সূরা ফাতিহা পড়ার দলীলঃ –
আবু হুরায়রা (রা) হতে বর্নিত, তিনি বলেন, ‘নাবী কারীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি অয়াসাল্লাম) বলেছেন, “যে ব্যক্তি সলাতের মধ্যে সূরা ফাতিহা পড়ল না তার সলাত বাতিল,বাতিল,বাতিল।“অতঃপর আবু হুরায়রাকে জিজ্ঞাসা করা হল যে, আমরা যখন ইমামের পিছনে সলাত পড়বো? তিনি বললেন, তখনো তোমরা তা মনে মনে পাঠ করবে।‘[মুসলিম; অনুরূপ বহু হাদিস বর্নিত আছে বুখারি,তিরমিজি,নাসাই এবং মিশকাত শরীফে]
কুরআন কারিমের “হে রাসূল আমি আপনাকে দান করেছি এমন সাতটি আয়াত যা বারবার পড়া হয় এবং মহান কুরআন”[সূরা হিজরঃ ৮৭]
হুছাইন ইবনে হুরায়ছ(রাহ)……উবাই ইবনে কা’ব(রা) থেকে বর্নিত। তিনি বলেন, “নাবী কারীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি অয়াসল্লাম) বলেছেন আল্লাহ তাআলা সূরা ফাতিহার মত তাওরাত বা ইঞ্জিলে কোন আয়াত নাজিল করেন নি। তা সাত আয়াত যা বারবার পড়া হয়ে থাকে।”।
[সুনানে নাসাঈঃ ৯১৭,
, “আল্লাহ তায়ালার বানীঃহে রাসূল আমি আপনাকে দান করেছি এমন সাতটি আয়াত যা বারবার পড়া হয় এবং মহান কুরআন” অধ্যায়; ইসলামিক ফাউন্ডেশন]
মুহাম্মদ ইবনে কুদামা…ইবনে আব্বাস(রা) হতে বর্নিত। তিনি বলেন “নাবী কারীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি অয়াশাল্লাম) কে দান করা কুরআন মাজিদের সাতটি বড় সূরা। তিনি এ হাদিসে ‘সাব’আম মিনাল মাছানি’ (এমন সাতটি আয়াত যা বারবার পড়া হয়) বলতে সাতটি বড় সূরার কথা বুজিয়েছেন”।
[
সুনানে নাসাঈঃ ৯১৮,
“আল্লাহ তায়ালার বানীঃহে রাসূল আমি আপনাকে দান করেছি এমন সাতটি আয়াত যা বারবার পড়া হয় এবং মহান কুরআন” অধ্যায়; ইসলামিক ফাউন্ডেশন]
→→ ব্যাখ্যা ও clearification নিচে পেয়ে যাবেন।
সূরা ফাতিহা না
পড়ার দলীলঃ –
- আল্লাহ তাআলা বলেন, “যখন কুরআন পাঠ করা হয় তখন তোমরা চুপ থাক এবং মনযোগ সহকারে শুন, আশা করা যায় তোমরা রাহমাত প্রাপ্ত হবে”।[সূরা আরাফঃ ২০৪]
- হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসুদ,আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস,আব্দুল্লাহ ইবনে মুগাফফাল, আবু হুরায়রা (রা) এর মতে এই আয়াত নাজিল হয় জুমা’র খুতবা এবং সলাতের ব্যাপারে [তাফসীর ইবনে কাসির]।
- এ আয়াতের মাধ্যমে নামাযে নীরবে কিরআত শুনা ওয়াজিব হয়ে যায়। এভবে বহু সংখ্যক দলিলের মাধ্যমে ইমাম আবু হানিফা (রহ) এই মত দেন যে প্রকাশ্য অপ্রকাশ্য কোন নামাজে ইমামের পিছনে কোন সূরা পড়ার দরকার নেই।
হযরত আ’তা ইবনে ইয়াশার (রা) থেকে বর্নিত যে তিনি যাইদ ইবনে সাবিত (রা) কে ইমামের পিছনে কিরাত পড়া সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, “কোন সলাতেই মহান কুরআন থেকে ইমামের পিছনে কোন তিলাওয়াত নেই”।[সহিহ মুসলিমঃ সুজুদ-উত-তিলওয়াত অধ্যায়]
আবু নুয়াঅম ওহব ইবনে কায়সন (রহ) হতে বর্নিত- তিনি জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ (রা) কে বলতে শুনেছেনঃ “যে ব্যাক্তি এমন এক রাকাত নামাজ পড়েছে যে তাতে সূরা ফাতিহা পড়ে নাই তার নামাজ হয় নাই,অবশ্য সেই ব্যাক্তি যদি ইমামের পেছনে (নামাজ পড়ে) থাকে (তাহলে নামাজ শুদ্ধ হয়েছে)”। [মুয়াত্তা মালিকঃনামাজ অধ্যায়-রেওয়াত ৩৮-ইসলামিক ফাউন্ডেশন]
নাফি(রহ) হতে বর্নিত আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর (রা) কে প্রশ্ন করা হত ইমামের পিছনে কেউ কুরআন পাঠ করবে কি? তিনি বলতেন “তোমাদের মধ্যে কেউ যখন ইমামের পিছনে নামাজ আদায় করবে তখন ইমামের কিরাতই তার জন্য যথেষট, আর যখন একাকি নামাজ আদায় করবে তখন তোমরা কুরআন পাঠ করবে” [মুয়াত্তা মালিকঃনামাজ অধ্যায়-রেওয়াত ৪৩-ইসলামিক ফাউন্দেশন]
জারূদ ইবনে মূআজ তিরমিজি (রাহ)…আবু হুরায়রা(রা) হতে বর্নিত। তিনি বলেন, “নাবী কারীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি অয়াসাল্লাম) বলেছেন ইমাম নিযুক্ত করা হয়েছে তাঁর অনুসরণ করার জন্য। অতএব যখন সে তাকবির পড়ে তোমারাও তখন তাকবীর পড় আর যখন সে কুরআন পড়বে তখন তোমরা চুপ থাকবে, যখন তিনি বলেন ‘সামিআল্লাহ হুলেমান হামিদাহ’, তখন তোমরা বলবে ‘রাব্বানা লাকাল হামদ’।[সুনানে নাসাইঃ৯২৪, “আল্লাহ তাআলা’র বানীঃ যখন কুরআন পাঠ করা হয় তখন তোমরা চুপ থাক এবং মনযোগ সহকারে শুন, আশা করা যায় তোমরা রাহমাত প্রাপ্ত হবে আয়াতের ব্যাখ্যা” অধ্যায়; ইসলামিক ফাউন্ডেশন]
[একটি দীর্ঘ হাদিসের অংশ বিশেষ] আবু মুসা আশআ’রি (রা) হতে বর্নিত, ‘ নাবী কারীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি অয়াসাল্লাম) আমাদের সলাত পড়া শিক্ষা দিয়েছেন।তিনি বলেন, তোমারা যখন সলাত পড়বে তখন তোমাদের কাতারগুলো সোজা করে নাও।তারপর তোমাদের মধ্যে একজনকে ইমাম নিযুক্ত কর।সে যখন তাকবীর বলবে তোমরাও তাকবীর বলবে……।’
★ কাতাদা থেকে এই সূত্রেও একই হাদিস বর্নিত হয়েছে। জারীর সুলাইমানের সূত্রে কাতাদার এই হাদিস বর্ননা করেন। এই বর্ননায় আরও আছে ‘ইমাম যখন সূরা পাঠ করে তোমরা তখন চুপ থাক’।
★ আবু ইসহাক বলেন আবু নদরের বোনের ছেলে আবু বকর বলেন, এই হাদিসটি একবার আলোচিত হলে ★ ইমাম মুসলিম বলেন, সুলাইমানের এই বর্ননা সম্পূর্ন সহিহ। আবু বকর বললেন আবু হুরায়রার বর্ননা (আবু হুরায়রা থেকে বর্নিত একই হাদিস)সম্পর্কে আপনার কি মত? তিনি বললেন তার বর্ননাও সহিহ অর্থাৎ ইমাম যখন সূরা পাঠ করে তোমরা তখন চুপ থাক।
[মুসলিমঃকিতাবুস সলাত অধ্যায়-৭৯৯/৮০০ নং হাদিসঃবাংলাদেশ ইসলামিক সেনটার কতৃক অনুদিত]
এ ব্যাপারে
সুন্নী-
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন