বৃহস্পতিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

রাসুলুল্লাহ (সা) এর নুর সম্পর্কে ইবনে হাজর হায়সামী (রহ) এর আকিদা :

কিতাব : আন নেয়ামাতুল কুবরা
বিখ্যাত মুহাদ্দিস : ইবনে হাজর হায়সামী (রহ)








1.














2.




3.





নবীজী (দুরুদ) এর বিভিন্ন রুপ- শাহ ওলিউল্লাহ মুহাদ্দিসে দেহলবী (রহ) :













রাসুলুল্লাহ (দুরুদ) বেমিসাল মাখলুক : নবীজী (দুরুদ) এর বক্ষক্ষবিদারন সম্পর্কিত হাদিস -পর্যালোচনা :-








সোমবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

হে রাসুল (সা) আপনাকে সৃষ্টি না করলে কিছুই সৃষ্টি করতাম না - হাদিসটির পর্যালোচনা :-


উক্ত হাদিসটিকে জাল বানানোর অপচেষ্টা করছে ওহাবীরা কারন ওহাবী-সালাফীদের সাথে বিভিন্ন আকিদার বিপরীত বলে। এই পোস্টের মাধ্যমে যেসব জবাব দেয়া হল :

১) ড জাকির নায়েকের ওসীলা হারাম ফতোয়ার জবাব
২) তারেক জানোয়ারের ফতোয়ার জবাব : আল্লাহ ও মুহাম্মাদ (সা) এর নাম পাশাপাশি রাখা শিরিক
৩) কালিমা তাইয়্যেবাহ তে "মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ বিদাত" এর জবাব
৪)  যদি রাসুল (সা)না হতেন, তাহলে কিছুই সৃষ্টি করা হতো না।

লেখক, গবেষক  ও সংকলক :  click here to connect in Fb (MASUM BILLAH SUNNY)

হাদিস ১ :
হযরত ওমর ইবনুল খাত্তাব (রা) থেকে বর্নিত, 

عن عمر بن الخطاب رضي الله عنه قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم لما أذنب آدم صلى الله عليه وسلم الذنب الذي أذنه رفع رأسه إلى العرش فقال أسألك حق محمد ألا غفرت لي فأوحى الله إليه وما محمد ومن محمد فقال تبارك اسمك لما لما خلقتني رفعت رأسي إلى عرشك فإذا هو مكتوب لا إله إلا الله محمد رسول الله فعلمت أنه ليس أحد أعظم عندك قدرا ممن جعلت اسمه مع اسمك فأوحى الله عز وجل إليه يا آدم إنه آخر النبيين من ذريتك وإن أمته آخر الأمم من ذريتك ولولاه يا آدم ما خلقتك

অনুবাদ-
রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, হযরত আদম আঃ থেকে যখন অপ্রত্যাশিত ভাবে ভুল সংঘটিত হয়, [যার দরূন তাকে জান্নাত থেকে দুনিয়াতে প্রেরণ করা হয়, তখন তিনি সর্বদা কাঁদতে ছিলেন। আর দুই ও ইস্তেগফার পড়তে ছিলেন।] তখন তিনি আল্লাহর দরবারে আরজ করলেন
হে আল্লাহ! মুহাম্মদ সাঃ এর ওসীলায় আমি তোমার কাছে ক্ষমা চাচ্ছি। তখন অহী নাজীল হয়- মুহাম্মদ (সা) কে (তুমি কিভাবে জানলে তুমি তো তাকে  কখনো দেখ নি)? তখন তিনি বলেন-যখন আপনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন, আমার অভ্যন্তরে রুহ প্রবেশের পর মাথা তুলে  আমি আরশে লেখা দেখলাম- লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ।
তখনই আমি বুঝতে পেরেছিলাম যে, মুহাম্মদ সাঃ এর চেয়ে সর্বাধিক প্রিয় ব্যক্তিত্ব আর কেউ নেই 
যার নাম আপনি স্বীয় নামের সাথে রেখেছেন।
তখন অহী নাজীল হল-তিনি সর্বশেষ নবী। তোমার সন্তানদের অন্তর্ভূক্ত হবে। 
যদি তিনি না হতেন, তাহলে তোমাকেও সৃষ্টি করা হতো না।

Reference :-

★ ইমাম বায়হাকী রহঃ : দালায়েলুন নাবায়িয়্যাহ : ৫/৪৮৯ পৃ
★ ইমাম হাকেম নিশাপুরী রহঃ মুসতাদরাকে হাকেম : ২/৪৮৬ পৃ : হাদিস : ৪২২৮
★ ইমাম হাকেম নিশাপুরী রহঃ আল মাদখাল : ১/১৫৪ 
★ তাবরানী : আল মুজামুল আওসাত : ৬/৩১৩ : হাদীস নং-৬৫০২
★ তাবরানী : আল মুজামুস সগীর : ২/১৮২ : হাদীস নং-৯৯২,
★ তাবরানী : মুজমায়ে কবীর’
★ ইমাম দায়লামী : আল মুসনাদিল ফেরদাউস : ৫/২২৭
★ ইমাম আজলুনী : কাশফুল কাফা : ১/৪৬ ও ২/২১৪
★ আবূ নুয়াইম : ‘হিলইয়াতুল আউলিয়া,
★ আল্লামা সুবকী রহঃ শেফাউস সিকাম
★ ইবনে আসাকির : নিজ ‘তারিখে দিমাশক’: ৭/৪৩৭ পৃ
★ ইবনুল জাওজী : আল ওয়াফা বি আহওয়ালিল মোস্তফা : ৩৩
★ ইবনুল জাওজী : বয়ানুল মীলাদুন্নবী (সা) : ১৫৮
★ ইবনে কাসীর : আল বিদায়া ওয়ান নেহায়া : ১/১৮ পৃ
★ ইবনে হাজর হায়সামী : মাযমাউজ যাওয়ায়েদ : ৮/২৫৩
★ শিহাবউদ্দীন খাফাজী : ‘নাসীম আর-রিয়াদ’ 
★ ইমাম সুয়ুতী : কাসায়েসুল কুবরা : ১/১২ : হাদিস ১২
★ ইমাম সুয়ুতী : আদ দুররে মানসুর : ১/১৪২
★ আল্লামা কাসতাল্লানী রহঃ আল মাওয়াহেবুল লাদুনিয়্যাহ : ১/ ৮২ ও ২/৫২৫
★ ইমাম যুরকানী : শরহে মাওয়াহিব : ১/১৭২
★ ইমাম হালাবী : সীরাতে হালাবিয়্যাহ : ১/৩৫৫ 
★ মুহাদ্দিসে শাহ আব্দুল আজিজ দেহলভী : তফসীরে আজিযী : ১/১৮৩
★ ইমাম নাবহানী : শাওয়াহিদুল হক : ১৩৭
★ ইমাম নাবহানী : আনোয়ার-ই-মোহাম্মাদীয়া : ৯-১০
★ ইমাম নাবহানী : জাওয়াহিরুল বিহার : ২/১১৪
★ ইমাম নাবহানী : হুজ্জাতুল্লাহি আলাল আলামিন : ৩১ পৃ ও ৭৯৫ পৃ
(মাকতুবাত এ তাওফিক হিয়্যাহ, কাহেরা,মিশর)
★ আল্লামা শফী উকারবী : যিকরে হাসীন : ৩৭
★ আশরাফ আলী থানবী : নুশরাত্বীব : ২৮
★ ফাযায়েলে আমাল, ৪৯৭, উর্দু এডিশন


হাদিসের মান র্যালোচনা :


যে সকল মুহাদ্দিসগন এ হাদিস সহিহ বলেছেনঃ



১) ইমাম হাকিম বলেছেন হাদিসটি সহীহ।
আল মুস্তাদরাক-২/৬১৫

২) ইমাম তকি উদ্দীন সুবকী বলেন, হাদিসটি হাসান।শিফাউস সিকাম, পেইজ-১২০

৩) ইমাম তকী উদ্দীন দামেশকী বলেন, হাদীসটি বিশুদ্ধ। দাফউ শুবহাহঃ ১/৭২

৪) ইমাম কস্তল্লানী বলেন, হাদিসটি বিশুদ্ধ।মাওয়াহিবুল লাদুনিয়াহঃ১/১৬৫

৫) ইমাম সামহুদী বলেন, হাদিসটি সহীহ। ওয়াফাউল ওয়াফাঃ২/৪১৯

৬) ইমাম জালালুদ্দীন সুয়ুতী বলেন, বিভিন্ন সনদে বর্ণিত এ হাদিসটি বিশুদ্ধ।আল খাসাইসঃ১/৮

৭) ইবনু তাইমিয়্যাহ এ হাদীসটি দলীল হিসাবে তাঁর কিতাবে উল্লেখ করেছেন।মাজমাউল ফাতাওয়াঃ২/১৫৯
‘যদি মুহাম্মাদ না হতেন, তবে আমি তোমাকে সৃষ্টি করতাম না’-এ হাদীসটি উল্লেখ করে বলেছেন,
এ হাদীসটি পূর্বের কথাকে কথাকে শক্তিশালী করেছে।
রেফারেন্সঃ
মাজমু উল ফাতাওয়া- ২/১৫৯


৮) বাতিল 
দের

জবাবে ইমাম
 ইবনু কাসীর পরিস্কার বলেছেন, এই হাদীসটি  বানোয়াট নয়। 
এটা দ্বারা নির্দ্বিধায় দলীল প্রদান করা যাবে।
রেফারেন্সঃ
আস সীরাতুন নাবাওইয়্যাহ- ১/১৯৫


৯) বিশ্ববিখ্যাত মুহাদ্দিস মুল্লা আলী কারী বলেন,  একথাটি সম্পূর্ণ বিশুদ্ধ।
রেফারেন্সঃ
আল আসরারুল মারফুআহ- ১/২৯৫




হাদিস ২ :

হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা:) থেকে বর্ণনা করেন, যিনি বলেন: “আল্লাহ পাক হযরত ঈসা (আ:)-কে বলেছেন, ওহে ঈসা! মহানবী (দ:)-এর প্রতি ঈমান আনো এবং তোমার উম্মতকেও তা করতে বলো। 
রাসূলুল্লাহ (দ:) না হলে আমি আদমকে সৃষ্টি করতাম না, বেহেশত বা দোযখও সৃষ্টি করতাম না।”

Reference :

★ ইমাম হাকিম নিশাপুরী : আল মোসতাদরেক’ : ২/৬৭১ : হাদিস ৪২২৭
★ ইমাম দায়লামী : আল মুসনাদিল ফেরদাউস : ৫/২৪২
★ ইমাম ইবনে সাদ : তানাকাতুল কোবরা 
★ ইমাম তাকিউদ্দীন সুবকী : ‘শিফাউস্ সিকাম ৪৫ 
★ শায়খুল ইসলাম আল-বুলকিনী : ফতোওয়ায়ে সিরাজিয়া ১/১৪০
★ ইবনে হাজর রচিত ‘আফদালুল কোরা 
★ আবূ নুয়াইম : ‘হিলইয়াতুল আউলিয়া,
★ ইমাম নাবহানী : জাওয়াহিরুল বিহার : ২/১১৪ ও ৪/১৬০
★ ইবনে কাসীর : কাসাসুল আম্বিয়া  : ১/২৯ পৃ
★ ইবনে কাসীর : সিরাতে নববিয়্যাহ : ১/৩২০
★ ইবনে কাসীর : মুজিজাতুন্নবী (সা) : ১/৪৪১
★ ইবনে হাজর আসকালানি : লিসানুল মিযান : ৪/৩৫৪
★ ইমাম যাহাবী : মিজানুল ইতিদাল : ৫/২৯৯, রাবী নং ৬৩৩৬
★ ইবনে হাজর হায়সামী : শরহে শামায়েল : ১/৪২
★ ইমাম যুরকানী : শরহে মাওয়াহিব : ১/১২/২২০
★ আবু সাদ ইব্রাহীম নিশাপুরী : শরহে মোস্তফা : ১/১৬৫
★ ইমাম সুয়ুতী : কাসায়েসুল কুবরা : ১/১৪ : হাদিস ২১
★ ইমাম ইবনে হাইয়্যান : ‘তাবকাত আল-ইসফাহানী : ৩/২৮৭
★ কানযুল উম্মাল- হাদীস ৩২০২২
★ মোল্লা আলী কারী : মাওজুয়াতুল কবীর : ১০১
★ মোল্লা আলী কারী : মাওজুয়াতুল কবীর : ১/২৯৫, হাদিস : ৩৮৫
★ ইবনে শামী সালেহ : সুবলুল হুদা ওয়ার রাশাদ : ১২/৪০৩ 


হাদিসের মান পর্যালোচনা :

★ ইমাম দায়লামী : হাদিসটির মান সনদের দিক থেকে হাসান।
আল মুসনাদিল ফেরদাউস : ৫/২৪২


হাদিস ৩ :


হযরত সালমান ফারিসী (রা:)-কে, যিনি বলেন: “হযূর পূর নূর (দ:)-এর কাছে জিবরীল আমীন (আ:) এসে পৌঁছে দেন আল্লাহর বাণী, ‘(হে রাসূল) আপনার চেয়ে অধিক সম্মানিত আর কাউকেই আমি সৃষ্টি করি নি। আমি বিশ্বজগত ও এর মধ্যে যা কিছু আছে তার সবই সৃষ্টি করেছি যাতে তারা জানতে পারে আপনার মহান মর্যাদা সম্পর্কে। আমি এই বিশ্বজগত সৃষ্টি করতাম না, যদি আপনাকে সৃষ্টি না করতাম’।”

Reference :



★ ইবনে আসাকির : তারিখে দামেস্ক : ৩/৫১৭
★ মোল্লা আলী কারী : মাওজুয়াতুল কবীর : ১০১
★ ইমাম যুরকানী : শরহে মাওয়াহিব : ১/১৮২
★ ইমাম নাবহানী : জাওয়াহিরুল বিহার : ২/২৮৯
★ কাজী আয়াজ : শিফা শরীফ : ২/১০৫




হাদিস ৪ : 

তাবেয়ী হযরত কাবুল আহবার (রা) থেকে বর্নিত,

(বিশাল বর্ননার পর).... 
যদি তিনি [রাসুল (সা)] না হতেন তাহলে আমি না তোমাকে [আদম (আ)] সৃষ্টি করতাম, না আসমান, জমীন সৃষ্টি করতাম।

Reference :



★ ইমাম কুস্তালানী : আল মাওয়াহেব : ১/৩৩
★ ইমাম নাবহানী : জাওয়াহিরুল বিহার : ৩/৩৫২
★ ইমাম যুরকানী : শরহে মাওয়াহিব : ১/৭৮
★ আল্লামা শফী উকারবী : যিকরে হাসীন : ৩১
★ ইমাম তুগরিব : আল মাওলুদ শরীফ : ১৪২


হাদিস ৫ : এই হাদিসের ২টা সনদ সহকারে উল্লেখ্য করলাম :



১ম সনদ :



 হযরত ইমাম হাকিম নিসাপুরী 

হযরত আলী বিন হামশাদ আদল ইমলা রহমাতুল্লাহি আলাইহি। 

হারূন বিন আব্বাস হাশেমী রহমাতুল্লাহি আলাইহি। 

জানদাল বিল ওয়াকিল রহমাতুল্লাহি আলাইহি

হযরত আমর বিন আউস রদ্বিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্নিত,


২য় সনদ :

ইমাম হাকিম রহমাতুল্লাহি আলাইহি 

হযরত সাঈদ বিন আবু উরূবাহ রহমাতুল্লাহি আলাইহি , তিনি 

হযরত ক্বাতাদাহ রহমাতুল্লাহি আলাইহি থেকে। তিনি,

সাঈদ বিন মুসাঈয়িব রহমাতুল্লাহি আলাইহি থেকে, তিনি

হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্নিত,



-حدثنا علي بن حمشاد العدل املاء هرون بن العباس الهاشمي ثنا جندل بن والق ثنا عمرو بن أوس الانصاريحدثنا سعيد بن ابي عروبة عن قتادة عن سعيد بن المسيب عن ابن عباس رضي الله عنه قال اوحي الله الي عيسي عليه السلام يا عيسي امن بمحمد صلي الله عليه و سلم وامر من ادركه من امتك ان يؤمنوا به فلو لامحمد صلي الله عليه و سلم ما خلقت ادم عليه السلام ولولا محمد صلي الله عليه و سلم ما خلقت الجنة و النار ولقد خلقت العرش علي الماء فضطرب فكتبت عليه “لا اله الا الله محمد رسول الله صلي الله عليه وسلم فسكن. هذا حديث صحيح الاسناد

” মহান আল্লাহ পাক উনার রসূল হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম উনাকে ওহী করলেন। হে হযরত ঈসা আলাইহিস সালাম ! আপনি হুজুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার প্রতি ঈমান আনুন এবং আপনার উম্মতের মধ্যে উনাকে যারা পেতে চায় তাঁদের নির্দেশ করুন, তাঁরা যেন উনার প্রতি ঈমান আনে। 
যদি মুহম্মদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম না হতেন হতেন তবে আদম আলাইহিস সালাম উনাকে সৃষ্টি করতাম না, যদি মুহম্মদ ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সৃষ্টি না হতেন তবে জান্নাত এবং জাহান্নাম সৃষ্টি করতাম না। 
আর যখন আমি পানির উরর আরশ সৃষ্টি করলাম তখন তা টলমল করছিলো, যখনই আরশের মধ্যেلا اله الا الله محمد رسول الله صلي الله عليه و سلم লিখে দেই তৎক্ষণাৎ আরশ স্থির হয়ে যায়।”
এই হাদীস শরীফের সনদ সহীহ।

‪‎Reference :

★ মুসতাদরাক আলাছ ছহীহাঈন লিল হাকীম নিশাপুরী (রহ), 
কিতাব : তাওয়ারীখিল মুতাক্বাদ্দিমীন- যিকরু আখবারী সাইয়্যিদুল মুরসালীন ওয়া খাতামুন নাব্যিয়িন মুহম্মদ বিন আব্দুল্লাহ বিন আব্দুল মুত্তালিব মুছতাফা ছলাওয়াতুল্লাহিআলাইহি ওয়া আলিহীত ত্বহীরিন
খন্ড : ৪র্থ খন্ড ১৫৮৩ পৃষ্ঠা
★ মুখতাছারুল মুসতাদরাক ২য় খন্ড ১০৬৭ পৃষ্ঠা






মুহাদ্দিসে কেরাম থেকে :





ইমাম সাইফুদ্দীন আবূ জা’ফর বিন উমর আল-হুমাইরী আল-হানাফী নিজ ‘আদ-দুররূল তানযীম ফী মওলিদিন্ নাবিই-ইল করীম’ শীর্ষক কেতাবে বলেন: আল্লাহতা’লা যখন হযরত বাবা আদম (আ:)-কে সৃষ্টি করেন, তখন তিনি তাঁর মনে এই ভাবের উদয় করেন যার দরুণ তিনি মহান প্রভুকে প্রশ্ন করেন, ”এয়া আল্লাহ! আপনি আমার কুনিয়া (বংশ-পরম্পরার নাম) কেন ’আবূ মোহাম্মদ’ (মোহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লামের পিতা) করেছেন?” আল্লাহ উত্তরে বলেন, “ওহে আদম! তোমার মাথা তোলো।” তিনি শির উঠিয়ে আরশে মহানবী (দ:)-এর নূর (জ্যোতি) দেখতে পান। হযরত আদম (আ:) জিজ্ঞেস করেন, “এয়া আল্লাহ! এই নূর কোন্ মহান সত্তার?” আল্লাহতা’লা জবাবে বলেন, “তোমার বংশেই এই মহান নবী (দ:)-এর জন্ম। আসমানে তাঁর নাম আহমদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) এবং জমিনে মোহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম)। আমি তাঁকে সৃষ্টি না করলে তোমাকে বা আসমান ও জমিনকে সৃষ্টি করতাম না।”



সাইয়্যেদ আবূল হুসাইন হামদূনী শাযিলী তাঁর ‘কাসিদায়ে দা’লিয়া’তে লেখেন: “প্রিয়নবী (দ:) হলেন সারা বিশ্বজগতের মধ্যমণি এবং সকল সৃষ্টির কারণ (অসিলা)। তিনি না হলে কিছুই অস্তিত্ব পেতো না।”


ইমাম শরফউদ্দীন আবূ মোহাম্মদ বুসিরী তাঁর কৃত ‘কাসিদা-এ-বুরদা’ কাব্য-পুস্তকে লেখেন: “রাসূলুল্লাহ (দ:) না হলে দুনিয়া অস্তিত্বশীল হতো না।”


ইমাম বুসিরী (রহ:)-এর কাব্যের ব্যাখ্যামূলক পুস্তকে ইমাম শায়খ ইবরাহীম বাইজুরী লেখেন: “হুযূর করীম (দ:) অস্তিত্বশীল না হলে বিশ্বজগত-ই অস্তিত্বশীল হতো না। হযরত আদম (আ:)-কে আল্লাহ বলেন, ‘মহানবী (দ:) অস্তিত্বশীল না হলে আমি তোমোকে সৃষ্টি করতাম না। হযরত আদম (আ:) হলেন মনুষ্যজাতির আদি পিতা, আর পৃথিবীতে যা কিছু আছে সবই মানুষের জন্যে সৃষ্ট। তাই হযরত আদম (আ:)-কে যেহেতু রাসূলে খোদা (দ:)-এর অস্তিত্বের কারণে সৃষ্টি করা হয়েছে, সেহেতু সমগ্র জগতই মহানবী (দ:)-এর কারণে সৃষ্ট বলে প্রতীয়মান হয়। অতএব, সকল অস্তিত্বশীল সত্তার সৃষ্টির কারণ হলেন বিশ্বনবী (দ:)।”


কাসিদা-এ-বুরদা কাব্য সম্পর্কে আল্লামা খালেদ আযহারী মন্তব্য করেন: “রাসূলে পাক (দ:)-এর কারণেই দুনিয়া অনস্তিত্ব থেকে অস্তিত্ব পেয়েছে।”


মোল্লা আলী কারী লেখেন: ”রাসূলুল্লাহ (দ:)-এর আশীর্বাদ ও মহত্ত্ব ছাড়া সমগ্র এই বিশ্বজগত অস্তিত্ব পেতো না এবং আল্লাহ ছাড়া কিছুই অস্তিত্বশীল থাকতো না।”


ইমাম শেহাবউদ্দীন ইবনে হাজর আসকালানী বলেন, “এই সকল বর্ণনা ব্যক্ত করে যে মহানবী (দ:)-কে সৃষ্টি করা না হলে আল্লাহতা’লা আসমান-জমিন, বেহেশ্ত-দোযখ, চন্দ্র-সূর্য কিছুই সৃষ্টি করতেন না।”

৮ 
আল্লামা আবূল আয়াশ আবদুল আলী লাখনৌভী নিজ ‘ফাওয়াতিহ আর-রাহমূত শরহে মোসাল্লাম আস্ সুবূত’ পুস্তকে লেখেন: “রাসূলে খোদা (দ:) অস্তিত্বশীল না হলে সৃষ্টিকুল আল্লাহর রহমত-বরকত (আশীর্বাদ)-ধন্য হতো না।”



রবিবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

আদম (আ) সৃষ্টির ২ হাজার পুর্বে রাসুলুল্লাহ (সা) এর রুহ মোবারক নুরের আকৃতিতে সৃষ্টির বর্ননা :-


  • ইমাম কাজী আয়াজ (রহ) : শিফা শরীফ : ৮৯ পৃ :







মোল্লা আলী কারী (রহ) : আল মাওরিদুর রাভী : (স্ক্রীনশট দেখুন)

http://sunni-encyclopedia.blogspot.com/2015/09/blog-post_30.html?m=1

পিতা আব্দুল্লাহ (রা) এর কপালে নুরে মুহাম্মদী (সা) এর বর্ননা :-



  • পৃথিবীর সবচেয়ে প্রাচীনতম সীরাত গ্রন্থ (সীরাতে ইবনে হিশাম) থেকে নুরনবী (সা) এর প্রমান :






১) পিতা আব্দুল্লাহর কপালে নুরে মোহাম্মাদী (সা) এর বর্ননা (এই পৃষ্ঠার নিচের দিক থেকে ঘটনাটি শুরু)


২) এখানে ২টা বর্ননা আছে :
(i) পিতা খাজা আব্দুল্লাহ (রা) এর দু চোখের মাঝখানে কপালের মধ্যে নুরে মোহাম্মদী (সা)
(ii) মাতা আমেনার স্বপ্ন দেখা সেই নুর যা গর্ভ থেকে বের হয়ে শ্যাম দেশের অট্টালিকা সমুহকে আলোকিত করেছে।
এই হাদিসটি সহিহ পর্যায়ের। অসংখ্য রেফারেন্স সহ বিস্তারিত দেখতে এই লিংকে যান :- 


"আমার আন্মাজানের (স্বপ্নে) দেখা সেই নূর যা ওনার দেহ থেকে বেরিয়ে শাম দেশের প্রাসাদ সমুহকে আলোকিত করেছিল"- পর্যালোচনা :-


"আমার আন্মাজানের (স্বপ্নে) দেখা সেই নূর যা ওনার দেহ থেকে বেরিয়ে শাম দেশের প্রাসাদ সমুহকে আলোকিত করেছিল"- পর্যালোচনা :-




এই হাদিসটির বিভিন্ন সুত্রঃ


১.
হযরত কা'ব আল আহবার (রাঃ)

২.
হযরত আব্দুর রহমান বিন আউফ (রাঃ) এর মাতা শিফা বিনতে আমর ইবনে আউফ (রাঃ)

৩.
হযরত ইরবাদ ইবনে সারিয়া (রাঃ)

৪.
হযরত মু'য়াজ বিন জাবাল (রাঃ)

৫.
হযরত আবু উমামা (রাঃ)

৬.
হযরত উসমান ইবনে আবিল আস (রাঃ)

৭.
হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) 

৮.
হযরত আব্বাস ইবনে আব্দুল মুত্তালিব (রাঃ)

৯.
হযরত ইকরামা (রাঃ) 


থেকে বর্নিত রয়েছে নিচে কয়েকটি উল্লেখ করা হলঃ





সীরাত বিশ্বকোষঃ ১ম খন্ডের কভার ছবি দেখানে দেয়া হল। কিন্তু নিচের হাদিস গুলো নেয়া হয়েছে
সীরাত বিশ্বকোষঃ ৪খন্ডঃ হযরত মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) থেকেঃ
ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রকাশনীঃ








রাসুলুল্লাহ صلى الله عليه و آله وسلم বলেন :-

" আমি তোমাদের আমার পূর্বের কিছু
কথা জানাবো! তা হলো-
আমি হযরত ইব্রাহীম আলাইহিস সালামের
দোয়া আর হযরত ঈসা আলাইহিস সালামের ওনার জাতিকে দেয়া সুসংবাদ ও আমার আন্মাজানের (স্বপ্নে) দেখা সেই নূর যা ওনার দেহ থেকে বেরিয়ে শাম দেশের প্রাসাদ সমুহকে আলোকিত করেছিল.. "


Reference :

Book: Miskatul Masabih
page: 513

Book: Kanjul Ummal
Part: 11
Page: 173

From: Ibne Hibban
Book: Shahih ibne hibban
Volume: 9
Page: 106

From: Ibn al-Jawzi
Book: al-Wafa'
Page: 91,
chapter: 21 of Bidayat nabiyyina sallallahu `alayhi wa sallam

From: Imam Haythami
Book: Majma` al-zawa'id (8:221/409)

From: Al Haakim,
Book: Al mustadrak,
Volume :002,
Page No. 615-616/ 705/724
References of Hadith number 4233
or V:3 page: 27

Imam Hakim after narrating it said:

هذا حديث صحيح الإسناد شاهد للحديث الأول

Translation: This Hadith has a Sahih chain and is also a witness over the first hadith (which he mentioned in the chapter)

Reference

►Mustadrak ala Sahihayn, Volume 2, Page No. 600, Hadith No. 4175

From: Imam Ahamad
Book: Musnade Ahamad
volume: 4
page: 127
Hadith: 16701

From : Ibn e Sa'd
Book : Tabqaat Al Kubra
Volume : 1
Page : 150

From : Bayhaqi
Book : Dalaeel un Nubuwwah
Volume : 1
Page : 83
again 1:110 & 2:8

From : Ibn e 'Asakir
Book : Tareekh Madeenat Damishq
Volume/page : 1:170 and 3:393

From : Qurtabi
Book : Jami' Al Ahkaam Al quran
Volume : 2
Page : 131

From : Tabari
Book : jami' Al Bayan
Volume : 1
Page : 556

From : Ibn e Katheer
Book : Tafseer Al Quran Al Azeem
Volume : 4
Page : 360-361

From : Samarqani
Book : Tafseer
Volume : 3
Page : 421

From : Tabarai
Book : Tareekh Al Umam wal Mulook
Volume : 1
Page : 458

From : Ibn e Ishaaq
Book : Seerat An Nabwiyyah
Volume : 1
Page : 28

From : Ibn e Hisham
Book : Seerat An Nabwiyyah
Volume : 1
Page : 156

ইবনে হিশামের "সীরাতুন্নবী" কিতাবের স্ক্রীনশট দেখুন এখানে :

http://sunni-encyclopedia.blogspot.com/2015/09/blog-post_95.html?m=1

Book: Al-Bidaya wan Nehaya
Volume : 2
page: 321

Book: Musnade Afzar
Hadith: 2365

Book: Tafsire Dor're Monsor
volume : 1
page: 334

Book: Maoware dul
zamman
volume:1
pagepage:512

From : Halabi
Book : Seerat Al Halabiyyah
Volume : 1
Page : 77

"পবিত্র পৃষ্ট সমুহে নুরে মুহাম্মাদী (সা) এর পর্যায়ক্রমে স্থানান্তর" সম্পর্কিত হাদিসটি :-


  • ইমাম কাজী আয়াজ (রহ)  শিফা শরীফে বর্ননা করেন :





  • মোল্লা আলী কারী (রহ) :-







সৃষ্টিতত্ত্ব : নবী করীম (সা) হচ্ছেন সৃষ্টিগত দিক থেকে প্রথম নবী আর প্রেরিত হয়েছেন সর্বশেষে :-



(১) ইমাম ইবনুল যাওজী (রহ) [ওফাত ৫৯৭ হি]
কিতাব : জাদুল মাসীর ফী ইলমীত তাফসীর
সুরা আহযাব : ৭ নং আয়াত :
খন্ড : ৬
পৃষ্ঠা : ১৯১
প্রকাশনী : দারুল কুতুব ইলমিয়্যাহ, লেবানন

তিনি বলেন,

হযরত কাতাদা (রা) থেকে বর্নিত, "আমাদের নবী করীম (সা) হচ্ছেন সৃষ্টিগত দিক থেকে প্রথম নবী।"








(২) ইমাম ইবনে জারীর তাবারী (রহ) [ওফাত ৩১০ হি] :-

ইসলামের ইতিহাসে লিখিত সর্বাধিক সমাদৃত ও গ্রহনযোগ্য সবচেয়ে প্রাচীনতম তফসীর হল তফসীরে জারীর ইবনে তাবারী। তিনি তার তফসীরে সুরা আহযাব ৭ নং আয়াতের ব্যখ্যায় লিখেন,
নবীজী (সা) সৃষ্টিগত দিক থেকে প্রথম এবং প্রেরনের দিক থেকে সর্বশেষ নবী। হাদিসটি নিম্নরুপ :

রাসুলুল্লাহ (সা) বলেন, "
আল্লাহ তায়ালা সর্বপ্রথম নবীগনের মধ্যে আমাকে সৃষ্টি করেছেন আর প্রেরনের সময় সর্বশেষে প্রেরণ করেছেন। আর নবীগন থেকে অংগীকার নেয়ার ঘটনাও তিনি বিবৃতি করেছেন।









(৩) আল্লামা ইবনে কাসীর রহমতুল্লাহি আলাইহ নবীজির আও্বালিয়্যাত এর এ হাদিসখানা তাঁর তফসিরে ইমাম ইবনে আবি হাতেম থেকে মোত্তাসেল সনদ সহ বর্ণনা করেছেন হযরত আবু হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু তায়ালা আনহু হতে। 

নবীজী (সা) সৃষ্টির মধ্যে আমিই প্রথম আর প্রেরনের দিক থেকে আমিই সর্বশেষ নবী। 

আল্লামা ইবনে কাসীর, তফসিরুল কোরআনিল আজিমঃ ৬:১৭৭






শনিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৫

উমর (রা:)ইসলাম গ্রহণের ঘটনা নিয়ে জালীয়াতী করেছেন আহলে হাদীস শায়খ আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসূফ :-

আহলে হাদিসের ধোঁকাবাজির জবাব : ওমর (রা) এর ইসলাম গ্রহনের কাহিনী নাকি ভুয়া? 

কৃতজ্ঞতায় : ইমরান খান

তাদের ধোঁকাবাজির ভিডিওটি দেখতে এই লিংকে ক্লিক করুন ঃ

http://moklasiasunni.blogspot.com/2015/09/blog-post_19.html



(প্রসঙ্গ উমর (রা:)ইসলাম গ্রহণের ঘটনাটি নাকি মিথ্যা বানোয়াট বলে বক্তব্য প্রদান করেছেন আহলে হাদীসের শায়খ তার জবাবে এই পোষ্ট)







  • উমর (রা:)ইসলামের গ্রহণের ঘটনাটির হাদীস :
  • উমর (রা:) মুহাম্মদ (সা) কে হত্যার উদ্দেশ্যে বের হয়েছিলেন। পথিমধ্যে তার বন্ধু নাইম বিন আবদুল্লাহর সাথে দেখা হয়। নাইম গোপনে মুসলিম হয়েছিলেন তবে উমর তা জানতেন না। উমর তাকে বলেন যে তিনি মুহাম্মদ (সা) কে হত্যার উদ্দেশ্যে যাচ্ছেন। এসময় উমর তার বোন ও ভগ্নিপতির ইসলাম গ্রহণের বিষয়ে জানতে পারেন।[১৪]
  • এ সংবাদে রাগান্বিত হয়ে উমর তার বোনের বাড়ির দিকে যাত্রা করেন। বাইরে থেকে তিনি কুরআন তিলাওয়াতের আওয়াজ শুনতে পান। এসময় খাব্বাব বিন আরাত তাদের সুরা তাহা বিষয়ে পাঠ দিচ্ছিলেন। [১৫] 
  • উমর ঘরে প্রবেশ করলে তারা পান্ডুলিপিটি লুকিয়ে ফেলেন। কিন্তু উমর তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে একপর্যায়ে তাদের উপর হাত তোলেন। এরপর বোনের বক্তব্যে তার মনে পরিবর্তন আসলে তিনি স্নেহপূর্ণভাবে পান্ডুলিপিটি দেখতে চান। কিন্তু তার বোন তাকে পবিত্র হওয়ার জন্য গোসল করতে বলেন এবং বলেন যে এরপরই তিনি তা দেখতে পারবেন।[১৬] 
  • উমর গোসল করে পবিত্র হয়ে সুরা তাহার আয়াতগুলো পাঠ করেন। এতে তার মন ইসলামের দিকে ধাবিত হয়। এরপর তিনি মুহাম্মদ (সা) এর কাছে গিয়ে ইসলামগ্রহণ করেন। 
  • রেফারেন্স :-
       
বুখারী শরীফ-হামেদীয়া প্রকাশনী-৫ম খন্ড-১২৯-১৩০ পৃ:.
সীরাত ইবনে হিশাম-ইসলামিক ফা:-১মখন্ড-৩০৩-৩০৫ পৃ:.
ইসলামের ইতিহাস-ইসলামিক ফা:-১মখন্ড-১০৫ পৃ:.
সীরাতে মোস্তফা-ইসলামিক ফা:-১মখন্ড-২২৬ পৃ:






রাসুলুল্লাহ (সা) এর নুর সম্পর্কে ইবনে কাসীর (রহ) এর আকিদা :-