Written by (Masum Billah Sunny)
দ্বীনকে খন্ড-বিখন্ড না করার আদেশঃ
নোট : এর থেকে বুঝা যায় যেই দলটা জান্নাতী হবে তারা দ্বীন ইসলামের মধ্যেই আছে ,আর থাকবে।
তারা দ্বীনকে খন্ড করবে না কিন্তু বাতিল যারা তারাই খন্ড করে আলাদা হয়ে যাবে।
® হযরত আব্দুল্লাহ বিন আমর রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-আমার উম্মত তা’ই করবে যা করেছে বনী ইসরাঈলের লোকেরা। এক জুতা অপর জুতার সমান হওয়ার মত। এমনকি যদি ওদের মাঝে কেউ মায়ের সাথে প্রকাশ্যে জিনা করে থাকে, তাহলে এই উম্মতের মাঝেও এরকম ব্যক্তি হবে যে একাজটি করবে। আর নিশ্চয় বনী ইসরাঈল ছিল ৭২ দলে বিভক্ত। আর আমার উম্মত হবে ৭৩ দলে বিভক্ত। এই সব দলই হবে জাহান্নামী একটি দল ছাড়া। সাহাবায়ে কিরাম জিজ্ঞেস করলেন-সেই দলটি কারা? নবীজী সাঃ বললেন-যারা আমার ও আমার সাহাবাদের মত ও পথ অনুসরণ করবে।
★ সুনানে তিরমিযী, হাদীস নং-২৬৪১,
★ আল মু’জামুল কাবীর, হাদীস নং-৭৬৫৯,
★ আল মু’জামুল আওসাত, হাদীস নং-৪৮৮৯,
★ কানযুল উম্মাল ফি সুনানিল আকওয়াল ওয়াল আফআল, হাদীস নং-১০৬০
যেই ফিরক্বাটি উম্মতে মুহাম্মদীদে বাড়বে তারা হল-যারা ওলামাদের সাথে শত্রুতা করবে, আর ফুক্বাহাদের প্রতি রাখবে বিদ্বেষ। এই গ্রপটি পূর্ব উম্মতের মাঝে ছিল না।
{তাফসীরে কুরতুবী, সূরাতুল আনআম)
Note: এখনকার ওহাবী সালাফীরা কি করে? তারা বলে যে শুধু কুরআন ও সহিহ হাদিস মানি কোন ইমাম মানি না। ইমামগন নাকি ভুল করতে পারে আর তারা সঠিক ব্যখ্যা জানে তাই তাদের ইমাম লাগে না।
রাসুল সাঃ আরো বলেন , নিশ্চয় আমার উম্মাতের মধ্যে এমন দলসমুহ বাহির হইবে যে,
→ উহাদের মধ্যে বদ আকিদা নাফছানি খাহেশাত এমন ভাবে সংক্রামিত হইবে যেমন পাগলা কুকুরের বিশ সংক্রামিত হয় দংশিত ব্যক্তির মধ্যে।
→ কু-আকিদা ও কু-রিপুসমুহ ঐ গোমরাহ লোকদের প্রতিটি নাড়ী নক্ষত্র ও প্রত্যেক গ্রন্থিতে সংক্রামিত হইবে।
(আবু দাউদ কর্তৃক বর্ণীত)
হযরত গাউসে পাক আব্দুল কাদের জিলানী (রঃ) এর রায়ঃ
★ হযরত গাউসে পাক আব্দুল কাদির জিলানী (রঃ) ওনার “গুনিয়াতুত ত্বালেবীন” নামক কিতাব এ লিখেন, ৭৩ ফেরকা মুলতঃ মুল দশটি ফেরকার শাখা প্রশাখা। সেই দশটি ফেরকা হইলঃ
(১) আহলে সুন্নাত,
(২) খারেজী
(৩)শিয়া বা রাফেজী,
(৪) মোতায়েলা ,
(৫) মারযিয়া,
(৬) মুশাব্বাহা,
(৭) জাহমিয়া,
(৮) জারারিয়া,
(৯) নাজ্জারিয়া,
(১০)কালাবিয়াহ।
আহলে সুন্নাত বা সুন্নি জামাতের কোন শাখা প্রশাখা নাই। ৪টি মাযহাব কোনো দল নয় বরং এটা ফিকাহ একেকটা ফিকাহ এর স্কুলের মত। তাদের সবার আকীদা একই।
কিন্তু অপরাপর ৯টি দলেরই শাখা প্রশাখা বর্তমান এবং তারা ভিন্ন আকীদায় বিশ্বাসী।
হযরত গাউস পাক আব্দুল কাদের জিলানী রঃ বলেন খারেজী দলের শাখা ১৪টি,
শিয়া বা রাফেজী ৩৩টি,
মোতাযেলার ৬টি,
মারজিয়ার ১২টি,
মুশাব্বাহার ৩টি,
জারারিয়া,
কালাবিয়াহ,
নাজ্জারিয়া,
জাহমিয়ার একটি করে মোট ৭৩ টি ফেরকা বর্তমান।
★ মোল্লা আলী ক্বারী বলেছেন,
নাজাতপ্রাপ্ত দলটি হল আহলে সুন্নাত ওয়াল
জামায়াত।
রেফারেন্স :
মোল্লা আলী কারী (রহ) : মিরকাত শরহে মিশকাত
★ “তোমাদের অবশ্যই তাদের অনুসরণ করতে হবে। বস্তুত আল্লাহ তা’আলা কখনই হুজুরে পাক(সাঃ) এর উম্মাতের বৃহদাংশকে কখনই ভুলে উপর প্রতিষ্ঠিত করবেন না।“ [ইবন আবি শায়বা এই হাদীসের চেইনটিকে sound chain বলেছেন, হাদীস নং ৩৫৪।]
★“বস্তুত আল্লাহ তা’আলা কখনই মুসলমানদের ভুলের উপর একত্রিত করবেন না, আল্লাহ এর করুণা থাকবে সেই জামা’আতের উপর, সুতরাং মুসলাম উম্মাহ এর বৃহদাংশকে অনুসরণ কর। যারা তাদের থেকে ভিন্ন মত পোষণ করবে তারা নরকে যাবে” [বর্ণনাটি সহীহ, ইবন হাকীম(১/১১৬) এবং ইমাম ধাবাবী(রঃ) উনার সাথে একমত]
দ্বীনকে খন্ড-বিখন্ড না করার আদেশঃ
নিশ্চয় যারা স্বীয় ধর্মকে খন্ড-বিখন্ড করেছে এবং অনেক দল হয়ে গেছে, তাদের সাথে আপনার কোন সম্পর্ক নেই। তাদের ব্যাপার আল্লাহ তা`আয়ালার নিকট সমর্পিত। অতঃপর তিনি বলে দেবেন যা কিছু তারা করে থাকে।
(The Cattle (Al-Anàam)/159)
যারা তাদের ধর্মে বিভেদ সৃষ্টি করেছে এবং অনেক দলে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। প্রত্যেক দলই নিজ নিজ মতবাদ নিয়ে উল্লসিত।
(The Romans (Ar-Rüm)/32)
অতঃপর তাদের মধ্যে থেকে বিভিন্ন দল মতভেদ সৃষ্টি করল। সুতরাং যালেমদের জন্যে রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক দিবসের আযাবের দুর্ভোগ
(Gold Adornments (Az-Zukhruf)/65)
আর তোমরা সকলে আল্লাহর রজ্জুকে সুদৃঢ় হস্তে ধারণ কর; পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ো না। আর তোমরা সে নেয়ামতের কথা স্মরণ কর, যা আল্লাহ তোমাদিগকে দান করেছেন। তোমরা পরস্পর শত্রু ছিলে। অতঃপর আল্লাহ তোমাদের মনে সম্প্রীতি দান করেছেন। ফলে, এখন তোমরা তাঁর অনুগ্রহের কারণে পরস্পর ভাই ভাই হয়েছ। তোমরা এক অগ্নিকুন্ডের পাড়ে অবস্থান করছিলে। অতঃপর তা থেকে তিনি তোমাদেরকে মুক্তি দিয়েছেন। এভাবেই আল্লাহ নিজের নিদর্শনসমুহ প্রকাশ করেন, যাতে তোমরা হেদায়েত প্রাপ্ত হতে পার।
(Surah Al-Imran. 3/103)
তারা দ্বীনকে খন্ড করবে না কিন্তু বাতিল যারা তারাই খন্ড করে আলাদা হয়ে যাবে।
৭৩ ফির্কার আবির্ভাবঃ
® হযরত আব্দুল্লাহ বিন আমর রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-আমার উম্মত তা’ই করবে যা করেছে বনী ইসরাঈলের লোকেরা। এক জুতা অপর জুতার সমান হওয়ার মত। এমনকি যদি ওদের মাঝে কেউ মায়ের সাথে প্রকাশ্যে জিনা করে থাকে, তাহলে এই উম্মতের মাঝেও এরকম ব্যক্তি হবে যে একাজটি করবে। আর নিশ্চয় বনী ইসরাঈল ছিল ৭২ দলে বিভক্ত। আর আমার উম্মত হবে ৭৩ দলে বিভক্ত। এই সব দলই হবে জাহান্নামী একটি দল ছাড়া। সাহাবায়ে কিরাম জিজ্ঞেস করলেন-সেই দলটি কারা? নবীজী সাঃ বললেন-যারা আমার ও আমার সাহাবাদের মত ও পথ অনুসরণ করবে।
★ সুনানে তিরমিযী, হাদীস নং-২৬৪১,
★ আল মু’জামুল কাবীর, হাদীস নং-৭৬৫৯,
★ আল মু’জামুল আওসাত, হাদীস নং-৪৮৮৯,
★ কানযুল উম্মাল ফি সুনানিল আকওয়াল ওয়াল আফআল, হাদীস নং-১০৬০
® হাদিসের ব্যখ্যানুসারে পাওয়া যায়ঃ-
→ পূর্বের উম্মত যাই করেছে এই উম্মতও তাই করবে নাফরমানীর দিক থেকে। তথা ওরা যত পদ্ধতিতে নাফরমানী করেছে এই উম্মতও সেই পদ্ধতীতে নাফরমানী করবে।
→ সুতরাং আল্লাহর নাফরমানী করার ৭১টি পদ্ধতিওয়ালা বাতিল ফিরক্বা পূর্ব উম্মত থেকে গ্রহণ করবে এই উম্মত।
→ তথা ৭১টি বাতিল ফিরক্বার মত ও পথ পূর্ব উম্মতের মত এই উম্মতেও থাকবে।
→ আর জান্নাতী ছিল পূর্ব উম্মতের ৭২ ফিরক্বার মাঝে একটি ফিরক্বা।
সেটিও এ উম্মতে পূর্ব পদ্ধতি অনুযায়ী থাকবে।
→ শুধু বাড়বে একটি বাতিল ফিরক্বা এই উম্মতে। যেই বাতিল ফিরক্বার কোন নজীর পূর্ব উম্মতের মাঝে ছিল না। সেই বর্ধিত বাতিল ফিরক্বাটি কারা? আল্লামা কুরতুবী রহঃ তার প্রণীত তাফসীরে কুরতুবীতে লিখেন-
. وقد قال بعض العلماء العارفين : هذه الفرقة التي زادت في فرق أمة محمد صلى الله عليه وسلم هم قوم يعادون العلماء ويبغضون الفقهاء ، ولم يكن ذلك قط في الأمم السالفة.( الجامع لأحكام القرآن
المؤلف : أبو عبد الله محمد بن أحمد بن أبي بكر بن فرح الأنصاري الخزرجي شمس الدين القرطبي (المتوفى : 671)
{তাফসীরে কুরতুবী, সূরাতুল আনআম)
Note: এখনকার ওহাবী সালাফীরা কি করে? তারা বলে যে শুধু কুরআন ও সহিহ হাদিস মানি কোন ইমাম মানি না। ইমামগন নাকি ভুল করতে পারে আর তারা সঠিক ব্যখ্যা জানে তাই তাদের ইমাম লাগে না।
রাসুল সাঃ আরো বলেন , নিশ্চয় আমার উম্মাতের মধ্যে এমন দলসমুহ বাহির হইবে যে,
→ উহাদের মধ্যে বদ আকিদা নাফছানি খাহেশাত এমন ভাবে সংক্রামিত হইবে যেমন পাগলা কুকুরের বিশ সংক্রামিত হয় দংশিত ব্যক্তির মধ্যে।
→ কু-আকিদা ও কু-রিপুসমুহ ঐ গোমরাহ লোকদের প্রতিটি নাড়ী নক্ষত্র ও প্রত্যেক গ্রন্থিতে সংক্রামিত হইবে।
(আবু দাউদ কর্তৃক বর্ণীত)
হযরত গাউসে পাক আব্দুল কাদের জিলানী (রঃ) এর রায়ঃ
★ হযরত গাউসে পাক আব্দুল কাদির জিলানী (রঃ) ওনার “গুনিয়াতুত ত্বালেবীন” নামক কিতাব এ লিখেন, ৭৩ ফেরকা মুলতঃ মুল দশটি ফেরকার শাখা প্রশাখা। সেই দশটি ফেরকা হইলঃ
(১) আহলে সুন্নাত,
(২) খারেজী
(৩)শিয়া বা রাফেজী,
(৪) মোতায়েলা ,
(৫) মারযিয়া,
(৬) মুশাব্বাহা,
(৭) জাহমিয়া,
(৮) জারারিয়া,
(৯) নাজ্জারিয়া,
(১০)কালাবিয়াহ।
আহলে সুন্নাত বা সুন্নি জামাতের কোন শাখা প্রশাখা নাই। ৪টি মাযহাব কোনো দল নয় বরং এটা ফিকাহ একেকটা ফিকাহ এর স্কুলের মত। তাদের সবার আকীদা একই।
কিন্তু অপরাপর ৯টি দলেরই শাখা প্রশাখা বর্তমান এবং তারা ভিন্ন আকীদায় বিশ্বাসী।
হযরত গাউস পাক আব্দুল কাদের জিলানী রঃ বলেন খারেজী দলের শাখা ১৪টি,
শিয়া বা রাফেজী ৩৩টি,
মোতাযেলার ৬টি,
মারজিয়ার ১২টি,
মুশাব্বাহার ৩টি,
জারারিয়া,
কালাবিয়াহ,
নাজ্জারিয়া,
জাহমিয়ার একটি করে মোট ৭৩ টি ফেরকা বর্তমান।
★ মোল্লা আলী ক্বারী বলেছেন,
নাজাতপ্রাপ্ত দলটি হল আহলে সুন্নাত ওয়াল
জামায়াত।
রেফারেন্স :
মোল্লা আলী কারী (রহ) : মিরকাত শরহে মিশকাত
★ “তোমাদের অবশ্যই তাদের অনুসরণ করতে হবে। বস্তুত আল্লাহ তা’আলা কখনই হুজুরে পাক(সাঃ) এর উম্মাতের বৃহদাংশকে কখনই ভুলে উপর প্রতিষ্ঠিত করবেন না।“ [ইবন আবি শায়বা এই হাদীসের চেইনটিকে sound chain বলেছেন, হাদীস নং ৩৫৪।]
★“বস্তুত আল্লাহ তা’আলা কখনই মুসলমানদের ভুলের উপর একত্রিত করবেন না, আল্লাহ এর করুণা থাকবে সেই জামা’আতের উপর, সুতরাং মুসলাম উম্মাহ এর বৃহদাংশকে অনুসরণ কর। যারা তাদের থেকে ভিন্ন মত পোষণ করবে তারা নরকে যাবে” [বর্ণনাটি সহীহ, ইবন হাকীম(১/১১৬) এবং ইমাম ধাবাবী(রঃ) উনার সাথে একমত]
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন