Explaination of নূর-এ-মুজাসসাম হযরত মুহাম্মাদ(সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)
Written By (Masum Billah Sunny)
PROOF 1::
সুরা নূর–৩৫ -আয়াত
নিয়ে আব্বাস(রা:) ক’আব-এ-আহবার(রা: ) কে বলেন,’এই আয়াতের বর্ণনা কর?”
১) কা’আব -এ- আহবার(রা:),
২) হাযরত ইবনে উমর(রা:),
৩) মুহাম্মাদ ইবনে কা’আল কারাদি(রা:) থেকে ৩ টি হাদিস বর্ণনা করেন,
♦”দীপাধার ‘
মানে”হুজুর(সা:) এর ‘বক্ষ মোবারক।
♦’ফানুস’ মানে হুজুর(সা:) এর ‘হৃদয় মোবারক’
♦আর’নূরের ওপর নূর’ মানে ‘নুরে মুহাম্মাদি (সা:) নুরে ইব্রাহীম (আ:) এর ওপর!’.
সুরা নুর ৩৫ নং আয়াতের ব্যাখ্যায় রাসুল (সা)কে নুর বলা হয়েছে:-
Refferance:-
► তফসীরে ইবনে আব্বাস :
►Ibn Jarir al-Tabari in his Tafsir (18:95),
►Suyuti in al-Durr al-manthur (5:49),
►Zarqani in Sharh al-mawahib (3:171),
►al-Khafaji in Nasim al-riyad (1:110, 2:449),
►al-Nisaburi in Ghara’ib al-Qur’an (18:93)Tanwir al Miqbas, Min Tafsir Ibn Abbas, Page No. 376, Published by Maktaba al Asriyyah, Beirut, Lebanon]
►Tafsir at-Tabri, under 24:35
►Tafsir Ibn Kathir, Volume No.3, Page No. 490, under 24:35
►Ash-Shifa bi Tarif al Haquq al Mustafa, Page No. 6
►কাঞ্জুল-ঈমান ,খাজিন,সূরা নূর ৩৫ এর তাফসির
► তফসীরে উসমানী :
PROOF 2:
” নিশ্চই তোমাদের নিকট স্পষ্ট কিতাব(আল-কুর্আন) ও
মহা সম্মানিত নূর [হযরত মুহাম্মাদ (সা)] এসেছেন “
মায়েদাহ ১৫
এই আয়াতে রাসুলুল্লাহ صلى الله عليه و آله وسلم নুরের কথা যারা যারা বর্ননা করেছেন:-
►Suyuti in Tafsir al-Jalalayn,
►Fayruzabadi in the Tafsir Ibn `Abbas entitled Tanwir al-miqbas (p. 72)
►Shaykh al-Islam, Imam Fakhr al-Din al-Razi, the Mujaddid of the sixth century, in his Tafsir al-kabir (11:189)
►Imam al-Shirbini in his Tafsir entitled al-Siraj al-munir(p. 360), the author of Tafsir Abi Sa`ud (4:36)
►Thana’ullah Pani Patti in his Tafsir al-mazhari, (3:67)
নিশ্চই তোমাদের নিকট মহাসম্মানিত নূর (হযরত মুহাম্মাদ সা.) এসেছেন “ (৫: ১৫)→
আসুন ১৬ টি তফসির থেকে প্রমান স্বরুপ দেখে নেই এই আয়াতটাতে রাসুল (সা) কে নুর বলা হয়েছে:-
- ১. বিশ্ব বিখ্যাত মুফাসসিরে কোরআন হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) এর বিশ্ব বিখ্যাত তাফসীর গ্রন্থ ইবনে আব্বাস এর মধ্যে আছে-
قد جاءكم من الله نور و كتاب مبين يعني محمدا صلي الله عليه ؤسلم-
অর্থঃ নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট হতে তোমাদের কাছে নূর অর্থাৎ মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এসেছেন।
[তাফসীরে ইবনে আব্বাস পৃষ্ঠা ৭২]
- ২. ইমাম আবু জাফর মুহাম্মদ ইবনে জারীর আত্-তবারী (রা) তাঁর বিখ্যাত তাফসীর গ্রন্থ ইবনে জারীর এর মধ্যে বলেন-
قد جاءكم من الله نور و كتاب مبين يعني بالنؤر محمدا صلي الله عليه ؤسلم الذي انار الله به الحق واظهربه الاسلام ومحق به الشرك-
অর্থঃ নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট হতে তোমাদের কাছে নূর অর্থাৎ মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এসেছেন, যে নূর দ্বারা আল্লাহ সত্যকে উজ্জ্বল ও ইসলামকে প্রকাশ করেছেন এবং শিরিককে নিশ্চিহ্ন করেছেন।
[তাফসীর ইবনে জারীর ৬ষ্ঠ খন্ড, পৃষ্ঠা ৮৬, সূরা মায়িদা আয়াত ১৫]
- ৩.১ আ'লা হযরত আহমদ রেজা খান বেরলভী (রহ) ও
- ৩. ২ মুহাম্মদ (রাঃ) (যিনি ‘খাজিন’ নামে পরিচিত) তাফসীরে খাজেনের মধ্যে বলেন-
قد جاءكم من الله نور و كتاب مبين يعنى باالنور محمدا صلي الله عليه وسلم انما سماه الله نور لانه يهدى بالنور في الظلام-
অর্থঃ নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট হতে তোমাদের কাছে নূর অর্থাৎ মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এসেছেন। আল্লাহ তায়া’লা তাঁর নামকরণ করেছেন নূর, কারণ তাঁর নূরেতে হেদায়ত লাভ করা যায়। যেভাবে অন্ধকারে নূর দ্বারা পথ পাওয়া যায়।
[তাফসীরে খাজিন ১ম খন্ড, পৃষ্ঠা ৪১৭]
- ৪. ইমাম হাফেজ উদ্দীন আবুল বারাকাত আব্দুল্লাহ ইবনে আহমদ আন- নাসাফী (রা) এই আয়াত শরীফ ( قد جاءكم من الله نور و كتاب مبين) প্রসঙ্গে বলেন-
والنور محمد عليه والسلام لانه يهتدي به كما سمي سراجا منيرا-
আর নূর হলেন মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। কেননা তাঁর নূরেতে হেদায়ত লাভ করা যায়, যেমন তাঁকে উজ্জ্বল প্রদীপ বলা হয়েছে।
[তাফসীরে মাদারিক ১ম খন্ড, পৃষ্ঠা ৪১৭]
- ৫. ইমামুল মুতাকাল্লেমীন আল্লামা ফখরুদ্দীন রাযী (রা) এই আয়াত শরীফ (قد جاءكم من الله نور و كتاب مبين) প্রসঙ্গে বলেন-
ان المراد بالنور محمد صلي الله عليه و سلم وبالكتاب القران-
[তাফসীরে কবীর ৩য় খন্ড, পৃষ্ঠা ৩৯৫, সূরা মায়িদা আয়াত ১৫]
- আর যারা বলে যে ‘নূর ও কিতাবে মুবীন’ দ্বারা কুরআন মজীদকেই বুঝানো হয়েছে,
ইমাম রাযী (রা) সে সম্পর্কে বলেন-
هذا ضعيف لان العطف يوجب المغايرة بين المعطوف والمعطوف عليه
এই অভিমত দুর্বল, কারণ আতফ (ব্যাকরণগত সংযোজিত) মা’তুফ (সংযোজিত) ও মা’তুফ আলাইহি (যা তার সাথে সংযোজন কারা হয়েছে ) এর মধ্যে ভিন্নতা প্রমাণ করে।
[তাফসীরে কবীর ৩য় খন্ড, পৃষ্ঠা ৩৯৫]
- ৬. ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ূতী (রা) বলেনঃ قد جاءكم من الله نور هو النبى صلي الله عليه وسلم-
অর্থঃ নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট হতে তোমাদের কাছে নূর এসেছে, তা হল নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নূর মোবারক।
[তাফসীরে জালালাইন শরীফ পৃষ্ঠা ৯৭]
- ৭. আল্লামা মাহমূদ আলূসী বাগদাদী (রা) বলেন-
There is a notable explanation among Ahl al-Sunna which ascribes the meaning of the Prophet to both the Light and the Book. al-Sayyid al-Alusi said in Ruh al-ma`ani: “I do not consider it far-fetched that what is meant by both the Light and the Manifest Book is the Prophet, the conjunction being in the same way as what was said by al-Jubba’i [in that that both the Light and the Book were the Qur’an]. There is no doubt that all can be said to refer to the Prophet. Perhaps you will be reluctant to accept this from the viewpoint of expression (`ibara); then let it be from the viewpoint of subtle allusion (ishara).” [Tafsir Ruh al-Ma`ani, Volume 006, Page No. 97-8]
- ৮. আল্লামা ইসমাঈল হক্কী (রা) বলেন-
قيل المراد باالاول هو الرسول صلى الله عليه وسلم وبالثانى القران-
অর্থঃ বলা হয়েছে যে, প্রথমটা অর্থাৎ নূর দ্বারা রাসূলে করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে বুঝানো হয়েছে এবং দ্বিতীয়টা অর্থাৎ কিতাবে মুবীন দ্বারা কুরআন কে বুঝানো হয়েছে।
[তাফসীরে রুহুল বয়ান ২খন্ড, পৃষ্ঠা ২৬৯]
- আর অগ্রসর হয়ে বলেন-
سمى الرسول نورا لان اول شيئ اظهره الحق بنور قدرته من ظلمة العدم كان نور محمد صلي الله عليه و سلم كما قال اول ما خلق الله نورى-
অর্থ: আল্লাহ তায়া’লা রসূল আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নাম রেখেছেন নূর। কেননা আল্লাহ তায়া’লা তাঁর কুদরতের নূর থেকে সর্বপ্রথম যা প্রকাশ করেছেন তা তো মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নূর মোবারক। যেমন তিনি ফরমায়েছেন- আল্লাহ তায়া’লা সর্বপ্রথম আমার নূর মোবারক কে সৃষ্টি করেছেন।
[তাফসীরে রুহুল বয়ান ২য় খন্ড, পৃষ্ঠা ৩৬৯]
৯. ইমাম মুহীউস সুন্নাহ আবু মুহাম্মদ আল- হোসাইন আল-ফাররা আল-বাগাভী (রা) বলেন-
قد جاءكم من الله نور يعنى باالنور محمدا صلي الله عليه وسلم-
অর্থঃ নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট হতে তোমাদের কাছে নূর অর্থাৎ মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এসেছেন।
[তাফসীরে মাআলিমুত তান্যীল, ২য় খন্ড, পৃষ্ঠা ২৩, তাফসীরে খাযিনের
টীকা]
- ১০. ইমামুল কবীর, মুহাদ্দিসুশ শাহীর আল্লামা আবু জাফর মুহম্মদ ইবনে জারীর তাবারী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন-
قد جاءكم من الله نور -يعني بانور محمد صلي الله عليه و سلم
অর্থ: উক্ত আয়াত শরীফে নূর দ্বারা হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে বুঝানো হয়েছে।”
[তাফসীরে জামিউল বয়ান (তাবারী) ৬ষ্ঠ খন্ড ১০৪ পৃষ্ঠা]
- ১১. আল্লামাতুল হিবর,হামিলুশ শরীয়ত ওয়াত ত্বরীকত,আলামুল হুদা,আল্লামা কাজী ছানাউল্লাহ পানীপথী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন-
قد جاءكم من الله نور -يعني محمد صلي الله عليه و سلم
অর্থ: তোমাদের নিকট মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে “নূর'” অর্থাৎ হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এসেছেন।”
[তাফসীরে মাযহারী ৩য় খন্ড ৬৮ পৃষ্ঠা]
- ১২. ক্বাজিউল কুজাত,ইমাম আবূ সাউদ মুহম্মদ ইবনে মুহম্মদ ইমাদী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন-
قد جاءكم من الله نور……. المراد بالاول هو الرسل صلي الله عليه و سلم وبالثاني القران
অর্থ: বর্নিত আয়াত শরীফের প্রথম শব্দ “”নূর” দ্বারা উদ্দেশ্যে হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, আর দ্বিতীয় শব্দ কিতাবে মুবীন দ্বারা উদ্দেশ্যে হলো কুরআন শরীফ।”
[তাফসীরে আবী সাউদ ৩য় খন্ড ১৮ পৃষ্ঠা]
- ১৩. ইমাম আবুল ফারজ জামালুদ্দীন আব্দুর রহমান ইবনে আলী ইবনে মুহম্মদ জাওযী ক্বোরাঈশী বাগদাদী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন-
قوله تعالي- من الله نور – قال قتادة يعني بانور النبي محمدا صلي الله علي و سلم
অর্থ : (মহান আল্লাহ পাক উনার তরফ থেকে নূর এসেছে) হযরত কাতাদাহ রদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, নূর দ্বারা উদ্দেশ্যে হলো হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।”
[তাফসীরে যাদুল মাসীর ২য় খন্ড ২৫৪ পৃষ্ঠা]
- ১৪. বিখ্যাত মুফাসসির আল্লামা আবু আব্দুল্লাহ মুহম্মদ ইবনে আহমদ আনছারী কুরতুবী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন-
قد جاءكم من الله نور- قيل محمد صلي الله عليه و سلم عن الزجاج
অর্থ: মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে তোমাদের নিকট “নূর” এসেছে, হযরত জুযাজ রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন, হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এসেছেন।”
[তাফসীরে জামে আহকামুল কুরআন ৬ষ্ঠ খন্ড ১১৮ পৃষ্ঠা]
- ১৫. ইমাম বুরহানুদ্দীন আবুল হাসান ইব্রাহীম ইবনে ওমর ফাক্বায়ী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন-
من الله نور – اي واضح النورية وهو محمد صلي الله عليه و سلم الذي كشف ظلمات الشرك
অর্থ: মহান আল্লাহ পাক উনার পক্ষ থেকে তোমাদের নিকট নূরের প্রকাশক এসেছেন,তিনি হলেন , হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। যিনি সন্দেহ আর শিরকের আঁধার দূর করবেন।”
[তফসীরে নাযমুদ দুরার ২য় খন্ড ৪১৯ পৃষ্ঠা]
- ১৬. আবুল হাসান আলী ইবনে মুহম্মদ ইবনে হাবীব মাওয়ারাদী বছরী রহমাতুল্লাহি আলাইহি বলেন-
قد جاءكم من الله نور -محمد صلي الله عليه و سلم
অর্থ: উক্ত আয়াত শরীফে বর্নিত নূর হচ্ছে হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।”
[তাফসীরে মাওয়ারেদী ২য় খন্ড ২২ পৃষ্ঠা]
এছাড়া পৃথিবীর সকল তাফসীরের গ্রন্থ সূরা মায়েদা শরীফের ১৫ নং আয়াতের তাফসীরে ” নূর” দ্বারা হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনাকে বুঝানো হয়েছে ।
→ তাফসীরে গরায়েবুল কুরআন ৬ষ্ঠ খন্ড ৯৭ পৃষ্ঠা;
→ তাফসীরে ক্বাদেরী ১ম খন্ড ২০২ পৃষ্ঠা;
→ তাফসীরে বায়জবী ২য় খন্ড ৯২ পৃষ্ঠা;
→ হাশিয়ায়ে মুহিউদ্দীন শায়েখ যাদাহ ২য় খন্ড ১০৩ পৃষ্ঠা;
→ হাশিয়াতুশ শিহাব ৩য় খন্ড ২২৬ পৃষ্ঠা;
→ শরহুস শিফা লি মুল্লা আলী ক্বারী রহমাতুল্লাহি আলাইহি ১ম খন্ড ৪২ পৃষ্ঠা;
→ তাফসীরে ফতহুল ক্বাদীর ২য় খন্ড ২৩ পৃষ্ঠা;
→ তাফসীরে মাওয়াহেবুর রহমান ৩য় খন্ড ১০৯ পৃষ্ঠা;
→ তাফসীরে দ্বিয়াউল কুরআন ১ম খন্ড ৪৫৩ পৃস্টা
→ তফসীরে মাজেদী :
PROOF 3::
” তারা চায় তাদের মুখের ফুৎকারে আল্লাহর নূর কে নির্ভাপিত করতে কিন্তু আল্লাহ্ অবশ্যই তার নূরের পূর্ণ তা বিধান করবে যদি ও কাফির রা তা অপ্রীতিকর মনে করে “
তওবাহ ৩২
সুরা ছাফ ৮
PROOF 4::
সুরা তাওবার আয়াত নং – ১২৮ এ অল্লাহ্ বলেন ” তোমাদের নিকট এক মহান রাসূলের আগমন হয়েছে” এই আয়াতের তাফসীর প্রসঙ্গে নবী করিম (সাঃ আঃ)কোথা হতে আসলেন – সে সম্পর্কে
:নির্ভরযোগ্য হাদিসে বর্নিত আছে যে
وعن ابلى هريرة رضى الله عنه ان رسول الله صلى الله عليه و سلم سائل جبريل عليه السلام فقال يا جبريل كم عمرك من السنين فقال يا رسول الله مست اعلم غير ان فى الحجاب الرابع نجما يطلع في سبعين الف سنة مرة رايته اثنين و سبعين الف مرة فقال يا جبريل و عزة ربى جل جلا له انا ذالك الكوب-
অর্থ : ® হযরত আবু হোরায়রা (রাঃ) থেকে বর্নিত,
কোন এক সময় হযরত রাসুল করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হযরত জিব্রাঈল (আঃ) এর নিকট জিজ্ঞাসা করিলেন " হে জিব্রাইল! তোমার বয়স কত বৎসর হইয়াছে?"
হযরত জিব্রাইল (আঃ) উত্তর করিলেন,
" হে আল্লাহর রাসূল! আমি আমার বয়স সম্পর্কে কিছুই বলিতে পারিনা। তবে আমি আপনাকে আমার বয়স সম্পর্কে এতটুকু তথ্য জানাইতে পারি যে, চতুর্থ আসমানে একটি উজ্জ্বল তারকা ছিল, উক্ত তারকাটি ৭০ হাজার বৎসর পর পর আসমানে একবার উদয় হইত। আমি উহাকে ৭২ হাজার বার উদয় হইতে দেখিয়াছি।
তখন নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন,
হে জিব্রাঈল! আমার প্রতিপালকের ইজ্জতের কসম। নিশ্চয় আমিই ছিলাম সেই উজ্জ্বল নক্ষত্র বা তারকা ।"
★ ইমাম বুখারী (রহ) : আত তাশরীফাতে ফি খাসায়েস ওয়াল মুজিজাত ২/২৫৪ পৃ:
★ইমাম বুখারীর রহমাতুল্লাহি আলাইহি লিখিত : তারিখ উল কাবির
★ ইমাম বুরহান উদ্দিন হালাবী শাফেয়ী : সিরাতে হালাবিয়্যাহ ১ম খন্ড:৪৯ পৃ: [ইমাম বুখারীর সুত্রে]
★ আল্লামা ইসমাইল হাক্কী : তফসীরে রুহুল বয়ান : ৩/৫৪৩ : সুরা তওবা ১২৮
★ আল্লামা শায়খ ইউসুফ নাবহানী : যাওয়াহিরুল বিহার : ৩/৩৩৯ [নিজস্ব সনদে আবু হুরায়রা (রা) থেকে]
★ আল্লামা শফী উকাড়ভী : যিকরে হাসীন : ৩০ পৃ:
® ইমাম বুরহান উদ্দিন শাফেয়ী (রহ) একজন গ্রহনযোগ্য মুহাদ্দিস। মোল্লা আলী কারি (রহ) শরহে শিফা ১/৩৭ সহ অসংখ্য স্থানে ইমাম হালাবীর মতামত উল্লেখ্য করেছেন।
® ইমাম হালাবী তার সিরাতে হালাবিয়্যার প্রথমে বলেন, সীরাত গ্রন্থ সমুহে সহিহ, সাক্বীম, দ্বইফ, বালাগ, মুরসাল, মুনকাতা ও মু'দাল হাদিস সমুহ একত্রিত করা হয় কিন্তু জাল বা মওদ্বু হাদিস নয়।
★ সিরাতে হালাবিয়্যাহ : ১ম :৭ পৃ
অপরদিকে, (আরবি = নাজম) মানে হল তারকা যা রাসুলুল্লাহ (সা) এর অন্যতম নাম মোবারক। অনেক তফসীরকারকগন কুরআন পাকের সুরা ""ওয়ান্নাজম"" এর মধ্যে ""আন-নাজম"" বলতে রাসুলুল্লাহ (সা) কে বুঝিয়েছেন। যা উক্ত হাদিসের মধ্যে এক শক্তিশালী যুগসুত্রও স্থাপন করে।
® ইমাম জাফর সাদেক (রহ) বলেন, আন-নাজম বলতে রাসুলুল্লাহ (সা) কে বুঝানো হয়েছে।
★ ইমাম কুরতুবী : জামিউল আহকামুল কুরআন : ১৭/৮৩ পৃ:
★ ইমাম বাগভী : মুয়ালিমুত তানযিল : ৭/৪০০ পৃ:
★ ইমাম আলুসী : তফসীরে রুহুল মা'য়ানী : ১৪/৪৪ পৃ:
★ কাজী সানাউল্লাহ পানিপথী : তফসীরে মাযহারী : ৯/১০৩ পৃ:
★ ইমাম সাভী : তফসীরে সাভী : ৪/১২৯ পৃ:
★ ইমাম খাযেন : তফসীরে খাযেন : ৪/২০৩ পৃ:
★ ইমাম ইসমাইল হাক্কী : তফসীরে রুহুল বয়ান : ৯/২০৮ পৃ:
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন