সাবধান ! পুরু পোস্ট না পড়লে বিভ্রান্তিতে পতিত হবেন।
উক্ত পোস্ট এ যা যা আলোচনা করা হয়েছে : পুরু পোস্ট না পড়লে বিভ্রান্তিতে পতিত হবেন।
১) আল্লাহর ইলমে গায়েবের আয়াত সমুহ। আল্লাহ স্বত্তাগত ভাবে গায়েব জানেন। রাসুলগন আল্লাহর খাস গায়েব (বা সম্পুর্ন গায়েব জানেন না)
২) আল্লাহ রাসুলুল্লাহ (সা) ও মনোনিত রাসুলগনকে গায়েব জানিয়েছেন। আর এ সংবাদ কখনো ফেরেশতা,কখনো ওহী এবং কখনো আল্লাহ সরাসরি জানিয়েছেন (যেমন: মেরাজ এ)।
৩) গায়েব সম্পুর্ন জানা এবং নিজে নিজে জানা এটা প্রভুর শানেই মানায় তাই বলে আল্লাহ যাকে গায়েব জানিয়েছেন তার সেই প্রদত্ত গায়েব তো অস্বীকার করলে আল্লাহ আয়াতকেই অস্বীকার করা হবে তখন কুফর হবে।
তিনিই অদৃশ্যের জ্ঞানী, আর তিনি তাঁর অদৃশ্যের জ্ঞান কারো কাছে প্রকাশ করেন না কিন্তু তাঁর মনোনীত রাসূল ব্যতীত (তাদেরকে ইচ্ছা অনুযায়ী দান করেন) আর তিনি তখন তার সামনে ও তার পিছনে প্রহরী নিযুক্ত করেন। আল-জিন, ৭২:২৬-২৭
এগুলো গায়েবের সংবাদ, আমি তোমাকে ওহীর মাধ্যমে তা জানাচ্ছি। (আল-ইমরান ৩:৪৪)
হে রাসূল! তোমার রবের পক্ষ থেকে তোমার নিকট যা অবতীর্ণ করা হয়েছে, তা তুমি পৌঁছে দাও। (মায়েদা ৫:৬৭)
Note: এই আয়াত দ্বারা স্পষ্ট হয় যে আল্লাহ যতটুকু নির্দেশ করেছেন ততটুকুই প্রচার করা হয়েছে তার মানে এই নয় রাসুলুল্লাহ (সা) যতটুকু গায়েব জানতেন পুরুটাই বলে দিয়েছেন শুধু মাত্র আদিষ্ট জ্ঞানগুলোই প্রচার করেছেন।
- আরো স্পষ্ট বুঝার জন্য একটি হাদিস দিলাম :
রাসুল (সা) ইরশাদ করেন,
"আল্লাহ দাতা আর আমি বন্টনকারী।"
★ সহীহ বোখারী শরীফ , হাদীস নং- ২৮৯৩ , ২৮৭১
( ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ) ,
★ বুখারী ১ম খন্ড , ৭৮ পৃষ্ঠা / ৭১ , ২৮৮২ (আধুনিক প্রকাশনী)
★ বুখারী ৩১১৬ , ৩৬১৪ , ৭৩১২ , ৭৪৬০ (তাওহীদ পাবলিকেশন্স)
★ বুখারী : ৭১ , ৩১১৬ (আলবানী একাডেমী , ১ম খন্ড , ১১৬ পৃষ্ঠা)
★ সহীহ মুসলিম শরীফ , ১২/৩৩ , হাদীস নং- ১০৩৭
★ মুসলিম (ফুয়াদ আব্দুল বাকী'র নম্বর) , ২২৫৮
★ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার এর নম্বর) , ২২৭৯
★ (আহলে হাদীস লাইব্রেরী , ৩য় খন্ড , অনুচ্ছেদ নং- ৩৩ , পৃষ্ঠা নং- ৪৮)
★ মুসনাদে আহমদ , হাদীস নং- ১৬৮৪৯ , ১৬৮৭৮ , ১৬৯১০
★ সুনানে আদ দারেমী , হাদীস নং- ২৩০
↓
১) হযরত ওক্ববাহ রাদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহু বলেন, হুযূর সাল্লাল্লাহু
তায়ালা আলায়হি ওয়াসাল্লাম এরশাদ
করেন- “নিশ্চয় আমাকে পৃথিবীর সমস্ত
ধনভাণ্ডারের চাবিগুচ্ছ দেওয়া হয়েছে ।”
[বোখারী শরীফ ২য় খণ্ড ৫৫৮ পৃঃ, মুসলিম
শরীফ ২য় খণ্ড ২৫০ পৃঃ]
↓
২) হযরত আবু হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহু বলেন, হুযূর সাল্লাল্লাহু
তায়ালা আলায়হি ওয়াসাল্লাম এরশাদ
করেন- “আমাকে যমীনের সমস্ত ধনভাণ্ডার
দেওয়া হয়েছে ।”
[বোখারী শরীফ ২য় খণ্ড ১০৪২ পৃঃ, মুসলিম
শরীফ ২য় খণ্ড ২৪৪]
↓
৩) হযরত জাবির রাদ্বিয়াল্লাহু
তায়ালা আনহু বলেন, হুযূর সাল্লাল্লাহু
তায়ালা আলায়হি ওয়াসাল্লাম এরশাদ
করেন- “আমাকে সমস্ত দুনিয়ার চাবিগুচ্ছ
দেওয়া হয়েছে । হযরত জিব্রাঈল আমীন
আলায়হিস সালাম সেগুলোকে সাদা-
কালো (মিশ্রিত) রঙের ঘোড়ার উপর
রেখে আমার নিকট এনেছে, আর (তখন) ওই
চাবিগুচ্ছের উপর রেশমী চাদর ছিল।”
[খাসাইসে কুবরা ২য় খণ্ড ১৯৫ পৃঃ,
যারক্বানী আলাল মাওয়াহিব ৮ম খণ্ড
১২৬০ পৃঃ, সিরাজুম মুনীর ১ম খণ্ড ৪৩ পৃঃ]
আল্লাহ সত্তাগতভাবে আলিমুল গায়েব আর রাসুল (সা) কে যতটুকু গায়েব দান করা হয়েছে তিনি সেই টুকু গায়েবের আলিম :-
ل لاَّ أَقُولُ لَكُمْ عِندِي خَزَآئِنُ اللّهِ وَلا أَعْلَمُ الْغَيْبَ وَلا أَقُولُ لَكُمْ إِنِّي مَلَكٌ إِنْ أَتَّبِعُ إِلاَّ مَا يُوحَى إِلَيَّ قُلْ هَلْ يَسْتَوِي الأَعْمَى وَالْبَصِيرُ أَفَلاَ تَتَفَكَّرُونَ (50
আপনি বলুনঃ আমি তোমাদেরকে বলি না যে, আমার কাছে আল্লাহর ভান্ডার রয়েছে। তাছাড়া আমি অদৃশ্য বিষয় (নিজের নিজে) অবগতও নই।
আমি একথাও বলি না যে, আমি ফেরেশতা (কিন্তু আমি বাশার)।
আমি তো শুধু ঐ ওহীর অনুসরণ করি, যা আমার কাছে আসে। আপনি বলে দিনঃ অন্ধ ও চক্ষুমান কি সমান হতে পারে? তোমরা কি চিন্তা কর না।
★Reference : সুরা আনআম ৫০
عِندَهُ مَفَاتِحُ الْغَيْبِ لاَ يَعْلَمُهَا إِلاَّ هُوَ وَيَعْلَمُ مَا فِي الْبَرِّ وَالْبَحْرِ وَمَا تَسْقُطُ مِن وَرَقَةٍ إِلاَّ يَعْلَمُهَا وَلاَ حَبَّةٍ فِي ظُلُمَاتِ الأَرْضِ وَلاَ رَطْبٍ وَلاَ يَابِسٍ إِلاَّ فِي كِتَابٍ مُّبِينٍ (59
তাঁর কাছেই অদৃশ্য জগতের চাবি রয়েছে। এ গুলো তিনি ব্যতীত কেউ জানে না। স্থলে ও জলে যা আছে, তিনিই জানেন। কোন পাতা ঝরে না; কিন্তু তিনি তা জানেন। কোন শস্য কণা মৃত্তিকার অন্ধকার অংশে পতিত হয় না এবং কোন আর্দ্র ও শুস্ক দ্রব্য পতিত হয় না; কিন্তু তা সব প্রকাশ্য গ্রন্থে রয়েছে।
Reference : সুরা আনআম ৫৯
★ ৫৯নং আয়াতে কারীমার প্রসঙ্গে কিছু বলতে চাই। সূরা আনয়ামের ৫০নং আয়াতে কারীমা আগে সূরা হুদের ৩১নং আয়াতে কারীমা সেখানে রয়েছে, হযরত নূহ (’আলাইহিস সালাম) তাঁর কওমকে বলেছিলেন: “আর আমি তোমাদেরকে বলি না যে, আমার কাছে আল্লাহর ধন- ভান্ডার রয়েছে এবং আমি গায়েব জানি না; আর আমি এও বলি না যে, আমিতো ফেরেশতা; আমি এটাও বলি না যে, তোমরা যাদেরকে হেয় ভাবছো - আল্লাহ কখনো তাদেরকে কল্যাণ করবেন না। তাদের হৃদয়ে যা রয়েছে - আল্লাহ তা ভালোকরেই জানেন। নইলে, আমি জালেমদেরই অন্তর্ভুক্ত হবো।”
সূরা হুদের ৪৯ আয়াতে কারীমায় রয়েছে, “ওসব গায়েবের খবর আমি আপনার প্রতি ওহী করেছি - যেগুলো এর আগে আপনি ও আপনার উম্মত জানতেন না। ...”।
ل لاَّ أَمْلِكُ لِنَفْسِي نَفْعًا وَلاَ ضَرًّا إِلاَّ مَا شَاء اللّهُ وَلَوْ كُنتُ أَعْلَمُ الْغَيْبَ لاَسْتَكْثَرْتُ مِنَ الْخَيْرِ وَمَا مَسَّنِيَ السُّوءُ إِنْ أَنَاْ إِلاَّ نَذِيرٌ وَبَشِيرٌ لِّقَوْمٍ يُؤْمِنُونَ (188
আপনি বলে দিন, আমি আমার নিজের কল্যাণ সাধনের এবং অকল্যাণ সাধনের মালিক নই, কিন্তু যা আল্লাহ চান (তাই হয়)। আর আমি যদি গায়বের কথা ( নিজে নিজে ) জেনে নিতে পারতাম, তাহলে বহু মঙ্গল অর্জন করে নিতে পারতাম, ফলে আমার কোন অমঙ্গল কখনও হতে পারত না। আমি তো শুধুমাত্র একজন ভীতি প্রদর্শক ও সুসংবাদদাতা ঈমানদারদের জন্য।
★Reference : সুরা আল আরাফ ১৮৮
تِلْكَ مِنْ أَنْبَاءِ الْغَيْبِ نُوحِيهَا إِلَيْكَ مَا كُنْتَ تَعْلَمُهَا أَنْتَ وَلا قَوْمُكَ مِنْ قَبْلِ هَذَا فَاصْبِرْ إِنَّ الْعَاقِبَةَ لِلْمُتَّقِينَ
(হে নবী) এগুলো গায়েবের সংবাদ, আমি তোমাকে ওহীর মাধ্যমে তা জানাচ্ছি; যা এর পূর্বে তুমি জানতে না আর না তোমার কওম জানত; সুতরাং তুমি ধৈর্য ধারণ কর, নিশ্চয় শুভ পরিণতি মুত্তাকীদের জন্যই।
★ Reference : হুদ ১১:৪৯
يَا أَيُّهَا الرَّسُولُ بَلِّغْ مَا أُنْزِلَ إِلَيْكَ مِنْ رَبِّكَ
হে রাসূল! তোমার রবের পক্ষ থেকে তোমার নিকট যা অবতীর্ণ করা হয়েছে, তা তুমি পৌঁছে দাও।
★ Reference : মায়েদা ৫:৬৭
ذَلِكَ مِنْ أَنْبَاءِ الْغَيْبِ نُوحِيهِ إِلَيْكَ وَمَا كُنْتَ لَدَيْهِمْ إِذْ أَجْمَعُوا أَمْرَهُمْ وَهُمْ يَمْكُرُونَ
(হে নবী) এগুলো গায়েবের সংবাদ, আমি তোমাকে ওহীর মাধ্যমে তা জানাচ্ছি; তুমি তো তাদের নিকট ছিলে না যখন তারা তাদের সিদ্ধান্তে একমত হয়েছিল আর তারা ষড়যন্ত্র করছিল।
★ Reference : ইউসুফ ১২ : ১০২
মারইয়াম (আ) এর ঘটনা আল্লাহ তাঁর ওহীর মাধ্যমে রসূলকে জানিয়েছেন :
ذَلِكَ مِنْ أَنْبَاءِ الْغَيْبِ نُوحِيهِ إِلَيْكَ وَمَا كُنْتَ لَدَيْهِمْ إِذْ يُلْقُونَ أَقْلامَهُمْ أَيُّهُمْ يَكْفُلُ مَرْيَمَ وَمَا كُنْتَ لَدَيْهِمْ إِذْ يَخْتَصِمُونَ
(হে নবী) এগুলো গায়েবের সংবাদ, আমি তোমাকে ওহীর মাধ্যমে তা জানাচ্ছি; আর তুমি তাদের নিকট ছিলে না, যখন তারা তাদের কলম নিক্ষেপ করছিল, তাদের মধ্যে কে মারইয়ামের দায়িত্ব নেবে? আর তুমি তাদের নিকট ছিলে না, যখন তারা বিতর্ক করছিল।
★ Reference : আল-ইমরান ৩:৪৪
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন