শুক্রবার, ৯ অক্টোবর, ২০১৫

"মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক" কিতাবটির হারিয়ে যাওয়া অধ্যায়ের ইতিহাস :-

জগত বিখ্যাত মুহাদ্দিস ইমাম আব্দুর রাজ্জাক ইবনে হুমাম (রহ) : তিনি ছিলেন ইমাম বুখারীর দাদা ও ওস্তাদ।তাছাড়া অনেক সহিহ হাদিস সংকলক ইমামগনের শিক্ষক।


প্রথমেই একটা কথা বলে রাখা ভাল নয়ত ঘটনাটা ওহাবীদের যুক্তির কাছে হারা মানানো কিছুই না। যেমন কথোপকতন হতে পারে এমন :

তাদের যুক্তি : মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক" কিতাবে হাদিসে নুর নেই।
জবাব : অবশ্যই আছে।
তাদের যুক্তি : থাকলে ২০০৫ সালে কেন প্রকাশ হল তাও অন্য অধ্যায়ে আলাদা করে?
জবাব : ২০০৫ সালে আপনাদের কারচুপি গুলো মারাত্মক আকারে রুপ নিয়েছে। তাই যখন ধরা পেতেছে সেটা তখন দেশ বরন্যে সুন্নী আলেমগন (ইসা ইমাঈরি) এর তালাশ শুরু করে। অবশেষে পেয়ে সেটা সওদী থেকেই তা প্রকাশ করে।

যদি এটা জাল হাদিসের কিতাব হত তবে সওদী সরকার সর্বপ্রথম ওনাকে গ্রেফতার করতেন।
অপর দিকে তারা আবার ওহাবী সরকার তারপরও ওনার বিরোদ্ধে কোন action নিতে পারেন নি কেন?

তাদের যুক্তি : এসব বলে লাভ নেই প্রমান দেখাতে হবে।
জবাব : শত শত বছর আগে থেকে প্রত্যেক যুগের ইমামগন এই হাদিস লিপিবদ্ধ করেছেন।
এটাই এর অস্তিত্ব প্রমান করে। এমনকি আপনাদের গুরু আশরাফ আলী থানভীও এই হাদিস (ইমাম আব্দুর রাজ্জাক)  থেকে বর্নিত সনদ বলে উল্লেখ করে গেছেন।

তাদের যুক্তি : ঠিক আছে তাহলে প্রমান দেখান সেটা বিভিন্ন কিতাবে আছে। তবেই মানব যে না এটা "মুসান্নাফে আব্দুর রাজ্জাক" এ ছিল।

জবাব : প্রমান ১টা হাদিসের আলোচনা করেছি দেখুন আর কোন হাদিস নেই শুধু ১টা হাদিস যারা যারা বিভিন্ন কিতাবে সমর্থন দিয়ে লিখেছেন তাই তুলে ধরলাম।

জাবির (রা) এর হাদিসে নুর বিশ্লেষণ (পর্ব ১)

http://sunni-encyclopedia.blogspot.com/2015/09/blog-post_37.html?m=1

জাবির (রা) এর হাদিসে নুর বিশ্লেষণ (পর্ব ২)

http://sunni-encyclopedia.blogspot.com/2015/10/blog-post_48.html?m=1

নুর সম্পর্কে ৪০+ লিংক এখানে দেয়া আছে চাইলে পড়তে পারেন :

http://sunni-encyclopedia.blogspot.com/2015/09/blog-post_37.html?m=1

ওহাবীদের হাদিস কারচুপির ইতিহাস :

এটা তো আর হাদিস নয় যে কিতাবে পাওয়া যাবে এটা ওহাবীদের ভন্ডামীর ইতিহাস । আলহামদুলিল্লাহ যা আজ সর্বপ্রথম আমি (মাসুম বিল্লাহ সানি - Sunni-enchyclopedia ব্লগ থেকে) বিস্তারিত ভাবে ইন্টারনেট এ তথ্য সহকারে তুলে ধরলাম।

এটা তো নতুন নয় তাদের অবস্থা হল কুকুরের লেজ যা সোজা হবার মত নয় তারা যে কি করছে তার এখানি ঝলক দেখতে এই লিংকে যান। যারা স্বার্থ উদ্ধারের জন্য হাদিসের কিতাব তো বাদই দিলাম নিজেদের গুরুদের কিতাব পর্যন্ত বিকৃত করতে পারে তাদের কথা আর কি বলব।

দেওবন্দীদের মিথ্যাচার এমন পর্যায়ে গেছে যে তাদের নেতাদের কিতাব নিয়ে পর্যন্ত মিথ্যাচার শুরু করেছে :

http://sunni-encyclopedia.blogspot.com/2015/10/blog-post_89.html?m=1




হারিয়ে যাওয়া খন্ড :

এতে মোট ৪০ টি হাদিস আছে।

১) রাসুল (সা) এর নুর সম্পর্কে ১৮ টি হাদিস
২) কিতাবুত তাহারাত থেকে ২২ টি হাদিস
আল্লামা ইসা হিমাইরি এর ভুমিকায় লিখেছেন এটি ৫০০ বছর আগের সংগ্রহিত কিতাব।
তিনি উক্ত হাদিসের সনদ ও রাবীগনের বিশ্বস্ততা টিকা আকারে লিখে দিয়েছেন। শুধু তাই নয় উক্ত হাদিসগুলো হাদিস শাস্ত্রের কোন কোন কিতাবে রয়েছে তাও উল্লেখ করেছেন।

তাছাড়া ইমাম আবু সা'দ নিশাপুরী খারকুশী (রহ) [ওফাত ৪০৭ হিজরি]  তিনি তার প্রসিদ্ধ সিরাত গ্রন্থ (শরফুল মুস্তফা ১/৩০৭ পৃষ্টা তে) হাদিসটি সংকলন করেছেন। যদি এটা ২০০৫ সালেই বানানো হাদিস হতো (নাউযুবিল্লাহ) ১০০০ বছর আগের ইমাম কিভাবে এই হাদিস পায়?








কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন