮০,
★ মাজমাউ যাওয়াইদ-৮/৬৫,
★ সিলসিলাতুস সহীহা-৩/১৩৫, হাদীস-১১৪৪,
★ আততারগীব-২/২৪২
░▒▓█► হাদীসটির মান :
হাদীসটি সম্পূর্ণ সহীহ
হাদীছটির সনদ পর্যালোচনাঃ
ইবনে হিব্বানের সূত্রে এই হাদীছে দশজন বর্ণনাকারী রয়েছেনঃ
১। মুহাম্মদ বিন আল মাআফী
তিনি সকলের নিকট নির্ভরযোগ্য।
( দেখুন কিতাবুছ ছেকাত )
২। ইবনে কুতায়বা
তিনি মুহাদ্দিছীনের দৃষ্টিতে ثقه ছিকাহ তথা নির্ভরযোগ্য।
( দেখুন আল আনসাব )
৩। হিশাম ইবনে খালিদ
তার ব্যাপারে সমকালীন হাদীছ পর্যালোচক শুআইব আল আরনাউত বলেনঃ
“ তিনি নির্ভরযোগ্য, প্রচুর ছিক্বাহ রাবীগণ তাঁর নিকট থেকে বর্ণনা করেছেন,
ক) আবু আলী আল হায়্যানী
খ) ইমাম যাহাবী
প্রমুখ তাঁকে নির্ভরযোগ্য বলেছেন।
গ) ইবনে হিব্বান কিতাবুছ ছিক্বাতে বলেন, কোন সমালোচনা আমার জানা নেই। ”
( তাহরীরঃ খ-৪, পৃ-৩৯ )
৪। উতবা বিন হাম্মাদ
এর সম্পর্কে হাদীছ পর্যালোচকগণ বলেছেনঃ
ক) হাফেয বলেনঃ তিনি সত্যবাদী।
খ) আবু আলী নিসাপুরী এবং খতীব বাগদাদী বলেনঃ তিনি নির্ভরযোগ্য।
গ) ইবনে হিব্বান তাঁকে কিতাবুছ ছিক্বাতে উল্লেখ করেছেন।
ঘ) শুয়াইব আরনাউত তাঁকে ছিক্বাহ বলেছেন।
তাঁর থেকে অসংখ্য ছিকাহ মুহাদ্দিস হাদীছ নিয়েছেন।
( দেখুন তাহরীরঃ খ-২, পৃ-৪২৯ )
৫। আলআওযায়ী
তিনি সর্বসম্মতিক্রমে সুখ্যাত ইমাম ও নির্ভরযোগ্য ব্যক্তি।
( দেখুন আল জরহু ওয়াততাদীল )
৬। আব্দুর রহমান ইবনে ছওবান।
তাঁর ব্যাপারে হাদীছ পর্যালোচকদের কিছু সমালোচনা থাকলেও তাঁর ব্যাপারে শায়খ আরনাউত্ব সুস্পষ্টভাষায় বলেন,
“ তিনি সত্যবাদী, তাঁর বর্ণিত হাদীছ গ্রহণযোগ্য কেননা
ক) আবু হাতিম
খ) দুহাইম
গ) আব্দুর রহমান বিন সালেহ আমর বিন আলী
প্রমুখ ثقه ছিকাহ বা নির্ভরযোগ্য বলে মন্তব্য করেছেন।
ঘ) ইবনে হিব্বান তাঁকে কিতাবুছ ছিকাতে উল্লেখ করেছেন।
ঙ) শায়খে বোখারী আলী ইবনিল মাদীনী ইমাম আবু যুরআহ
চ) ইমাম আবু দাউদ আল আজলী
ছ) ইয়াকুব ইবনে শাহীন
প্রমুখ তাঁর হাদীছ গ্রহণযোগ্য হওয়ার ক্ষেত্রে “ কোন অসুবিধা নেই ” বলে মন্তব্য করেছেন। ”
( দেখুন তাহরীরঃ পৃ – ২/ ৩১০ )
৭। ছাবেত ইবনে ছওবান
তিনি সর্বসম্মতিক্রমে ছিক্বাহ নির্ভরযোগ্য।
( দেখুন আততাকরীবঃ ৮১১)
৮। ইমাম মাকহূল
তিনি প্রসিদ্ধ ইমাম ও ছিকাহ হওয়ার মধ্যে কারো দ্বিমত নেই।
তাঁর ব্যাপারে ইবনু হাজার বলেনঃ
“ নির্ভরযোগ্য তবে ইরসাল বেশি করতেন। ”
( উস্তাদের নাম বিলুপ্ত করে তার উপরস্ত ব্যক্তি থেকে হাদীছ বর্ণনা করাকে ইরসাল বলে। )
৯। মালেক ইবনে ইখামের
তিনি সর্বসম্মতিক্রমে ছিক্বাহ।
মুআয বিন জাবালের সঙ্গী। তবে রসূলের ইন্তিকালের পর ইসলাম গ্রহণ করেন।
তাঁর ব্যাপারে “ আল-কাশেফ ” গ্রন্থে আছে,
“ তিনি হযরত মুআযের সঙ্গি, সাহাবী নন, নির্ভরযোগ্য। ”
( দেখুন কাশিফঃ ১/২৮১)
১০। হযরত মুআয (রঃ)
রসূল (সঃ) এর বিশিষ্ট ও সুপ্রসিদ্ধ ফক্বীহ সাহাবী।
( দেখুন আততাকরীব)
★★★ হাদীছটি সম্পর্কে মুহাদ্দিছগণের অভিমতঃ
★ হাফিয নুরুদ্দীন আলী ইবনে আবু বকর আল হাইসামী (মৃঃ ৮০৭) তাঁর ‘ মাজমায়ুয যাওয়ায়িদ ’ নামক গ্রন্থে বলেছেন,
“ উক্ত হাদীছটি তাবরানী তাঁর ‘ আল-মুজামুল কাবীর ’ এবং ‘ আওসাত ’ গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। উভয় গ্রন্থে রাবী ছিক্বাহ তথা বর্ণনাকারী নির্ভরযোগ্য। ”
( মাজমায়ুয যাওয়ায়িদঃ খ-৮, পৃ-৬৫ )
★ হাফিয ইবনে রজব আল হাম্বলী (রহঃ) মু’আয ইবনু জাবাল (রঃ) এর বর্ণিত এ হাদীছটি বর্ণনা করার পর বলেন, ইবনু হিব্বান হাদীছটিকে সহীহ (বিশুদ্ধ) আখ্যা দিয়েছেন। আর নির্ভরযোগ্যতার জন্য এটিই যথেষ্ট।
( লাতাইফ আল মারিফঃ ইবনে রজব, ১/২২৪ )
হাদীছ পর্যালোচক আদনান আবদুর রহমান বলেন, উক্ত হাদীছটি ফাযায়িলুল আওক্বাত অধ্যায়ে ইমাম বায়হাকী বর্ণনা করেছেন। আর তার সনদ হাসান।
★ আলোচ্য হাদীছ সম্পর্কে তাবরানী রচিত المعجم الكبير আলমু’জামিল কবীর গ্রন্থের মুহাক্কিক এবং বিশিষ্ট হাদীছ পর্যালোচক বলেনঃ
“ শবে বরাতের হাদীছটি বহু সূত্রে বর্ণিত আছে। যারা সূত্রগুলো সম্পর্কে অবগত তাদের নিকট হাদীছটি নিঃসন্দেহে সহীহ বলে পরিগণিত। বিশেষ করে যখন তার কিছু সূত্র حسن لذاته হাসান লিযাতিহী তথা সহীহ, যেমন হযরত মুআয (রঃ) ও হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীছের সূত্রগুলো। ”
( দেখুনঃ আলমু’জামুল কবীরের টিকাঃ খঃ ২০, পৃঃ ১০৮ )
উপরোক্ত মন্তব্যের সারমর্ম হলো মু’আয (রঃ) কর্তৃক বর্ণিত শবে বরাতের হাদীছটি মতনের দিক দিয়ে সহীহ, তবে তার সনদটি হাসান লিযাতিহী।
★ ইমাম ইবনে হিব্বান (রহ.-৩৫৪) বলেন, হাদীসটি সহীহ। সহীহ ইবনে হিব্বান-১২/৪৮১, হাদীস-৫৬৬৫।
★ আহলে হাদীসদের মহাগুরু শায়খ নাসীর উদ্দীন আলবানী(১৪২০) বলেন-
سلسلة الأحاديث الصحيحة وشيء من فقهها وفوائدها (3/ 135)
1144 - " يطلع الله تبارك وتعالى إلى خلقه ليلة النصف من شعبان، فيغفر لجميع خلقه إلا لمشرك أو مشاحن ".
حديث صحيح، روي عن جماعة من الصحابة من طرق مختلفة يشد بعضها بعضا وهم معاذ ابن جبل وأبو ثعلبة الخشني وعبد الله بن عمرو وأبي موسى الأشعري وأبي هريرة وأبي بكر الصديق وعوف ابن مالك وعائشة.
উক্ত হাদীসটি সহীহ, যা সাহাবায়ে কেরাম (রা.) এর এক বড় জামাত বর্ণনা করেছেন এবং একটি হাদীস অন্য হাদীস এর সনদকে আরো মজবুত করে তুলে। সাহাবীদের থেকে বর্ণনাকারীগণ হলেন :
(০১) হযরত মুয়াজ ইবনে জাবাল (রা.)
(০২) আবূ সালাবা আল খাসানী (রা.)
(০৩) আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রা)
(০৪) আবূ মূসা আল আশআরী (রা.)
(০৫) আবূ হুরায়রা (রা.)
(০৬) আবূ বকর সিদ্দীক (রা.)
(০৭) আউফ ইবনে মালেক (রা.)
(০৮) হযরত আয়েশা (রা.)।
Reference : সিলসিলাতুস সহীহা-৩/১৩৫, হাদীস-১১৪৪।
উপরে বর্ণিত সবক’টি বর্ণনাকারীর হাদিস তিনি তার কিতাবে আনার মাধ্যমে সুদীর্ঘ আলোচনার পর শেষে তিনি বলেন-
و جملة القول أن الحديث بمجموع هذه الطرق صحيح بلا ريب و الصحة تثبت بأقل منهاعددا ما دامت سالمة من الضعف الشديد كما هو الشأن في هذا الحديث ، فما نقلهالشيخ القاسمي رحمه الله تعالى في ” إصلاح المساجد ” ( ص ১০৭ ) عن أهل التعديلو التجريح أنه ليس في فضل ليلة النصف من شعبان حديث صحيح ، فليس مما ينبغيالاعتماد عليه ، و لئن كان أحد منهم أطلق مثل هذا القول فإنما أوتي من قبلالتسرع و عدم وسع الجهد لتتبع الطرق على هذا النحو الذي بين يديك . و الله تعالى هو الموفق
অর্থাৎ “সারকথা হল এই যে, নিশ্চয় এই হাদিসটি এই সকল সূত্র পরম্পরা দ্বারা সহীহ, এতে কোন সন্দেহ নেই। আর সহীহ হওয়া এর থেকে কম সংখ্যক বর্ণনার দ্বারাও প্রমাণিত হয়ে যায়, যতক্ষণ না মারাত্মক কোন দুর্বলতা থেকে বেঁচে যায়, যেমন এই হাদিসটি হয়েছে। আর যা বর্ণিত শায়েখ কাসেমী থেকে তার প্রণিত “ইসলাহুল মাসাজিদ” গ্রন্থের ১০৭ নং পৃষ্ঠায় জারাহ তা’দীল ইমামদের থেকে যে, “শাবানের অর্ধ মাসের রাতের কোন ফযীলত সম্পর্কে কোন হাদিস নেই মর্মে” সেই বক্তব্যের উপর নির্ভর করা যাবেনা। আর যদি কেউ তা মেনে নেয় সে হবে ঝাঁপিয়ে পড়া(ঘারতেড়া) স্বভাবের, আর তার ব্যখ্যা-বিশ্লেষণ ও গবেষণা-উদ্ভাবনের কোন যোগ্যতাই নেই এরকমভাবে যেমন আমি করলাম”। শায়েখ আলবানী এর বিশ্লেষণ থেকে একথা নির্ধিদ্ধায় আমরা বলতে পারি হাদিস দ্বারা শবে বারাআত প্রমাণিত।
★ আল্লামা মুনজেরী (রহ.-৬৫৬) বলেন উক্ত হাদীসটি সহীহ। আত তারগীব ওয়াত তারহীব-২/৭৩, হাদীস-১৫৪৬।
★ আল্লামা হায়সামী (রহ.-৮০৭) বলেন-
مجمع الزوائد ومنبع الفوائد (8/ 65)
رَوَاهُ الطَّبَرَانِيُّ فِي الْكَبِيرِ وَالْأَوْسَطِ وَرِجَالُهُمَا ثِقَاتٌ.
উক্ত হাদীসটি ইমাম তাবরানী তার মুজামুল কাবীর ও আওসাতে সংকলন করেছেন, এবং সংকলিত হাদীস এর সকল বর্ণনাকারী নির্ভরযোগ্য।
মাজমাওজ যাওয়েদ-৮/৬৫, হাদীস-১২৯৬০।
★ আল-আরনাওত এই সনাদকে সহীহ বলেছেন;
★ ইমাম মনযিরী, ইবনে রজব, নূরুদ্দীন হাইসামী, কাস্তাল্লানী, যুরকানী এবং অন্যান্য হাদীস বিশারদ এই হাদীসটিকে আমলযোগ্য বলেছেন।
Reference : আততারগীব ওয়াততারহীব ২/১৮৮; ৩/৪৫৯. লাতায়েফুল মাআরিফ ১৫১; মাজমাউয যাওয়ায়েদ ৮/৬৫; শারহুল মাওয়াহিবিল লাদুন্নিয়্যা ১০/৫৬১।
★★★ দ্বিতীয় হাদীছ (الصحيح درجة فى حسن)
হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রঃ) থেকে বর্ণিত, হুযুর (সঃ) বলেছেনঃ শাবান মাসের পঞ্চদশ রজনীর আগমণ হলে মহান আল্লাহ পৃথিবীর আসমানে তাশরীফ আনেন এবং স্বীয় বান্দাদিগকে মাফ করে দেন। কিন্তু মুশরিক ও অপর ভাইয়ের সাথে হিংসা পোষণকারী ব্যতীত।
উক্ত হাদীসটিঃ
১। ইমাম বায়হাকী তাঁর শুয়াবুল ঈমানে
২। ইমাম উকায়লী তাঁর যয়ীফা আল কাবীর
৩। বাযযার তাঁর মুসনাদে
৪। ইমাম মুনযিরী তাঁর তারগীব ওয়াত তারহীব
৫। ইমাম হাইছামী তাঁর মাজমাউয যাওয়ায়েদে
৬। ইবনে খোযাইমা তাঁর তাওহীদে
সংকলন করেছেন।
░▒▓█► হাদীসটির মান :
হাদীছটি সম্পর্কে হাদীস শাস্ত্রবিদগণের অভিমতঃ
প্রথম অভিমতঃ
হাফিয যকী উদ্দীন আল মুনযিরী (মৃঃ ৬৫৭ হিঃ) বলেনঃ বাযযার ও বাইহাকী এই হাদীছটিকে لاباس به (সনদে কোন সমস্যা নেই) সনদের সাথে বর্ণনা করেছেন।
( তারগীব ওয়াত তারহীবঃ খ-৪, পৃ-২৩৮ )
উল্লেখ্য মুহাদ্দিছগণ কোনো হাদীছের ক্ষেত্রে لاباس به বলার অর্থ হাদীছটি শক্তিশালী হওয়ার প্রতি নির্দেশক।
দ্বিতীয় অভিমতঃ
হাফিয আল-হাইছামী বলেনঃ হাদীছটি বাযযার বর্ণনা করেছেন। এর মধ্যে আব্দুল মালিক ইবনে আবিদিল মালিক নামক একজন রাবী (বর্ণনাকারী) আছে। ইবনু আবি হাতিম যাকে جرح و تعديل জরাহ ওয়াত তাদীল (দোষ-ত্রুটি পর্যালোচনা) এ উল্লেখ করেছেন। কিন্তু তাকে য’ঈফ তথা দুর্বল আখ্যা দেন নি। তাছাড়া অবশিষ্ট অন্যান্য রাবী ছিক্বাহ তথা নির্ভরযোগ্য।
( মাজমাউয যাওয়ায়েদ )
বলা বাহুল্য, ইবনু আবি হাতিম যদি কোন রাবী এর দোষ-ত্রুটি পর্যালোচনার ব্যাপারে নীরবতা অবলম্বন করেন, তখন তার অর্থ হচ্ছে, রাবী নির্ভরযোগ্য। তাই এই দৃষ্টিকোণে উক্ত হাদীছটির সকল রাবী ছিক্বাহ বা নির্ভরযোগ্য।
এ প্রসঙ্গে قواعد فى علوم الحديث এ আল্লামা যফর আহমদ ওছমানী (রহঃ) বলেনঃ
“ তাঁর অবদান এই যে, ইবনু আবি হাতিম কোনো রাবী এর দোষ-ত্রুটি পর্যালোচনা করার ব্যাপারে নিশ্চুপ থাকার অর্থ দাঁড়ায় ওই রাবী ছিক্বাহ ও নির্ভরযোগ্য। ঠিক ইমাম বুখারী (রহঃ) এর নীরবতা অবলম্বন করার মতো। ”
( ক্বাওয়ায়িদ ফী উলূমিল হাদীছঃ পৃ-৩৫৮ )
তৃতীয় অভিমতঃ
হাফিয ইবনু আদী আল জুরজানী (মৃঃ ৩৬৫) বলেনঃ আমি ইবনু হাম্মাদকে বলতে শুনেছি, তিনি বলেনঃ ইমাম বুখারী (রহঃ) বলেছেন, আব্দুল মালিক ইবনু আবদিল মালিক মুস’আব ইবনু আবি যিব থেকে আর তার (আব্দুল মালিক ইবনু আবদিল মালিক) থেকে আমর ইবনু হারিস এর বর্ণনা করার বিষয়টি বিবেচনার বিষয়। (অতঃপর হাফিয ইবনু হাদী আল জুরজানী বলেন) আবদুল মালিক ইবনু আবদিল মালিক হাদীছটির সাথে মারূফ। আ’মর বিন হারিস ব্যতীত উক্ত হাদীছটি আবদুল মালিক থেকে আর কেউই বর্ণনা করে নি। আর হাদীছটি এই সনদের সাথে মুনকার।
উক্ত অভিমতের পর্যালোচনাঃ
১। ইমাম বুখারী (রহঃ) আবু বকর সিদ্দীক (রঃ) কর্তৃক বর্ণিত এই হাদীছটির ব্যাপারে যে বলেছেন وفيه نظر তথা তার মধ্যে বিবেচনার বিষয় রয়েছে - এর দ্বারা মূল হাদীছটি সহীহ প্রমাণ হওয়ার ব্যাপারে কোন সমস্যা সৃষ্টি হয় না।
উল্লেখ্য যে, ইমাম বুখারী (রহঃ) এ হাদীছের সূত্রকে وفيه نظر বলার মূল কারণ হলো “ عبد الملك بن عبد الملك ” নামক রাবী তাঁর দৃষ্টিতে দুর্বল হওয়ার দরুণ, অন্যথায় এ হাদীছের সূত্রের অন্য কোন রাবীর ব্যাপারে কারো কোন আপত্তি নেই।
চতুর্থ অভিমতঃ
ইমাম উকায়লী (রহঃ) আলোচ্য হাদীছটিকে তার الضعفاءالكبير গ্রন্থের বিবরণ তুলে ধরে মন্তব্য করেন যে,
পঞ্চদশ শা’বান রজনীতে আল্লাহতাআলা দুনিয়ার আসমানে অবতরণ করেন মর্মে যেসব হাদীছ বর্ণিত হয়েছে তার মধ্যে لين তথা কিছু কমজুরী রয়েছে। তবে প্রত্যেক রাতে আল্লাহ তাআলার অবতরণের কথা বহু সহীহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত। কাজেই মধ্য শাবানের রজনীতেও মহান আল্লাহর অবতরণের বিষয়টি এসব সহীহ হাদীছেরই অন্তর্ভুক্ত বলে বিবেচিত।
( যয়ীফা আল কাবীরঃ খ-১, পৃ-২৯)
সুতরাং নুযুলে রবের হাদীছ দ্বারা হাদীছে আবী বকরের পূর্ণ সমর্থন পাওয়ায় হাদীছটি শক্তিশালী হয়ে উঠায় মূল হাদীছকে সহীহ বলতে হবে।
পঞ্চম অভিমতঃ
ইমাম তাবরানী (রহঃ) তার স্বীয় ( المعجم الكبير ) গ্রন্থে হাদীছটিকে উল্লেখ করার পর এ কিতাবের মুহাক্কিক বলেনঃ
এ হাদীছটি বহু সূত্রে বর্ণিত। যারা এ ব্যাপারে অবগত আছে তাদের দৃষ্টিতে নিঃসন্দেহে এটি সহীহ বলে সাব্যস্ত। বিশেষ করে যখন এ ব্যাপারে কয়েকটি হাদীছ “ حسن لذاته ” তথা সহীহ সূত্রে প্রমাণিত। যেমনঃ হযরত মুয়ায (রঃ) ও হযরত আবু বকর (রঃ) থেকে বর্ণিত হাদীছগুলো।
( মুজামুল কাবীরঃ খ-২০, পৃ-১০৮ )
এতে প্রমাণিত হয় যে, শবে বরাত সম্পর্কীয় হাদীছসমূহে হযরত মুয়ায ও আবু বকর থেকে বর্ণিত হাদীছগুলো সূত্রের দিক দিয়ে প্রত্যেকটি স্বতন্ত্রভাবে সহীহ বলে সাব্যস্ত।
সার কথাঃ
হযরত আবু বকর সিদ্দীক (রঃ) কর্তৃক বর্ণিত আলোচ্য হাদীছটি সহীহের অন্তর্ভুক্ত।
হাফিয যকী উদ্দীন আল মুনযিরী
ইমাম তাবরানী
ইমাম উকায়লী
হাফিয আল-হাইছামী
প্রমুখ বড় বড় মুহাদ্দিসগণ হাদীসটির সহীহ হওয়াতে সত্যয়ন করেছেন।
★★★ তৃতীয় হাদীছ (حسن)
হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) এর হাদীস-
مسند أحمد (6/ 197)
6642 - حدثنا حسن حدثنا ابن لَهِيعة حدثنا حييُّ بن عبد الله عن أبي عبد الرحمن الحُبُلّي عن عبد الله بن عمرو، أن رسول الله -صلي الله عليه وسلم - قال: "يطَّلعُ الله عَزَّ وَجَلَّ إلي خلقه ليلةَ النصف من شعبان، فيغفر لعباده، إلا لاثنين: مشاحنٍ، وقاتِلِ نفسٍ".
অর্থ : হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন : ১৫ই শা’বানের রাত্রে আল্লাহ পাক তার বান্দাদের ক্ষমা করে দেন দুই ব্যক্তি ছাড়া। এক. পরশ্রীকাতর। দুই. অন্যায় ভাবে কাউকে হত্যাকারী।
Reference :
★ মুসনাদে আহমদ-৬/১৯৭, হাদীস-৬৬৪২,
★ মাজমাউস জাওয়ায়েদ-৮/৬৫, হাদীস-১২৯৬১,
★ আত তারগীব ওয়াত তারহীব লিল মুনজেরী-৩/৩০৮, হাদীস-৪৮৯২।
░▒▓█► হাদীসটির মান :
উক্ত হাদীসটি হাসান তথা প্রমাণযোগ্য।
★ হাদীস এর সূত্রের মাঝে একজন বর্ণনাকারী হলেন ‘‘ইবনে লাহিয়া’’ কতক ইমাম তার সিকাহ বা নির্ভর হওয়ার বিষয়ে দ্বিমত পোশন করেছেন কিন্তু সঠিক সমাধান :-
★ আল্লামা ইবনে হাজার আসকালানী (রহ.),
★ ইমাম আবূ হাফস ওমর ইবনে শাহিন (রহ.),
★ আহমদ ইবনে সালেহ আল মিসরী, তাকে সিকাহ বা নির্ভরযোগ্য বলে মন্তব্য করেছেন।
★ ইমাম আব্দুল্লাহ ইবনে ওহাব আল মিসরী বলেন- الصادق البار
★ ইমাম আব্দুর রহমান ইবনে ইউসূফ ইবনে খেরাশ (রহ.) বলেন- يكتب حديثه
★ হফেজ যাহাবী (রহ.) বলেন-ذكره في الكاشف ، وقال : العمل على تضعيف حديثه
★ আর আল্লামা হায়সামী (রহ.) বলেন-
رَوَاهُ أَحْمَدُ، وَفِيهِ ابْنُ لَهِيعَةَ وَهُوَ لَيِّنُ الْحَدِيثِ، وَبَقِيَّةُ رِجَالِهِ وُثِّقُوا.
★ অন্যত্র আল্লামা হায়সামী (রহ.) তার সূত্রে বর্ণিত হাদীসকে হাসান বলে মন্তব্য করেছেন।
❀ এছাড়াও ইমাম মুসলিম (রহ.) তার সহীহ মুসলিমে ‘‘ইববে লাহিয়ার’ সনদে বর্ণিত হাদীসকে উল্লেখ করছেন-
অতঃপর ইমাম মুসলিম (রহ.) নিজ উস্তাদ আল্লামা মুরাদী (রহ.-২৪৮) এর উক্তি উল্লেখ করেছেন যে, তিনি বলেন নিন্ম হাদীসটি আমি শুনেছি ইবনে ওহাব থেকে, তিনি ‘‘ইবনে লাহিয়া’’ থেকে, তিনি আমর ইবনে হারেস থেকে বর্ণনা করেছেন।
সহীহ মুসলিম-১/৪৩৫, হাদীস-৬২৪।
এ হাদীছ সম্পর্কে হাদীছ বিশারদগণের উক্তিঃ
প্রথম উক্তিঃ
আল মুনযিরী হাদীছটিকে আততারগীব ওয়াত-তারহীব গ্রন্থে উল্লেখ করে বলেছেনঃ হাদীছটি ইমাম আহমদ (রহঃ) লায়্যিন (শিথীল) সনদ দ্বারা বর্ণনা করেছেন।
( আত তারগীব ওয়াত তারহীবঃ খ-৪, পৃ-২৩৯ )
দ্বিতীয় উক্তিঃ
আল হাইসামী বলেনঃ হাদীছটি ইমাম আহমদ (রহঃ) বর্ণনা করেছেন। তার সনদে ইবনু লাহীআহ নামক জনৈক রাবী রয়েছেন, হাদীছে তার নির্ভরযোগ্যতা দুর্বল। এছাড়া উক্ত হাদীছের অবশিষ্ট রাবীগণ নির্ভরযোগ্য।
( মাজমাউয যাওয়ায়েদঃ খ-৮, পৃ-৬৫ )
হাফিয আল হাইসামী এর এই উক্তি দ্বারা বুঝা যায় যে, উক্ত হাদীছের সনদে ইবনু লাহীআহ ব্যতীত অন্যান্য সকল রাবী ছিক্বাহ তথা নির্ভরযোগ্য। শুধু মাত্র ইবনু লাহীআহ সম্পর্কে মুহাদ্দিছগণ প্রশ্ন তুলেছেন।
কে ইবনু লাহীআহ, নিম্নে তার পরিচয় এবং মুহাদ্দিছদের দৃষ্টিতে হাদীছ শাস্ত্রে তার অবস্থানও আলোকপাত করা হলোঃ
ইবনু লাহীআহ সম্পর্কে হাদীছ পর্যালোচকদের মন্তব্যঃ
আব্দুল্লাহ ইবনু লাহীআহ ইবনে আকবাহ ইবনু ফাআন ইবনু সাওবান আল হাযরামী হাদীছ শাস্ত্রের একজন রাবী।
১। ইমাম বুখারী, ইমাম মুসলিম ও ইমাম নাসাঈ প্রমুখও তাঁর থেকে হাদীছ বর্ণনা করেছেন।
( অতএব, যারা ইবনু লাহীআহকে দুর্বল মনে করে এই হাদীসকে দুর্বল বলে রায় দেন, তাদের উদ্দেশ্যে বলছি, আপনাদের মতানুসারে তাহলে তো সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিম শরীফে ইবনু লাহীআহ কর্তৃক বর্ণনাকৃত হাদীসও দুর্বল হয়ে যাবে। কিন্তু আপনাদের কাউকেই তো কখনো বুখারী শরীফের কোন হাদীসকে দুর্বল বলতে শুনি নি !! )
২। ইবনু সালাহ বলেনঃ ইবনু লাহীআহ বাহাত্তর জন তাবিঈর সাক্ষাত লাভ করেছেন।
( দেখুনঃ ইবনু হাজার, তাহযীবুত তাহযীবঃ ৫ম খঃ পৃঃ ৩২৭-৩২৮ )
৩। কোন কোন কট্টরপন্থী হাদীছ বিশারদ যেমনঃ ইবনু মঈন, আলী ইবনুল মাদীনী প্রমূখের মতে ইবনু লাহীআহ একজন দুর্বল রাবী। যথা এ সুবাদে ইবনু মঈন এর বক্তব্য হচ্ছেঃ
“ ইবনু লাহীআহ একজন যঈফ রাবী। তাঁর হাদীছ দ্বারা দলীল পেশ করা যাবে না। ”
( দেখুনঃ সিয়ারু আলামিন নুবালাঃ খ-৮, পৃ-২১; তাহযীবুত তাহযীবঃ খ-৫, পৃ-৩৩১; মীযানুল ইতিদালঃ খ-২, পৃ-৪৭৫ )
৪। আর আলী ইবনুল মাদীনী তাঁর সম্পর্কে বলেছেনঃ
“ আমাকে বিশর ইবনুস সিররী বলেছেনঃ যদি তুমি ইবনু লাহীআহকে দেখতে তাহলে তার প্রতি সহনশীলতা প্রদর্শন করতে না। ”
( দেখুনঃ তাহযীবুত তাহযীবঃ খ-৫, পৃ-৩৩১; মীযানুল ইতিদালঃ খ-২, পৃ-৪৭৬ )
৫। কিন্তু অধিকাংশ মুহাদ্দিস ইবনু লাহীআহকে ছিক্বাহ বলে আখ্যায়িত করেছেন।
যেমনঃ ইমাম আহমদ (রহঃ) বলেনঃ
“ অধিক হাদীছ বর্ণনা, সংরক্ষণ এবং নিখুঁত হাদীছের ক্ষেত্রে মিশরে ইবনু লাহীআহ এর সমকক্ষ আর কে হতে পারে? ”
( সিয়ারু আলামিন নুবালাঃ খ-৮, পৃ-১৩; মীযানুল ইতিদালঃ খ-২, পৃ-৪৭৭; তাযকিরাতুল হুফফাজঃ খ-১, পৃ-২৩৮ )
৬। ইমাম ছওরী (রহঃ) বলেনঃ
“ ইবনু লাহীআহ এর কাছে রয়েছে হাদীছশাস্ত্রের মূলনীতি আর আমাদের কাছে রয়েছে শাখা-প্রশাখা। ”
( তাযকিরাতুল হুফফাজঃ খ-১, পৃ-২৩৯; তাহযীবুত তাহযীবঃ খ-৫, পৃ-৩২৬; সিয়ারু আলামিন নুবালাঃ খ-৮, পৃ-১৩ )
৭। ইবনু ওহাব বলেনঃ
“ আল্লাহর কসম, আমাকে সৎ ও সত্যবাদী আব্দুল্লাহ ইবনু লাহীআহ হাদীছ বর্ণনা করেছেন। ”
( মীযানুল ইতিদালঃ খ-২, পৃ-৪৭৭; তাহযীবুত তাহযীবঃ খ-৫, পৃ-৩২৬ )
৮। আহমদ ইবনু সালেহ বলেনঃ
“ ইবনু লাহীআহ ছিক্বাহ। তাঁর বর্ণিত যেসব হাদীছে মিশ্রণ রয়েছে সেই মিশ্রণকে প্রত্যাখান করা হবে। ”
( তাহযীবুত তাহযীবঃ খ-৫, পৃ-৩৩১ )
সারকথাঃ
উল্লেখিত আলোচনা দ্বারা প্রতীয়মান হয় যে, কোন কোন কট্টরপন্থী মুহাদ্দিছ ইবনু লাহীআহকে দুর্বল আখ্যায়িত করলেও কিন্তু তাঁর দুর্বলতা এই পর্যায়ে নয় যে, তাঁর বর্ণিত হাদীছ একেবারে গ্রহণযোগ্য হবে না। উপরন্তু বহু মুহাদ্দিছ তাঁর হাদীছ দ্বারা দলীল পেশ করেছেন এবং তাঁর বর্ণিত হাদীছকে ‘হাসান’ স্তরের বিবেচনা করেছেন।
যেমনঃ হাফিয হাইসামী (রহঃ) বলেনঃ
“ … এখানে ইবনু লাহীআহ নামক একজন রাবী রয়েছে। একাধিক মুহাদ্দিছ তাঁর হাদীছ দ্বারা দলীল পেশ করেছেন। ”
( মাজমাউয যাওয়ায়েদঃ খ-১, পৃ-১৬ )
অন্যত্র তিনি লিখেনঃ
“ … হাদীছটি ইবনু লাহীআহ বর্ণনা করেছেন। তার মধ্যে কিছু দুর্বলতা রয়েছে। তবুও তার হাদীছ হাসান। ”
( মাজমাউয যাওয়ায়েদঃ খ-৮, পৃ-১০২ )
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন