মঙ্গলবার, ২৭ জুন, ২০১৭

নাস্তিকদের নাস্তিক্যবাদ এর জবাবঃ

®→ নাস্তিকরা প্রশ্ন করে কোথায় আল্লাহ?
আল্লাহ বলেন, আল্লাহকে নিয়ে গবেষণা না করে আল্লাহর সৃষ্টিকে নিয়ে গবেষণা করো। (আল-কুরআন)

®→ কারণ তাকে নিয়ে তোমার মত ক্ষুদ্র সৃষ্টি কি গবেষণা করার ক্ষমতা রাখে? যিনি কিনা সমস্ত বিশ্ব-ভ্রাম্যন্ড সহ সমস্ত মহাকাশ, ছায়াপথ আর গ্রহনক্ষাত্রিপুঞ্জ সৃষ্টি করেছেন?

®→ কখনো কি দেখেছো পিপীলিকা মহাবিশ্ব ঘুরার স্বপ্ন দেখে কিংবা এক ফোটা জল সমস্ত মহাসমুদ্রসমূহে নিজের আয়তণ/অবস্থান নিয়ে গর্ব করার ক্ষমতা রাখে?

®→ তোমার যে Cerebral Hemisphere (মস্তিষ্ক) আল্লাহকে সিজদার shape এ সৃষ্টি করা হয়েছে, যে মস্তিষ্ক তোমার প্রভুকে সিজদায় রত তুমি কেন কর না?

®→ যে প্রভু মস্তিষ্কের কোটি কোটি Neurons cell সৃষ্টি করেছেন, সেই Neurons কিভাবে প্রভুর অস্বীকারকারী হয়? গোস্তাখীকারী হয় একবারো ভাবো না?

®→ আরো নিদর্শন দেখো বাস্তব যা তোমার চোখের সম্মুখে রয়েছে -
"রমজান শুরু হল, রহমতের বৃষ্টিও শুরু, নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়া" আর রমজান শেষ বৃষ্টিও শেষ, তীব্র দাবদাহ শুরু।"
এখন তুমি বলবে বৃষ্টিতে ঘুর্নিঝরও এসেছিল, মানুষের প্রচুর ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছে। হ্যা, তুমি বৃষ্টির সে ভয়ংকর কুতসিৎ রুপগুলোই দেখেছ যেমন তোমার ভয়ানক কুতসিৎ তোমার মন কারণ তুমি নাস্তিক।

®→ এজন্যই আল্লাহ পাক বারবার বলেছেন,"তোমরা তোমাদের রবের কোন অনুগ্রহকে অস্বীকার করবে? (আর-রহমান)

সোমবার, ১৯ জুন, ২০১৭

বিখ্যাত মনীষীগণের নবীপ্রেমের দৃষ্টান্তঃ



কেউ রাসূলের আনুগত্য করলে সে তো আল্লাহরই আনুগত্য করে 

— সূরা নিসা, আয়াত-৮০

অতএব রাসূল (সা.)-এর প্রতি সম্মান প্রদর্শন করলে আল্লাহর প্রতিই সম্মান প্রদর্শন করা হয়। 

পৃথিবীর সৎ চরিত্রবান আল্লাহ বিশ্বাসী ত্যাগী নির্লোভ ভালো লোকদের সম্মান করার জন্য আধ্যাত্মিক মহাপুরুষ বিপ্লবী সুফি নেতা মওলানা ভাসানী হুজুর (রহ.) তার ভক্ত-মুরিদদের নির্দেশ দিয়ে গেছেন। সমগ্র সৃষ্টি জগতের ওপর রহমত বর্ষণকারী ও মানব জাতির কল্যাণ এবং মুক্তিকামী আল্লাহর প্রেরিত সর্বোত্তম চরিত্রের অধিকারী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রতি তার আধ্যাত্মিক অনুসারীদের সদাসর্বদা নিঃস্বার্থ ত্যাগ, ভালোবাসা ও সম্মান প্রদর্শনের জন্যও তিনি নির্দেশনা দিয়ে গেছেন। 

ঈদে মিলাদুন্নবীতে মওলানা ভাসানী হুজুর (রহ.) তার ভক্ত-অনুসারীদের নিয়ে নিজেই মিলাদ পাঠ করতেন। আমরা যারা তার সঙ্গে ছিলাম, সবাই মিলাদ মাহফিলে শরিক হতাম। নবী (সা.)-এর প্রতি সম্মান প্রদর্শনের জন্য মিলাদ মাহফিলে হুজুর ভাসানী কিয়াম করতেন। আমরাও তার সঙ্গে কিয়াম করতাম। কিয়াম অর্থ আদব বা সম্মান রক্ষার্থে দাঁড়ানো। এ আদব রক্ষা করা ইবাদতের অংশ প্রেমিকদের জন্য। হুজুর ভাসানী বলতেন, নবী (সা.)-এর প্রতি যারা এ আদব রক্ষা করবে না তারা আল্লাহর রহমত থেকে বঞ্চিত থাকবে। নূরে মোহাম্মদীর প্রতি সম্মান প্রদর্শনের জন্য হজরত আদম আলাইহিস সালামকে সিজদা করতে হুকুম দিলেন আল্লাহ পাক। সব ফেরেশতা সিজদা করলেন আদমকে (আ.)। কিন্তু ইবলিশ আপত্তি উত্থাপন করে বলল, আমি আগুনের তৈরি এবং তার চেয়ে উত্তম। অতএব আমি সিজদা করব না। দুর্ভাগা ইবলিশ শয়তান বুঝল না যে, এটা না করে সে স্বয়ং আল্লাহর হুকুমকে অমান্য করল। আল্লাহ যে মাটির আদমের ভেতরে নূরে মোহাম্মাদীর নূরকে অনুপ্রবেশ করিয়েছেন এটা সে বুঝতে পারল না। সে পথভ্রষ্ট ও আল্লাহতায়ালার অভিশাপে অভিশপ্ত হল। এ কারণে শয়তান যুক্তি ও কূট তর্কের মাধ্যমে মানুষকে বিভ্রান্ত করতে বদ্ধপরিকর হয়। মওলানা ভাসানী হুজুর (রহ.) বলেন, নবী-বিদ্বেষীদের শত ইবাদতও কোনো কাজে আসবে না। ওরা আল্লাহর সহজ-সরল, সত্য-সুন্দর পথকে বাঁকা দৃষ্টিতে দেখবে। কারণ ওদের অন্তরে ব্যাধি রয়েছে। এদের সম্পর্কে আল্লাহ পাক পবিত্র কোরআনে বলেছেন, 

তাদের অন্তরে ব্যাধি রয়েছে। অতঃপর আল্লাহ তাদের ব্যাধি বৃদ্ধি করেছেন ও তাদের জন্য রয়েছে কষ্টদায়ক শাস্তি, কারণ তারা মিথ্যাচারী 

— সূরা বাকারা, আয়াত : ১০

মুর্শীদ মওলানা হুজুর ভাসানী (রহ.) আরও বলেছেন, নবী বিদ্বেষের মহাব্যাধি যার হৃয়কে আচ্ছন্ন করে ফেলেছে- সে অন্ধকারের ভয়াবহ অতল গহ্বরে পতিত হয়ে ধ্বংস হয়ে যাবে। যার জ্বলন্ত প্রমাণ ইবলিশ শয়তান। সে আদব নষ্ট করে বেয়াদবের খাতায় নাম লিখিয়ে চিরতরে জাহান্নামি হয়ে গেছে। অতএব যারা নবীর প্রতি আদব রক্ষা করে চলবেন তারা থাকবেন ফেরেশতাদের কাতারে। আর যারা তা রক্ষা করবে না তারা থাকবে ইবলিশের কাতারে। এ প্রসঙ্গে আল্লামা রুমী বলেন : 

আয় খোদা খাহিমে তাওফিকে আদব 

বেয়াদব মাহ্রুম মানাদ আয লুতফে রব। 

অর্থাৎ : ‘হে খোদা! আমাকে আদব রক্ষা করার তাওফিক দাও। কারণ বেয়াদব আল্লাহর করুণা থেকে বঞ্চিত থাকে।’ 

মদিনার আউস গোত্রের সর্দার ছিলেন হজরত সাআদ বিন মুয়াজ (রা.)। বনু কোরাইযার যুদ্ধে হজরত সাআদকে তারা সালিশি মানে। যে কারণে হজরত সাআদকে হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ডেকে পাঠান। হজরত সাআদ (রা.) যখন মসজিদের সামনে এসে পৌঁছলেন, তখন হুজুর আলাইহিস সাল্লাম আনসার সাহাবিদের নির্দেশ দিলেন তোমাদের সর্দারের প্রতি সম্মানার্থে সবাই দাঁড়িয়ে যাও। নবী (সা.)-এর এ কথায় উপস্থিত সাহাবিরা দাঁড়িয়ে তাকে সম্মান দেখান। তাকে সওয়ারি থেকে তারা নামিয়ে আনেন [বোখারি শরিফ] এটা ছিল একজন সর্দারের প্রতি সম্মান প্রদর্শনের কিয়াম। 

হজরত ওসমান (রা.) হুজুর নবীয়ে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ওফাত হওয়ার কারণে নাজাত সম্পর্কে একটি মাসআলা নবী পাকের কাছে জিজ্ঞেস করতে পারেননি বলে খুবই চিন্তাযুক্ত ছিলেন। হজরত আবু বকর সিদ্দিক (রা.) এ কথা জানতে পেরে হজরত ওসমানকে (রা.) বললেন, আপনার ওই বিষয়ে হজরত নবী পাকের কাছে জিজ্ঞেস করেছিলাম। এ কথা শুনে হজরত ওসমান (রা.) হজরত আবু বকরের (রা.) সম্মানে তাৎক্ষণিকভাবে দাঁড়িয়ে গেলেন। 

আধ্যাত্মিক এবং জাগতিক উভয় দিক দিয়ে নবীকে (সা.) সঠিকভাবে জানতে হুজুর ভাসানী (রহ.) আমাদের বিভিন্ন মনীষীর জীবন-দর্শন অধ্যয়নে উৎসাহিত করতেন। মওলানা জালাল উদ্দিন রুমী, ইবনুল আরাবী, শাহ ওয়ালিউল্লাহ দেহলভী, আল্লামা আজাদ সোবহানী, ইমাম গাজ্জালি, হজরত আবদুল কাদের জিলানী (রহ.), সাহাবি (রা.) ও আল্লামা কবি ইকবালের নাম উল্লেখযোগ্য। এদের মধ্যে আল্লামা দার্শনিক কবি ইকবাল নবী (সা.) সম্পর্কে ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে বলেন- 

আবদু দিগার আবদুহু চিজে দিগার। 


ই-ছেরাপাঁ এন্তেজার উঁ মুন্তাজার।
অর্থাৎ, ‘আবদুন’ এক জিনিস আর ‘আবদুহু’ অন্য জিনিস। আল্লাহকে রাজি বা সন্তুষ্ট করানোর জন্য যিনি ব্যস্ত থাকেন তিনি আবদুন, আর যাকে রাজি বা সন্তুষ্ট করানোর জন্য স্বয়ং আল্লাহ ব্যস্ত থাকেন তিনি আবদুহু [সোবহানাল্লাহ] এতে বুঝা যায় সব মোমিন ‘আবদুন’, আর নবীয়েদোজাহাঁ শাফিয়ে মজরেমা হলেন, ‘আবদুহু’। যেমন কলেমায় বলা হয়েছে- আবদুহু ওয়ারাসূলুহু। কোরআন পাকে বলা হয়েছে- আসরা বিআবদিহি। সুতরাং যারা মাওলানা হয়েছেন, মুফতির সাইন বোর্ড লাগিয়েছেন, চিন্তাবিদ মুসলিম দার্শনিক নাম ধারণ করে কোরআন হাদিসের মুখপাত্র হয়েছেন, কিন্তু আবদুন আর আবদুহুর পার্থক্য করতে পারেননি এর চেয়ে দুঃখের বিষয় আর কী হতে পারে? তাদের মুসলিম দার্শনিক আল্লামা কবি ইকবালের বই পড়তে সবিনয় অনুরোধ জানাচ্ছি। নবী (সা.)-এর মর্যাদা ও মর্তবা সম্পর্কে আল্লামা ইকবাল আরও বলেন :
আবদুহু দাহরাস্ত দাহরাস্ত আবদুহু
মাহুমা রংগিমে দাদরে রংগে বু॥
আবদুহু চান্দ ও চেগুনে কায়েনাত।
আবদুহু রাজে দারুণে কায়েনাত॥
কাসযা সিররি আবদুহু আগাহে নিস্ত।
আবদুহু জুয্ সিররি ইল্লাল্লাহ্ নিস্ত॥
আবদুহু সুরতে গার তাকদিরে হাস্ত।
আন্দার-ই-তাখরিবে হাতামিরে হাস্ত।
মদয়ী পয়দা নাহ্গার দোজি দোবায়াত।
তানাহ্ বীনি আয মাকামে মা রামায়াত॥
অর্থাৎ : জামানা হল ‘আবদুহু’, আর ‘আবদুহু’ থেকেই জামানার অস্তিত্ব। আমরা সব সৃষ্টি ভিন্ন রং ও বর্ণের। কিন্তু আবদুহু অর্থাৎ মাহবুবে খোদা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া লিহি ওয়া সাল্লাম সব কিছুর ঊর্ধ্বে। সৃষ্টির সব কিছুই আবদুহু। আর আবদুহু গোটা জাহানের গুপ্ত ভেদ। কেউই আবদুহুর গোপন ভেদ তত্ত্ব সম্পর্কে অবগত নয়। কেননা আবদুহু তো ইল্লাল্লাহুর গুপ্ত ভেদ ছাড়া আর কিছুই নয়। আবদুহু সব তকদিরের ছবি অংকনকারী। আর এর সারমর্ম অনুধাবন করতে পারবে না, যতক্ষণ তুমি মাকামে ‘মা, রামাইয়াতা’ অবলোকন না করবে। (শানে হাবীবুর রহমান পৃঃ ১১৩)
আল্লামা রুমী (রহ.) বলেন :
কারে পাকা বা কেয়াস আজ খোদ মাগির।
গারচেহ মানাদ দার নাবিশতান শেরও শির॥
শির আবাশাদ কেহ্ মরদাম মী দারাদ।
শের আ বাশাদ কেহ মরদাম্ মী খোরাদ॥
অর্থাৎ, ফার্সি ভাষায় শের ও শির একই রকমে ও একই হরফে লেখা কিন্তু অর্থ ভিন্ন। শির অর্থ দুধ, যা মানুষে পান করে। আর শের অর্থ বাঘ, যে মানুষকে খায়। যদিও তার একই বানান, কিন্তু উচ্চারণে ও অর্থে পার্থক্য আসমান আর জমিন। আমরাও বান্দা, নবীও বান্দা, কিন্তু বোধশক্তি সম্পন্ন মানুষের জন্য এতে ব্যবধান রয়েছে আসমান ও জমিন অথবা তার চেয়েও বেশি। (জিকরে জামিল- পৃ. ২৯৬, মাকামে নবুয়ত পৃ. ৬১)
মওলানা জালাল উদ্দিন রুমী আরও বলেন,
হামসেরি বা আম্বিয়া বর দাশতান্দ
আউলিয়ারা হাম চুঁ খোদ পান দাশতান্দ॥
অর্থাৎ, নিজেদের ভুল ধারণাবশত কখনও তারা সম্মানিত নবীকে নিজেদের মতো মানুষ মনে করে। আবার কখনও নিজেদের আউলিয়াদের সমকক্ষ মনে করে।
আশকিয়ারা দিদায়ে বীনা নাবুদ,
নেক ও বদদর দিদাহ্ শাহ্ একসাঁ নামুদ।
অর্থাৎ, বদবখত লোকেরা সত্য দেখা থেকে বঞ্চিত থাকে। এ জন্য তাদের চোখে ভালো-মন্দ একই রকম অনুভব হয়। নবী বিদ্বেষ অন্তরে থাকার কারণে তাদের বিবেক-বুদ্ধি নষ্ট হয়ে যায়। এরা সত্য-মিথ্যা পার্থক্য করতে পারে না। (জিকরে জামিল পৃ. ২৯৭, মাকতুবাত শরিফ উর্দু ২য় খণ্ড পৃ. ১৫০)
গোফতে ইনাকমা বাশার ঈশা বাশার,
মা ও ঈশা বোস্তানে খাঁ বীমত্ত খোর।
অর্থাৎ, বেকুবেরা বুঝে না, তারা বলে আমরাও মানুষ, তিনিও মানুষ। আমরাও খাই, ঘুমাই তিনিও খান, ঘুমান, তবে পার্থক্য কোথায়? রাসূলের (সা.) সঙ্গে সৃষ্টি জগতের কারও তুলনা হতে পারে না। রাসূল (সা.) হলেন অতুলনীয়। নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর মাধ্যম ছাড়া আল্লাহকে পাওয়া যাবে না। নবী (সা.)-এর সিদ্ধান্তকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত বলে গণ্য না করলে কখনও মুমিন মুসলিম হওয়া যাবে না। পবিত্র কোরআন পাকে বলা হয়েছে :
হে মুহাম্মদ! আপনার রবের শপথ। তারা কখনও মুমিন নয়, যতক্ষণ পর্যন্ত না পারস্পরিক বিরোধ-মীমাংসার ক্ষেত্রে আপনাকে চূড়ান্ত ফয়সালাকারী হাকিম হিসেবে মেনে না নেয় এবং পূর্ণ আÍসমর্পণের মানসিকতা নিয়ে নিঃসংকোচে আপনার ফয়সালাকে গ্রহণ না করে ।
— সূরা নিসা, আয়াত-৬৫
এতে নবী (সা.) এর কাছে নিঃশর্ত নিঃসংকোচ আÍসমর্পণকেই আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণ করা হল বলে চূড়ান্তভাবে স্বীকৃত হল। 
তথ্যসূত্র
লেখক : হুজুর ভাসানী (রহ.) এর স্নেহধন্য, মওলানা ভাসানী আদর্শ অনুশীলন পরিষদের সভাপতি ও গবেষক।

রবিবার, ১৮ জুন, ২০১৭

৭৩ দল সম্পর্কে বর্নিত হাদিসঃ সঠিক কারা ভ্রান্ত কারা? (পর্ব ১)

Written by (Masum Billah Sunny)

দ্বীনকে খন্ড-বিখন্ড না করার আদেশঃ


নিশ্চয় যারা স্বীয় ধর্মকে খন্ড-বিখন্ড করেছে এবং অনেক দল হয়ে গেছে, তাদের সাথে আপনার কোন সম্পর্ক নেই। তাদের ব্যাপার আল্লাহ তা`আয়ালার নিকট সমর্পিত। অতঃপর তিনি বলে দেবেন যা কিছু তারা করে থাকে।
(The Cattle (Al-Anàam)/159)

যারা তাদের ধর্মে বিভেদ সৃষ্টি করেছে এবং অনেক দলে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। প্রত্যেক দলই নিজ নিজ মতবাদ নিয়ে উল্লসিত।
(The Romans (Ar-Rüm)/32)

অতঃপর তাদের মধ্যে থেকে বিভিন্ন দল মতভেদ সৃষ্টি করল। সুতরাং যালেমদের জন্যে রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক দিবসের আযাবের দুর্ভোগ
(Gold Adornments (Az-Zukhruf)/65)

আর তোমরা সকলে আল্লাহর রজ্জুকে সুদৃঢ় হস্তে ধারণ কর; পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ো না। আর তোমরা সে নেয়ামতের কথা স্মরণ কর, যা আল্লাহ তোমাদিগকে দান করেছেন। তোমরা পরস্পর শত্রু ছিলে। অতঃপর আল্লাহ তোমাদের মনে সম্প্রীতি দান করেছেন। ফলে, এখন তোমরা তাঁর অনুগ্রহের কারণে পরস্পর ভাই ভাই হয়েছ। তোমরা এক অগ্নিকুন্ডের পাড়ে অবস্থান করছিলে। অতঃপর তা থেকে তিনি তোমাদেরকে মুক্তি দিয়েছেন। এভাবেই আল্লাহ নিজের নিদর্শনসমুহ প্রকাশ করেন, যাতে তোমরা হেদায়েত প্রাপ্ত হতে পার।
(Surah Al-Imran. 3/103)


নোট : এর থেকে বুঝা যায় যেই দলটা জান্নাতী হবে তারা দ্বীন ইসলামের মধ্যেই আছে ,আর থাকবে। 
তারা দ্বীনকে খন্ড করবে না কিন্তু বাতিল যারা তারাই খন্ড করে আলাদা হয়ে যাবে।

৭৩ ফির্কার আবির্ভাবঃ

® হযরত আব্দুল্লাহ বিন আমর রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন-আমার উম্মত তা’ই করবে যা করেছে বনী ইসরাঈলের লোকেরা। এক জুতা অপর জুতার সমান হওয়ার মত। এমনকি যদি ওদের মাঝে কেউ মায়ের সাথে প্রকাশ্যে জিনা করে থাকে, তাহলে এই উম্মতের মাঝেও এরকম ব্যক্তি হবে যে একাজটি করবে। আর নিশ্চয় বনী ইসরাঈল ছিল ৭২ দলে বিভক্ত। আর আমার উম্মত হবে ৭৩ দলে বিভক্ত। এই সব দলই হবে জাহান্নামী একটি দল ছাড়া। সাহাবায়ে কিরাম জিজ্ঞেস করলেন-সেই দলটি কারা? নবীজী সাঃ বললেন-যারা আমার ও আমার সাহাবাদের মত ও পথ অনুসরণ করবে।

★ সুনানে তিরমিযী, হাদীস নং-২৬৪১,
★ আল মু’জামুল কাবীর, হাদীস নং-৭৬৫৯,
★ আল মু’জামুল আওসাত, হাদীস নং-৪৮৮৯,
★ কানযুল উম্মাল ফি সুনানিল আকওয়াল ওয়াল আফআল, হাদীস নং-১০৬০



® হাদিসের ব্যখ্যানুসারে পাওয়া যায়ঃ-
→ পূর্বের উম্মত যাই করেছে এই উম্মতও তাই করবে নাফরমানীর দিক থেকে। তথা ওরা যত পদ্ধতিতে নাফরমানী করেছে এই উম্মতও সেই পদ্ধতীতে নাফরমানী করবে। 
→ সুতরাং আল্লাহর নাফরমানী করার ৭১টি পদ্ধতিওয়ালা বাতিল ফিরক্বা পূর্ব উম্মত থেকে গ্রহণ করবে এই উম্মত। 
→ তথা ৭১টি বাতিল ফিরক্বার মত ও পথ পূর্ব উম্মতের মত এই উম্মতেও থাকবে।
→ আর জান্নাতী ছিল পূর্ব উম্মতের ৭২ ফিরক্বার মাঝে একটি ফিরক্বা। 
সেটিও এ উম্মতে পূর্ব পদ্ধতি অনুযায়ী থাকবে। 

→ শুধু বাড়বে একটি বাতিল ফিরক্বা এই উম্মতে। যেই বাতিল ফিরক্বার কোন নজীর পূর্ব উম্মতের মাঝে ছিল না। সেই বর্ধিত বাতিল ফিরক্বাটি কারা? আল্লামা কুরতুবী রহঃ তার প্রণীত তাফসীরে কুরতুবীতে লিখেন-


. وقد قال بعض العلماء العارفين : هذه الفرقة التي زادت في فرق أمة محمد صلى الله عليه وسلم هم قوم يعادون العلماء ويبغضون الفقهاء ، ولم يكن ذلك قط في الأمم السالفة.( الجامع لأحكام القرآن
المؤلف : أبو عبد الله محمد بن أحمد بن أبي بكر بن فرح الأنصاري الخزرجي شمس الدين القرطبي (المتوفى : 671)

যেই ফিরক্বাটি উম্মতে মুহাম্মদীদে বাড়বে তারা হল-যারা ওলামাদের সাথে শত্রুতা করবে, আর ফুক্বাহাদের প্রতি রাখবে বিদ্বেষ। এই গ্রপটি পূর্ব উম্মতের মাঝে ছিল না। 
{তাফসীরে কুরতুবী, সূরাতুল আনআম)

Note: এখনকার ওহাবী সালাফীরা কি করে? তারা বলে যে শুধু কুরআন ও সহিহ হাদিস মানি কোন ইমাম মানি না। ইমামগন নাকি ভুল করতে পারে আর তারা সঠিক ব্যখ্যা জানে তাই তাদের ইমাম লাগে না।



রাসুল সাঃ আরো বলেন , নিশ্চয় আমার উম্মাতের মধ্যে এমন দলসমুহ বাহির হইবে যে, 
→ উহাদের মধ্যে বদ আকিদা নাফছানি খাহেশাত এমন ভাবে সংক্রামিত হইবে যেমন পাগলা কুকুরের বিশ সংক্রামিত হয় দংশিত ব্যক্তির মধ্যে।
→ কু-আকিদা ও কু-রিপুসমুহ ঐ গোমরাহ লোকদের প্রতিটি নাড়ী নক্ষত্র ও প্রত্যেক গ্রন্থিতে সংক্রামিত হইবে।
(আবু দাউদ কর্তৃক বর্ণীত)

হযরত গাউসে পাক আব্দুল কাদের জিলানী (রঃ) এর রায়ঃ

★ হযরত গাউসে পাক আব্দুল কাদির জিলানী (রঃ) ওনার “গুনিয়াতুত ত্বালেবীন” নামক কিতাব এ লিখেন, ৭৩ ফেরকা মুলতঃ মুল দশটি ফেরকার শাখা প্রশাখা। সেই দশটি ফেরকা হইলঃ 
(১) আহলে সুন্নাত, 
(২) খারেজী
(৩)শিয়া বা রাফেজী, 
(৪) মোতায়েলা , 
(৫) মারযিয়া, 
(৬) মুশাব্বাহা, 
(৭) জাহমিয়া, 
(৮) জারারিয়া, 
(৯) নাজ্জারিয়া, 
(১০)কালাবিয়াহ।
আহলে সুন্নাত বা সুন্নি জামাতের কোন শাখা প্রশাখা নাই। ৪টি মাযহাব কোনো দল নয় বরং এটা ফিকাহ একেকটা ফিকাহ এর স্কুলের মত। তাদের সবার আকীদা একই। 

কিন্তু অপরাপর ৯টি দলেরই শাখা প্রশাখা বর্তমান এবং তারা ভিন্ন আকীদায় বিশ্বাসী। 

হযরত গাউস পাক আব্দুল কাদের জিলানী রঃ বলেন খারেজী দলের শাখা ১৪টি, 
শিয়া বা রাফেজী ৩৩টি, 
মোতাযেলার ৬টি, 
মারজিয়ার ১২টি, 
মুশাব্বাহার ৩টি, 
জারারিয়া, 
কালাবিয়াহ,
নাজ্জারিয়া, 
জাহমিয়ার একটি করে মোট ৭৩ টি ফেরকা বর্তমান।

★ মোল্লা আলী ক্বারী বলেছেন,
নাজাতপ্রাপ্ত দলটি হল আহলে সুন্নাত ওয়াল
জামায়াত।

রেফারেন্স :

মোল্লা আলী কারী (রহ) : মিরকাত শরহে মিশকাত


★ “তোমাদের অবশ্যই তাদের অনুসরণ করতে হবে। বস্তুত আল্লাহ তা’আলা কখনই হুজুরে পাক(সাঃ) এর উম্মাতের বৃহদাংশকে কখনই ভুলে উপর প্রতিষ্ঠিত করবেন না।“ [ইবন আবি শায়বা এই হাদীসের চেইনটিকে sound chain বলেছেন, হাদীস নং ৩৫৪।]

★“বস্তুত আল্লাহ তা’আলা কখনই মুসলমানদের ভুলের উপর একত্রিত করবেন না, আল্লাহ এর করুণা থাকবে সেই জামা’আতের উপর, সুতরাং মুসলাম উম্মাহ এর বৃহদাংশকে অনুসরণ কর। যারা তাদের থেকে ভিন্ন মত পোষণ করবে তারা নরকে যাবে” [বর্ণনাটি সহীহ, ইবন হাকীম(১/১১৬) এবং ইমাম ধাবাবী(রঃ) উনার সাথে একমত]

৭৩ দল সম্পর্কে বর্নিত হাদিসঃ ভ্রান্তদল গুলোর ভবিষ্যৎবানী (পর্ব ২)


মিলিয়ে নিন এই খারিজী/ওহাবী/সালাফীদের নিয়ে ভবিষ্যৎবানী আর নিজে নিজে তাদের থেকে সতর্ক হয়ে যান :-
written by (MASUM BILLAH SUNNY)

★ খারিজী : ইসলামের সর্বপ্রথম ফিত্নাবাজ দলের নাম। তাদেরই উত্তরসূরী এখনও বিদ্যমান। তাদের থেকেই অধিকাংশ ভ্রান্ত দলগুলোর শাখা-প্রশাখা বের হয়েছে

★ ওহাবীদের সুত্রপাত হয় "আব্দুল ওহাব নজদী" থেকে সে নজদ (পুর্বাঞ্চল) থেকে আবির্ভুত ইসলামের এক জঘন্যতম ফিত্না। আর সেই ওহাবীদের মধ্যে আব্দুল ওহাব নজদী আর তার আকিদা অন্তরের মধ্যে একেবারে গেথে যায়। তার সেই বাতিল সিলসিলার নামই ohabism. 
সেই দলগুলো (বাংলাদেশেঃ হেফাজত/চরমুনাই/জামাত/শিবির/তাবলিগ/আহলে হাদিস)
ভারতে- (দেওবন্দী) নানান নামে নানান রুপে বর্তমানে প্রচলিত আছে !! 
Lider: Abdul Ohab Najdi, Asraf Ali thanvi, Rasid Ahammad Ganggohi,Ismail dehlovi,Shaikh AL ghumari, Shaikh bin Baz, Abul Ala mawdudi (founder of Jamat e Islam), Ahmmad Shafi


সহিহ হাদিস থেকে তাদের লক্ষণ সমূহ জেনে নিনঃ


® রাসুলুল্লাহ (সঃ) বলেন, অদূর ভবিষ্যতে আমার উম্মতের মধ্যে মতানৈক্য ও ফিরকা সৃষ্টি হবে। 
- এমন এক সম্প্রদায় বের হবে যারা সুন্দর ও ভাল কথা বলবে।আর কাজ করবে মন্দ।
- তারা কোরআন পাঠ করবে-তা তাদের কন্ঠনালী অতিক্রম করবে না। 
- তারা দ্বীন অর্থাৎ ইসলাম থেকে এমনিভাবে বেরিয়ে যাবে, যেভাবে তীর শিকারী থেকে বেরিয়ে যায়।
- তারা সৃষ্টির সবচেয়ে নিকৃষ্টতম জীব।
ঐ ব্যক্তির জন্য সুসংবাদ যে তাদের সাথে যুদ্ধ করবে এবং যুদ্ধে তাদের দ্বারা শাহাদাত বরণ করবে।
- তারা মানুষকে আল্লাহর কিতাব (কোরআন)-এর প্রতি দাওয়াত দেবে,অথচ তারা আমার কোন আর্দশের উপর প্রতিষ্ঠিত নয়।
- যে ব্যক্তি তাদের বিরুদ্ধে লড়বে সে অপরাপর উম্মতের তুলনায় আল্লাহ তায়ালার অনেক নিকটতম হবে।
সাহাবায়ে কেরাম বললেন, হে আল্লাহর রাসুল (দঃ) ! তাদের চিহ্ন কি? হুজুর করীম (দঃ) উত্তরে বললেন,
- (অপ্রয়োজনে) অধিক মাথা মুন্ডন করা।
REFERENCE :
 ★ আবু দাউদ শরীফ,পৃষ্ঠা ৬৫৫,
★ মিশকাত শরীফ,পৃষ্ঠা ৩০৮


® আবু হুরাইরা (রা) থেকে বর্নিত রাসুল (সঃ) বলেছেন আমার উম্মতের ধ্বংস কিছু অল্পবয়স্ক ছেলেদের হাতে। তখন সাহাবারা জিজ্ঞেস করলেন, ইয়া রাসুলআল্লাহ (সঃ)! তখন আমরা কী করব ?রাসুলুল্লাহ (সঃ) বললেন, জনগন যদি এদের সংশ্রব (সঙ্গ) ত্যাগ করে দিত তবে ভালই হোত। (বুখারি ৩৩৪৭) 



® হযরত আলী (রাঃ) হতে বর্নিত, একদা রাসুল (সঃ) কে বলতে শুনেছি শেষ জামানায় এমন একদল অল্পবয়স্ক অচিন যুবকদের আবির্ভাব ঘটবে -
- যারা মুখে সৃষ্টিকুলের উত্তম বুলি আওড়াবে কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তারা ইসলাম থেকে এমনভাবে বের হবে যেমন ভাবে ধনুক থেকে তীর বের হয়ে যায়।
- তাদের ঈমান তাদের কন্ঠনালী পার হবে না। 
- তোমরা তাদের যেখানেই পাবে সেখানেই হত্যা করবে।
- যে ব্যাক্তি তাদেরকে হত্যা করবে কেয়ামতের দিনে এ হত্যার জন্য পুরষ্কার পাবে। (হাদিস সহিহ বুখারি ৩৩৪৬) 
Note: (যেহেতু তারাই ইসলামে প্রথম ফিত্নার সূচনাকারী, তারাই হযরত উমর (রা), উসমান (রা) ও আলী (রা) এর হত্যাকারী, তারাই অগনিত সাহাবা ও ইমানদারদের কাফির ফতোয়াদানকারী, যুদ্ধ সূচনাকারী ও ইমানদারদের কতলকারী, শান্তি বিনষ্টকারী। 


★ পথভ্রষ্ট ’আলিম দাজ্জালের চেয়ে ভয়ংকর ★

আবূ যার (রদিঃ) বলেছেন, “আমি নবী ﷺ(সাঃ) -এর 
নিকটে একদিন উপস্থিত ছিলাম
এবং আমি তাকে বলতে শুনেছি, এমন কিছু রয়েছে যেটির ব্যাপারে আমি আমার উম্মাহ্-এর জন্য দাজ্জালের অপেক্ষাও অধিক ভয় করি।’
তখন আমি ভীত হয়ে পড়লাম, তাই আমি বললাম,
হে আল্লাহ্র রসূল! ﷺ এটি কোন জিনিস, যার ব্যাপারে আপনি আপনার উম্মাহ্-এর জন্য দাজ্জালের চাইতেও অধিক ভয় করেন?’

তিনি [নবী ﷺ] বললেন, ‘পথভ্রষ্ট ’আলিম গণ।’”

[মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-২০৩৩৫]

এবার এই হাদিসটা পড়ে নিজেই বলুন বর্তমানে কারা বেশি বেশি শিরিক -বিদাত,শিরিক-বিদাত বলে সুন্নীদের ফতোয়া দেয়? ওহাবী আর আহলে হাদিস ছাড়া আর কে?দেখুন ভবিষ্যৎবানী :-




হযরত হুযায়ফা ইবন আল ইয়ামান (রাঃ) বলেন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন – বস্তুতই, আমি এক মানুষ সম্পর্কে ভয় করি যে কুর’আন অধিক পরিমাণে পড়বে। ফলে তার মুখ আলোকিত হয়ে যাবে এবং ইসলামকে ভালভাবে প্রকাশ করবে। আল্লাহ যতক্ষণ চান ততক্ষণ পর্যন্ত তা চলতে থাকবে। এরপর তার তা ছিনিয়ে নিয়া হবে যখন সে প্রতিবেশী মুসলমানদের অগ্রাহ্য করবে, এবং তাদেরকে শিরকের দায়ে অভিযুক্ত করবে। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে জিজ্ঞেস করা হল, এদের মধ্যে আসলে কে শিরক করবে - দোষারপকারী নাকি অভিযুক্ত ব্যক্তি? রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন দোষারপকারী (যে অন্যদের শিরকের দায়ে অভিযুক্ত করেছে)
Reference :-

** নাসিরুদ্দিন আলবানীর তাহকীককৃত ইবন হিব্বানের সহীহ; ভলিঃ ০১, পৃঃ ২০০, হাদীসঃ ৮১ স্ক্যান কপিঃ
http://www.ahlus-sunna.com/index.php?option=com_content&view=article&id=46&Itemid=29&limitstart=79

** ওহাবী নেতা নাসিরুদ্দিন আলবানী তার সিলসিলাত আল-হাদীস আল-সহীয়াহ তে হাদীসটিকে হাসান বলেছে; ভলিঃ ০৭-A, পৃঃ ৬০৫, হাদীসঃ ৩২০১ # ইবন হিব্বান তাঁর সহীহ তে; ভলিঃ ০১, পৃঃ ২৮২
** বুখারী তাঁর তারিখুল কাবীর এ; ভলিঃ ০৪, পৃঃ ৩০১
** হায়তামী তাঁর মাযমা আয-যাবীদ এ; যেখানে তিনি হাদীসটিকে হাসান বলেছেন
** ইবন কাসীর তাঁর তাফসীর এ হাদীসের চেইনটিকে শক্তিশালী বলেছেন; সূরা আল-আ’রাফ, ভলিঃ ০২, পৃঃ ২৬৬
** মুসনাদ আবু ইয়ালা


এই উক্তিটি যদি calculation করেন আল্লাহর কসম সুন্নীদের ছাড়া আর কাউকে দেখবেন না কারন সুন্নীরা যাই করে তাই ওহাবীদের কাছে শিরিক মনে হয়।
-- মিলাদ কিয়াম শিরিক বিদাত বলেঃ 
www.goo.gl/ndcJxe

-- ওসীলা চাওয়াকেও শিরিক বিদাত বলেঃ
http://goo.gl/KEFuQZ

-- মাযারে যারা যায় তাদের মাযার পুজারী বলেঃ
www.goo.gl/udCPYC

-- আজ-কালিমা শরীফের মধ্যে রাসুল(সা) এর নাম নেয়া এটাও শিরিক ফতোয়া দিয়ে দিয়েছে অনেক মসজিদ থেকে ইতিমধ্যে কালিমা থেকে মুহাম্মদুর রাসুলুল্লাহ নামও মুছে দিয়েছে। 
http://goo.gl/NH0BLj

-- নবীজী (সা) নুর মানলে নাকি শিরিকঃ
http://sunni-encyclopedia.blogspot.com/2017/06/pdf_60.html?m=1

-- নবীজী(সা) এর আল্লাহ প্রদত্ত ইলমে গায়েব মানা নাকি শিরিকঃ
www.goo.gl/8zgRB1

-- পা ধরে সালাম করা কিংবা কদম্বুচি করা শিরিকঃ
http://goo.gl/onPXKs

-- রাসুল (সাঃ) কে হাজির নাজির মানা নাকি শিরিকঃ
http://sunni-encyclopedia.blogspot.com/2015/05/blog-post_24.html?m=1

(নাউযুবিল্লাহ)
আরো অগনিত কারণ রয়েছে উদাহরণ দিয়ে শেষ করা যাবে না।

রাসুল (সাঃ) আমাদের নিয়ে মুশরিক হয়ে যাবার আশংকা করেন না অথচ ওহাবী-সালাফীরা তাই করেঃ

® রাসুল (সা) বলেন, আল্লাহর কসম! নিশ্চয়ই আমি আমার – হাওয কে এখন দেখছি। আমাকে তো যমীনের ধনাগারের চাবিসমূহ অথবা যমীনের চাবিসমূহ দেয়া হয়েছে। 
আল্লাহর কসম ! আমি তোমাদের উপর এ আশংকা করছি না যে, তোমরা আমার পরে মুশরিক হয়ে যাবে (অর্থাৎ শিরিক কারী করবে)।
 (বোখারী ৮ খণ্ড, ৭৬ অধ্যায়, ৪৩৪ নং হাদিস)

আহলে হাদিস ওরুফে সালাফীবাদ / Salafism:-
Lider : Ibn Taymiaah, Ibn Qiyum, Imam Sawkani , Nasir uddin Al-Bani,
Dr. Jakir Naik, Billal philips, Shaikh Motiur Rahman Madani , Abdullah Jahangir etc.


আহলে হাদিসরা ওহাবীদের আরেক শাখা-প্রশাখা। 
তারা আবার মাযহাব মানাকে শিরিক ফতোয়া দেয় দেখুন ইমাম গনের তাকলিদ হাদিস থেকে :-

তিনি আরও বলেন

তুমি অবশ্যই মুসলমানদের জামায়াত ও তাঁদের ইমামের অনুসরণ করবে ।

— সহিহ বুখারী, খ ৪, পৃঃ ১৯৯, হাদিস নং ৩৬০৬; সহিহ মুসলিম, সহিহ বুখারী, খ ৩, পৃঃ ১৪৭৫, হাদিস নং ১৮৪৭

অতঃপর তোমরা মুসলামান দের বৃহৎ দলকে অনুসরণ কর । কেননা যারা বৃহৎ দল হতে বের হবে তারা দোযখে পতিত হবে ।

— আল মুসতাদরাকু লিল হাকিম, প্রথম প্রকাশ (দারুল কুতুবিল ইলমিয়াহ্‌, বৈরুত, ১৪১১ হিঃ) খ ১, পৃঃ ১৯৯, হাদিস নং ৩৯১; সুনানু ইবনি মাজাহ্‌, ইমাম ইবনু মাজাহ্‌, প্রাগুক্ত, খ ২, পৃঃ ১৩০৩, হাদিস নং ৩৯৫০

এরাই তারা, যাদেরকে আল্লাহ্‌ হিদায়াত করেছেন । অতএব তাঁদের হিদায়াত তুমি অনুসরণ কর ।

— সূরা আন’আম ৯০

স্মরণ করো, যেদিন আমি প্রত্যেক মানুষকে তাঁদের ইমামসহ ডাকব ।

— সূরা ঈশরা ৭১

যদি তোমরা না জানো, তবে যারা জানে তাঁদের জিজ্ঞেস করো ।

— সূরা নাহল ৪৩

হে ইমানদারগণ ! তোমরা আল্লাহ্‌র আনুগত্য কর এবং রাসূলের আনুগত্য কর, আরও আনুগত্য কর তোমাদের মধ্যে যারা ‘উলুল আমর’ তাঁদের ।

— সূরা নিসা ৫৯

উলুল আমর বলতে কাদের কথা বলা হয়েছে- এ সম্পর্কে কারো কারো মত হলো- 


® উলুল আমর মুসলমান ফকীহ্‌গন । আবার কেউ কেউ বলেছেন- উলুল আমর বলতে কীহগনকে বুঝানো হয়েছে । (ইবনে জারির তাবারী, তাফসীরু জামিউল বায়ান, খ ৫, পৃঃ ৮৮)

® হযরত ইমাম রাজী (রঃ) এই দ্বিতীয় মতটিকে দলীল-প্রমাণাদি দ্বারা প্রাধান্য দিয়েছেন । তারপর তিনি লিখেছেন- এই আয়াতে ‘উলুল আমর’ বলতে 
উলামায়ে কেরামকে বুঝানো হয়েছে, এটাই সঠিক মত । (ইমাম আবূ আব্দিল্লাহ ফখরুদ্দিন রাযী, মাফাতিহুল গাইব, খ ৩, পৃঃ ৩৩৪) 

১২০০ বছর আগের ইমাম থেকে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত এর সার্টিফিকেটঃ
মুহাম্মাদ ইবনু সিরীন (রহ) [ওফাত ১১০ হিঃ] স্বপ্নের ব্যাখ্যাকারক হিসেবে সুপ্রসিদ্ধ মুহাদ্দিস।

তিনি বলেন, প্রথম প্রথম লোকেরা হাদীসের সনদ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করত না কিন্তু যখন ফেতনা, বেদআত ও মন গড়া বর্ণনা প্রসার হতে লাগল তখন হাদীসের সনদ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা অপরিহার্য হয়ে গেল। যদি হাদীস বর্ণনাকারী আহলুস-সুন্নাহ হত, তাহলে তা গ্রহণ করা হত আর যদি বর্ণনাকারী বিদআতপন্থি হত তাহলে তার হাদীস গ্রহণ করা হত না। (মুসলিম)

কেন আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতই একমাত্র সঠিক দল?



® অসংখ্য সহিহ হাদিসে এসেছে,

"নিশ্চয় বনী ইসরাঈল ছিল ৭২ দলে বিভক্ত।  
আর আমার উম্মত হবে ৭৩ দলে বিভক্ত। 
১টি দল ব্যতীত এই সব দলই জাহান্নামে যাবে।
সাহাবায়ে কিরাম জিজ্ঞেস করলেন-সেই দলটি কারা? 

নবীজী সাঃ বললেন-যারা আমার ও আমার সাহাবাদের মত ও পথ অনুসরণ করবে।


Note: 
ইমান (আকিদা) ও আমলগত দিক থেকে - 
→ রাসুলের অনুসরণের নাম ""সুন্নাত"""
→ আর সাহাবাগন-তাবেঈ-তাবে তাবেঈগনের অনুসরণ মানে """ঐক্যবদ্ধ/জামায়াত"""
অর্থাৎ উল্লেখিত শব্দগুলোর বিশ্লেষণ হল (সুন্নাত ওয়াল জামাত)

[explained 
by 
Masum 
Billah Sunny]









Reference :
★ তিরমিযিঃ সুনানে তিরমিযী, হাদীস নং-২৬৪১, 
★ তাবারানীঃ আল মু’জামুল কাবীর, হাদীস নং-৭৬৫৯, 
★ তাবারানীঃ আল মু’জামুল আওসাত, হাদীস নং-৪৮৮৯, ★ কানযুল উম্মাল ফি সুনানিল আকওয়াল ওয়াল আফআল, হাদীস নং-১০৬০।


® রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন,
(আমার) এই উম্মাহ পথভ্রষ্টতা (বা গোমরাহীর) উপর কখনও একত্রিত হবে না (অর্থাৎ ভ্রান্তির উপর এই জামায়াত ঐক্যমত পোষন করবে না) এবং আল্লাহর সাহায্য রয়েছে সেই জামায়াতের সাথে।
(অনুবাদ- মাসুম)


Reference :
★ Ibn Majah 3940 Sahih
★ Suyuti : Jami’ Saghir 2221
★ Tirmidhi : Kitabul Fitan 2093
★ Abu Dawud 3711 
★ Nasa’i : Sunan Kubra, 3483
★ Bayhaqi : Asma’ wa Sifat (p. 322 Sahih)
★ Bayhaqi Shu’ab al-Iman (6:67 #7517), 
★ Abu Nu’aym (Hilya, 3:37, 9:238),
★ Mostadrak Al Hakim (1:115-16, 4:556 Sahih), ‘
★ Abd ibn Humayd (Al Musnad, #1218), 
★ Imam Ahmad (Al Musnad, #25966), 
★ Darimi : As-Sunan (#54, Da’if), 
★ Diya’ al-Maqdisi (7:129), 
★ Quda’i (1:167 #239), 
★ Daraqutni in his Sunan (4:245), 
★ Ibn Abi Shayba (8:604, 672, 683), 
★ Tabarani in his Mu’jam al-Kabir (1:153, 1:186, 3:209, 12:447, and 17:239-40, Sahih)
★ Haythami in his Majma’ 5:218-19
★ Mu’jam al-Awsat (5:122, 6:277, 7:193), 
★ Ibn Abi ‘Asim in his Kitab as-Sunna (p. 39-41 #80-85, p. 44 #92), and others.
And it is well-known and authentic.

খারিজীদের ভ্রান্ত আকিদাসমুহঃ


খারিজীদের ভ্রান্ত আকীদা ও মতবাদসমূহঃ
১) যারা মুসলমান হওয়ার দাবিদার হয়ে অন্য মুসলমানদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে এবং এহেন পরিস্থিতিতে যুদ্ধরত হতে বের হয়ে না আসে তারা কাফির । (নাউজুবিল্লাহ)
২) খারিজীরা তাদের ধারনায় গণতন্ত্রে বিশ্বাসী । তাদের মতে, খলীফাকে অবশ্যই সমগ্র মুসলিম কর্তৃক নির্বাচিত হতে হবে । কোন বিশেষ শ্রেনী-গোত্র কিংবা সম্প্রদায়ের মধ্যে খিলাফত সীমাবদ্ধ থাকবে না বরং ধর্মীয় দৃষ্টিকোনে যে কোন মুসলমান এ পদে অধিষ্ঠিত হতে পারবে । (নাউজুবিল্লাহ)
৩) তারা হযরত আবু বকর (রাঃ) ও হযরত উমার (রাঃ) কে ইসলামের বৈধ খলীফা বলে মনে করে এবং অন্যান্য খলীফাকে অবৈধ বলে ঘোষনা করে । (নাউজুবিল্লাহ)
৪) কবীরা গুনাহ খারিজীদের কাছে কুফরীর শামিল । কোন মুসলমান নামায, রোযা ও অন্যান্য ফরয কাজসমূহ পালন না করলে কিংবা কবীরা গুনাহে লিপ্ত হলে সে কাফির হয়ে যায় । (নাউজুবিল্লাহ)
৫) তাদের মতে, যে মুসলমান কবীরা গুনাহ করে এবং তওবা না করে মারা যায় সে চিরস্থায়ী জাহান্নামী । (নাউজুবিল্লাহ)
৬) খারিজীদের মতে, যারা তাদের আকীদার সঙ্গে একমত না, তারা ধর্মদ্রোহী তথা কাফির । এমন ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করা অপরিহার্য । (নাউজুবিল্লাহ)
৭) যে ব্যক্তি শক্তি থাকা সত্ত্বেও সৎকাজের আদেশ এবং অসৎকাজের নিষেধ না করে সে কাফির । (নাউজুবিল্লাহ)
৮) খারিজী সম্প্রদায় আরও বিভিন্ন বিষয়ে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা'আতের বিপরীত আকীদা পোষন করে । যেমন তারা 'মোহসিন' (বিবাহিত) যিনাকারীকে রজম করার শাস্তি অস্বীকার করে । চুরির অপরাধে বাহুর গোড়া পর্যন্ত হাত কাটার শাস্তি নির্ধারণ করে । মহিলাদের মাসিক হায়িয অবস্থায়ও তাঁর জিম্মায় নামায পড়া ওয়াজিব বলে মনে করে ইত্যাদি । (নাউজুবিল্লাহ)
তথ্যসূত্র
ফাতাওয়া ওয়া মাসাইল (ইসলামিক ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ)

সংগ্রহিতঃ
http://www.sunnipediabd.com/wiki/

শনিবার, ১৭ জুন, ২০১৭

খারিজী ফিত্নার উৎস ও ইতিহাস সম্পর্কে বিস্তৃত আলোচনাঃ

খারিজীরা ইসলামের সর্বপ্রথম বিপথগামী সম্প্রদায় । আকীদা, আমল ও খিলাফত সম্পর্কে বিতর্ক সৃষ্টি করে তারা নিজেদেরকে মুসলিম উম্মাহ্‌ থেকে আলাদা করে ফেলে । রাজনীতির ক্ষেত্রে তারা পুনঃ পুনঃ বিদ্রোহ করে সাময়িকভাবে খিলাফতে রাশিদার শেষ দুই বছর এবং উমাইয়া আমলে মুসলিম রাষ্ট্রের পূর্বাংশে অশান্তি সৃষ্টি করে; হযরত আলী (রাঃ) এর বিরুদ্ধে আব্বাসীগণকে যুদ্ধে পরোক্ষভাবে সাহায্য করেছিল।


'আল-মিলাল ওয়ান নাহল' গ্রন্থে উদ্ধৃত হয়েছেঃ
খারিজী ঐ সম্প্রদায়ের লোকদের বলা হয় যারা এমন নিয়মতান্ত্রিক ইমামের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষনা করে তাঁর আনুগত্য থেকে বের হয়ে যায়; যার ইমামতের আনুগত্যের প্রতি মুসলিম জনগন একমত পোষণ করেছেন । চাই এ বিদ্রোহ সাহাবায়ে কিরামের যামানার আইম্মায়ে রাশিদীনের বিরুদ্ধে হোক কিম্বা তাবিঈনের সময়কার মুসলিম জনগন স্বীকৃত ইমামগণের বিরুদ্ধে হোক অথবা পরবর্তী যুগের প্রতিষ্ঠিত ইমামগণের বিরুদ্ধে হোক, সকলেই খারিজীদের অন্তর্ভূক্ত ।
— ইমাম শাহরাস্তনী (রহঃ) [1808-1864]  : আল-মিলাল ওয়ান নাহল, ১ম খন্ড, পৃষ্ঠা ১৪৪
download full kitab: https://catalog.hathitrust.org/Record/006551349

★ ↑ সংক্ষিপ্ত ইসলামিক বিশ্বকোষ, ১ম খন্ড, পৃষ্ঠা ৩৮৬-৩৮৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ
★ ফাতাওয়া ওয়া মাসাইল (ইসলামিক ফাউন্ডেশন, বাংলাদেশ)

খারিজী শব্দটির অর্থ হলো দলত্যাগী । মুসলিম জামা'আতকে পরিত্যাগ করায় খারিজীরা উক্ত নামে অভিহিত করা হয় ।

হযরত আলী (রাঃ) কে শহীদ করে তারাঃ

ইতিহাস পর্যালোচনায় দেখা যায় ৬৫৭ খৃষ্টাব্দে হযরত আলী (রাঃ) ও হযরত মুয়াবিয়া (রাঃ) এর মধ্যে সিফফিন নামক স্থানে তুমুল যুদ্ধ বাঁধে । যুদ্ধে হযরত মু'আবিয়া (রাঃ) নিশ্চিত পরাজয় অনুধাবন করেন । ফলে তাঁর দলের কতক লোক কুরআন শরীফ উর্দ্ধে উত্তোলন করে হযরত আলী (রাঃ) এর কাছে সন্ধির প্রস্তাব করেন । হযরত আলী (রাঃ) ও তাঁর অধিকাংশ সঙ্গী সন্ধি প্রস্তাবে সম্মত হন এবং দু'দল থেকে এতে দু'জন সালিস নিযুক্ত করা হয় । কিন্তু হযরত আলী (রাঃ) এর একদল সমর্থক এ সালিসী প্রস্তাবের বিরোধিতা করে এবং আল্লাহ তা'আলা ব্যতীত অন্য কারো ফয়সালা চলবে না; এ আওয়াজ তুলে তাঁর দল পরিত্যাগ করে । এ দলত্যাগী খারিজীরা আব্দুল্লাহ ইবন ওয়াহাবকে তাদের দলপতি নির্বাচন করে, তাঁর নেতৃত্বে নাহরাওয়ান নামক স্থানে শিবির স্থাপন করে । পরে খারিজীরা বিপুল উদ্দীপনা নিয়ে হযরত আলী (রাঃ) এর বিরুদ্ধে প্রচারনা প্রচারনা চালাতে থাকে । হযরত আলী (রাঃ) এ সংবাদ পেয়ে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধযাত্রা করেন । নাহরাওয়ানে সংঘটিত যুদ্ধে খারিজীদের নেতা আব্দুল্লাহ ইবন ওয়াহাবসহ বহুসংখ্যক খারিজী নিহত হয় । এতে খারিজীরা অতিশয় ক্রোধান্বিত হয়ে হযরত আলী (রাঃ), হযরত মু'আবিয়া (রাঃ) ও তাঁর উপদেষ্টা মিসরের শাসনকর্তা আমর ইবন আস (রাঃ) কে ইসলামের শত্রু হিসেবে স্থির করে এ তিনজনকে হত্যা করার জন্য বদ্ধপরিকর হয় । হযরত মু'আবিয়া ও হযরত আমর ইবন আস (রাঃ) কোনোক্রমে বেঁচে যান । কিন্তু হযরত আলী (রাঃ) আততায়ী আব্দুর রহমান ইবন মুলযিমের হাতে শহীদ হন ।

খারিজীদের অন্যান্য ইসলাম বিরোধী ষড়যন্ত্রঃ

হযরত আলী (রাঃ) এর শাহাদাতের পর খারিজীরা নীরবে বসে থাকেনি । উমাইয়া শাসকদের বিরুদ্ধে দীর্ঘকালধরে প্রচারনা চালাতে থাকে এবং আব্বাসীয়দের সাথে যোগাযোগ করে উমাইয়াদের পতন ত্বরান্বিত করে । আব্বাসীয় শাসকগণ যখন মসনদে সমাসীন হন, তখন খারিজীরা তাদেরও বিরোধিতা করে । এবং মেসোপটেমিয়া পূর্ব আরব ও উত্তর আফ্রিকার উপকূলে অশান্তির সৃষ্টি করে । 

খারিজী সম্প্রদায়ের ধ্বংসঃ
অবশেষে মিসরের ফাতেমী শাসকগণ খারিজীদের শক্তি সমূলে ধ্বংস করে দেন । ফলে রাজনৈতিক প্রচারণা বর্জন করে তারা শুধু একটি ধর্মীয় সম্প্রদায়ে পরিণত হয় ।

খারিজীদের সম্পর্কে হাদিসে বর্নিত ভবিষ্যৎবানীঃ

আব্দুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ) হারুরিয়াদের সম্পর্কে বর্ননা প্রসঙ্গে বলেন, নবী করিম (সঃ) বলেছেন, তারা ইসলাম থেকে এমনভাবে বেরিয়ে যাবে যেমন তীর শিকার ভেদ করে বের হয়ে যায় । (সহিহ হাদিস)

পোস্টটি নেয়া হয়েছে এখান থেকেঃ-
http://www.sunnipediabd.com/wiki/%E0%A6%96%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A6%BF%E0%A6%9C%E0%A7%80

সেহরী না খেলে কি রোজা ভেঙে যায়?

ধন্যবাদ খুবই দরকারি একটি প্রশ্ন। সেহেরী খাওয়া হচ্ছে সুন্নত আর রোজা  পালন করা ফরজ্‌।কোন একটি সুন্নতের কারনে কোন ফরজ ইবাদত  বাদ দেয়া বা ক্ষতিগ্রস্ত  করা যেতে পারে না। আর রোজার কোন মৌখিক নিয়ত আদতে নেই, মনে মনে যে যে প্রস্তুতি নেয়া হয় যে কোন ধর্মীয় কাজের জন্যে সেটাই নিয়ত। এটা রোজার ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। তাই কেউ যদি অনিচ্ছাকৃত কারনে সেহেরী খেতে সক্ষম না হয়, এমন কি এক ফোঁটা পানি পান করার সুযোগ না পায় তবুও তার ফরজ রোজা চালিয়ে যাওয়া বাধ্যতামূলক। তবে আল্লাহ মানুষের অনিচ্ছাকৃত ত্রুটিগুলো ক্ষমা করেন।
যদি কেউ রোজা রাখতে অক্ষম অর্থাৎ অসুস্থ হয়ে গিয়ে সব ধরনের ফরজ নামাজ ছেড়ে দেয়ার আশংকা থাকে কিংবা দুরবর্তী কোন সফরে থাকে সে ক্ষেত্রে সে রোজা ভাঙতে পারবে কিন্তু কেউ যদি এক গ্লাস পানি পান করারও সুযোগ পায় তবে সেই পানিটুকুই  তার সেহেরী হিসেবে গণ্য হবে আর তার আমল নামায় একটি সুন্নত লেখা হবে। সেহেরী খাওয়া হয়নি এই অজুহাতে রোজা পালন থেকে বিরত থাকা ফরজের বরখেলাপ যেটা কবিরাহ গুনাহ।
Allah knows All.

হাজারো কষ্ট আর কুরবানীর মধ্য দিয়ে ইসলাম জীবিত হয়েছিল আজ আমাদের একি অবস্থা?

আপনি কি খুব কষ্টে আছেন? ইবাদত করতে খুব কষ্ট হয়? নিজের রক্ত ঝরিয়ে ইসলাম পেতে হয় নি তো তাই অল্প তেই ধৈর্যহারা।


তোমার কষ্ট বেশি নয় বন্ধু! 
বিসমিল্লাহ। আলহা’মদুলিল্লাহ। ওয়াস সালাতু ওয়াস সালামু আ’লা রাসুলিল্লাহ। 
তোমার থেকে অনেক বেশি কষ্ট পেয়েছেন আমাদের নবী সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম। সমস্ত নবী ও রাসুলদের সর্দার, বিশ্বজগতের জন্যে রহমত স্বরূপ, এই পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ মানুষ, আল্লাহর নিকট সবচাইতে প্রিয়তম বান্দা. . .এতো বড় মর্যাদা থাকা সত্ত্বেও কত কষ্ট পেয়েছেন তিনি, তাহলে তুমি কে? তুমি তাঁর কথা স্বরণ করে সান্ত্বনা নাও।

(★) মহানবী সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “যখন তোমাদের কেউ মসিবতে (অর্থাৎ দুঃখ-কষ্ট কিংবা বিপদ-আপদে) পড়ে, তখন সে যেন আমার জীবনের মসীবতের কথা স্বরণ করে (সান্ত্বনা নেয়)। কারণ আমার জীবনের মসীবত তোমাদের সবার মসিবতের চাইতে বড়।” [ইবনে সা’দ, সহীহুল জামিঃ ৩৪৭] . 

(★) হযরত আয়েশা সিদ্দিকা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী (সাঃ) এর চাইতে অধিক রোগ যাতনা ভোগকারী অন্য কাউকে দেখিনি। (হাদিস ৫৫০)


(★) মহানবী সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম-এর জন্মের পূর্বে, মায়ের গর্ভে থাকা অবস্থাতেই তাঁর পিতা মারা যান। ছয় বছর বয়সে তাঁর মাতাও ইন্তিকাল করেন। আট বছর বয়সে দাদা ইন্তিকাল করেন। 
(★) নামাযের সেজদারত অবস্থাতে তাঁর ঘাড়ে উটের নাড়ি-ভূড়ি চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিলো। এতো ভারী ছিলো যে, সেই নাড়ি-ভূড়ির কারণে তিনি সেজদাহ থেকে মাথা তুলতে পারছিলেন না। 
(★) তায়েফে পাথর ছুঁড়ে তাঁকে এতো আহত করার হয়েছিলো যে, শরীরের আঘাত থেকে রক্তের ধারা প্রবাহিত হয়ে তাঁর দুইপা রঙ্গিন হয়ে গিয়েছিলো। আঘাতে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন আবার জ্ঞান ফিরে আসে পুনরায় পাথর মারা হয়।
(★) নিকট আত্মীয়-স্বজনদেরকে সহ তাঁকে একঘরে করে ‘শিবে আবী তালেব’ নামক একটি পাহাড়ের উপত্যকায় দুই বা তিনি বছর ধরে অবরোধ করে রাখা হয়েছিলো। সে সময় খাবার না পেয়ে, চরম দারিদ্রতা ও ক্ষুদার কারণে তাঁরা সবাই পশুর চামড়া এবং গাছের পাতা চিবিয়ে খেতে বাধ্য হয়েছিলেন। 
(★) এমনকি নিজের মাতৃভূমি থেকে তাঁকে বহিষ্কার করা হয়েছিলো। জীবন রক্ষার জন্যে তিনি মদীনাতে হিজরত করে চলে যান। 
(★) তাঁর কত সাথী ও অনুসারীদেরকে হত্যা করা হয়েছিলো। 
(★) উহুদের যুদ্ধে তাঁর দাঁত ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছিলো। 
(★) তাঁর নিষ্পাপ, পবিত্র স্ত্রীর চরিত্র সম্পর্কে জঘন্য অপবাদ দেওয়া হয়েছিলো। 
(★) একটি মাত্র মেয়ে ছাড়া তাঁর দুই ছেলে এবং তিন মেয়ে, কলিজার টুকরা মোট পাঁচজন সন্তান তাঁর জীবদ্দশায়, চোখের সামনেই মৃত্যু বরণ করেছিলেন। 
(★) ক্ষুদার তাড়নায় তিনি পেটে পাথর বেঁধেছিলেন, দিনের পর দিন তাঁর বাড়িতে রান্নার জন্যে চুলা জ্বলতোনা। 
(★) লোকেরা তাঁকে পাগল, কবি, মিথ্যাবাদী, জাদুকর ইত্যাদি বলে গালি দিতো।
(★) কতবার তাঁকে খুন করার চেষ্টা করা হয়েছিলো। একবার তাঁর মাথার উপরে পাথর ফেলে দিয়ে তাঁকে হত্যার ষড়যন্ত্র করা হয়েছিলো, আল্লাহর তাঁকে রক্ষা করেছিলেন। আরেকবার এক ইহুদী মহিলা খাবারের সাথে বিষ মিশিয়ে দিয়েছিলো। সেই খাবার খেয়ে একজন সাহাবী মৃত্যুবরণ করেছিলেন, আর এই বিষের যন্ত্রনায় কলিজা ছিঁড়ে গেলে যেমন কষ্ট হয়, তেমনি কষ্ট তিনি মৃত্যুর পূর্বে ভোগ করেছিলেন।


তুমি আরো জানো যে, 

★ করাত দিয়ে চিড়ে যাকারিয়া নবীকে দুই খন্ড করে হত্যা করা হয়েছিলো। 
★ যাকারিয়ার পুত্র আরেক ইয়াহইয়া নবীকেও খুন করা হয়েছিলো। 
★ইব্রাহীম নবীকে বিশাল বড় আগুনে ফেলে দেওয়া হয়েছিলো। 
★ চরম বালা (পরীক্ষা) দেওয়া হয়েছিলো আইয়ুব নবীকে (দেহ মোবারকে ধৈর্যের পরীক্ষা স্বরুপ পচন ধরেছিল)।
★ মসীবতে ফেলা হয়েছিলো ইউনুস নবীকে (মাছ খেয়ে ফেলেছিল)। 
★ হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছিলো ঈসা নবীকে। 

আল্লাহ তাঁদের সকলের প্রতি শান্তি ও দয়া বর্ষণ করুন। 

★ এছাড়াও মসজিদের ভেতরে নামায পড়া অবস্থাতে খঞ্জর মেরে শহীদ করা হয়েছিলো দ্বিতীয় খলিফা উমারকে।
★ ঘরের ভেতরে প্রবেশ করে ক্বুরান তেলাওয়াত করা অবস্থাতে খুন করা হয়েছিলো তৃতীয় খলিফা উসমানকে।
★ বিষাক্ত ছুরি মেরে হত্যা করা হয়েছিলো চতুর্থ খলিফা আলীকে। 
★ বর্শা দিয়ে লজ্জাস্থানে আঘাত করে হত্যা করা হয়েছিলো এই উম্মতের প্রথম শহীদ সুমাইয়াকে। 
★ শহীদদের সর্দার, নবীর প্রাণপ্রিয় আপন আপন চাচা ও দুধভাই হামযাকে হত্যা করা হয়েছিলো, মৃত্যুর পরে তাঁর কলিজা খেয়েছিলো এক মুশরেক মহিলা (হিন্দা), অবশ্য পরে সেই মহিলা ইসলাম গ্রহণ করেছিলো রাসুলের কাছেই।
★ একজন ক্বুরানের হাফেজ সাহাবীকে বর্শা দিয়ে এমনভাবে বিদ্ধ করেছিলো যে সেই বর্শা বুকের একপাশ দিয়ে ঢুকে আরেকপাশ দিয়ে বের হয়ে গিয়েছিলো। তবুও মৃত্যুর পূর্বে সে চিৎকার করে বলেছিলো, কাবার রব্বের কসম! আমিতো সফলকাম হয়ে গেছি। আল্লাহ তাঁদের সকলের প্রতি সন্তুষ্ট থাকুন।
★ কারবালায় নির্মম ভাবে শহীদ করা ইমাম হোসাইন (রা) ও আহলে বাইয়াতগণকে।

আহা এত কষ্টের মধ্য দিয়ে দ্বীন ইসলাম জিন্দা হয়েছিল। আজ আমাদের দ্বীনের একি করুন দশা।
আল্লাহ 
পাক 
আমাদের 
হেদায়াত ক
রুন।


কুরআন তেলাওয়াত শুনে আসমান থেকে ফেরেশতা নেমে আসলঃ-


হযরত আবু সাঈদ খুদরী ( রাঃ ) থেকে বর্ণিত। উসাইদ ইবনে হুদাইর ( রাঃ ) বলেন যে, তিনি একরাতে নিজের ঘরে বসে নামাজের মধ্যে সূরা বাকারা পড়ছিলেন। তাঁর ঘোড়াটি নিকটেই বাধা ছিল। হঠাৎ ঘোড়াটি লম্ফ- ঝম্ফ শুরু করে দিলো। তিনি তখন তেলাওয়াত বন্ধ করলেন ঘোড়াটি শান্ত হয়ে গেলো। তিনি যখন পুনরায় তেলাওয়াত শুরু করলেন ঘোড়াটি আবার লাফ-ঝাপ শুরু করে দিলো। অতঃপর তিনি পাঠ বন্ধ করলেন। ঘোড়াটিও শান্ত হয়ে দাঁড়িয়ে থাকলো। তিনি আবার কুরআন পড়া শুরু করলে ঘোড়াটিও দৌড়ঝাঁপ করতে লাগলো। তিনি সালাম ফিরিয়ে নামাজ শেষ করে নিলেন। কারন তাঁর ছেলে ইয়াহিয়া ঘোড়ার নিকটেই ছিল। তাঁর ভয় হল ঘোড়া হয়তো লাফালাফি করে ছেলেকে আহত করতে পারে। তিনি ছেলেকে এর কাছ থেকে সরিয়ে দিয়ে আসমানের দিকে মাথা তুললেন। তিনি ছাতার মত একটি জিনিস দেখতে পেলেন এবং তাঁর মধ্যে আলোকবর্তিকার মতো একটি জিনিস দেখলেন। সকালবেলা তিনি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে গিয়ে এই ঘটনা বর্ণনা করলেন। তিনি বললেন- হে ইবনে হুদাইর, তুমি পড়তে থাকলে না কেন? হে ইবনে হুদাইর, তুমি পড়তে থাকলে না কেন? রাবী বলেন- আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসুল, আমার ভয় হল ঘোড়াটি না আবার আমার ছেলে ইয়াহিয়াকে পদদলিত করে। কেননা সে এর কাছেই ছিল। আমি নামাজ শেষ করে সালাম ফিরিয়ে ছেলেটির কাছে গেলাম। আমি আসমানের দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে হঠাৎ দেখতে পেলাম- যেন একটি ছাতা এবং তাঁর মধ্যে একটি আলোকবর্তিকা জ্বলজ্বল করছে।

আমি ( ভয় পেয়ে ) সেখান থেকে চলে আসলাম ( অর্থাৎ খোলা আকাশের নীচ থেকে ) যেন আমার দৃষ্টি পুনরায় সেদিকে না যায়। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন- তুমি কি জান এগুলো কি? তিনি বললেন, না। রাসুলুল্লাহ ( সাঃ ) বললেন- এরা ছিল ফেরেশতা। তোমার কুরআন পড়ার আওয়াজ শুনে তারা কাছে এসে গিয়েছিলো। তুমি যদি তেলাওয়াত অব্যাহত রাখতে তাহলে তারা ভোর পর্যন্ত অপেক্ষা করতো এবং লোকেরা তাঁদের দেখে নিতো কিন্তু তারা লোক চক্ষুর অন্তরাল হতো না। —– ( বুখারী ও মুসলিম )

মুমিন ও মুনাফিকের মধ্যে কুরআন তেলাওয়াতকারীর পার্থক্যঃ



★ হযরত আবু মুসা আশয়ারী ( রঃ ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন- যে মুমিন কুরআন পাঠ করে সে কমলা লেবুর সাথে তুলনীয়। এর ঘ্রাণও উত্তম এবং স্বাদও উত্তম। আর যে মুমিন কুরআন পাঠ করে না সে খেজুরের সাথে তুলনীয়। এর কোন ঘ্রান নেই কিন্তু তা সুমিষ্ট। আর যে মুনাফিক কুরআন পাঠ করে না সে মাকাল ফল তুল্য। এর কোন ঘ্রাণও নেই এবং স্বাদও অত্যন্ত তিক্ত। আর যে মুনাফিক কুরআন পাঠ করে সে রাইহান ফলের সাথে তুলনীয়। এর ঘ্রান অত্যন্ত সুমিষ্ট কিন্তু স্বাদ অত্যন্ত তিক্ত। ———–( বুখারী ও মুসলিম )


★ অপর বর্ণনায় আছে, “যে মুমিন বাক্তি কুরআন পাঠ করে এবং তদানুযায়ী কাজ করে সে কমলা লেবু সদৃশ। আর যে মুমিন ব্যক্তি কুরআন পাঠ করে না কিন্তু তদানুযায়ী কাজ করে সে খেজুর তুল্য।”

শুক্রবার, ১৬ জুন, ২০১৭

বিপদ-আপদ ও রোগ-ব্যাধি পাপ মোচন করেঃ



হাদীসে বলা হয়েছে ,
আবুল ইয়ামান হাকাম ইব্ন নাফি (র)……..নবী (সাঃ) এর সহধর্মিনী আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ মুসলমান ব্যক্তির উপর যে সকল বিপদ-আপদ আপতিত হয় এর দ্বারা আল্লাহ্ তার পাপ মোচন করে দেন। এমনকি যে কাঁটা তার শরীরে বিদ্ধ হয় এর দ্বারাও।(সহিহ বুখারী :: খন্ড ৭ :: অধ্যায় ৭০ :: হাদিস ৫৪৫)


আবূ সাঈদ খুদরী ও আবূ হুরায়রা (রা) থেকে বর্নিত যে, নবী (সাঃ) বলেছেনঃ মুসলিম ব্যক্তির উপর যে সকল যাতনা, রোগ ব্যাধি, উদ্বেগ-উৎকন্ঠা, দুশ্চিন্তা, কষ্ট ও পেরেশানী আপতিত হয়, এমনকি যে কাঁটা তার দেহে বিদ্ধ হয়, এ সবের দ্বারা আল্লাহ্ তার গুনাওসমূহ ক্ষমা করে দেন। (সহিহ বুখারী :: খন্ড ৭ :: অধ্যায় ৭০ :: হাদিস ৫৪৬)

কা’ব (রা) থেকে বর্ণিত যে, নবী (সাঃ) বলেছেনঃ মু’মিন ব্যক্তির উদাহরণ হল সে শস্যক্ষেত্রের নরম চারা গাছের ন্যায়, যাকে বাতাস একবার কাত করে ফেলে, আরেক বার সোজা করে দেয়। আর মুনাফিকের উদাহরণ, সে যেন ভূমির উপর কঠিনভাবে স্থাপিত বৃক্ষ, যাকে কোন ক্রমেই নোয়ানো যায় না। অবশেষে এক ঝটকায় মূলসহ তা উৎপাটিত হয়ে যায়। যাকারিয়্যা তাঁর পিতা কা’ব (রা) থেকে বর্ণিত তিনি নবী (সাঃ) থেকে আমাদের কাছে এরূপ বর্ণনা করেছেন।( বুখারী ::: হাদিস ৫৪৮) । আবূ 

হুরায়রা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ আল্লাহ্ যে ব্যক্তির কল্যাণ কামনা করেন তাকে তিনি মুসীবতে লিপ্ত করেন।(সহিহ বুখারী :: খন্ড ৭ :: অধ্যায় ৭০ :: হাদিস ৫৪৯)
কাবীসা (র) ও বিশর ইব্ন মুহাম্মদ (র)……… আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী (সাঃ) এর চাইতে অধিক রোগ যাতনা ভোগকারী অন্য কাউকে দেখিনি। (হাদিস ৫৫০)

মুহাম্মদ ইব্ন ইউসুফ (র)…….আব্দুল্লাহ্ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী (সাঃ) এর পীড়িত অবস্থায় তাঁর কাছে গেলাম। এ সময় তিনি কঠিন জ্বরে আক্রান্ত হয়েছিলেন। আমি বললামঃ নিশ্চয়ই আপনি কঠিন জ্বরে আক্রান্ত। আমি এও বললাম যে, এটা এ জন্য যে, আপনার জন্য দ্বিগুন সওয়াব রয়েছে। তিনি বললেনঃ হাঁ! যে কোন মুসলিম মুসীবতে আক্রান্ত হয়, তার উপর থেকে গুনাহসমূহ এভাবে ঝরে যায়, যে ভাবে বৃক্ষ থেকে ঝরে যায় তার পাতাগুলো।((সহিহ বুখারী :: খন্ড ৭ :: অধ্যায় ৭০ :: হাদিস ৫৫১)

আবদান (র)………..আব্দুল্লাহ্ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) এর কাছে গেলাম। তখন তিনি জ্বরে ভুগছিলেন। আমি বললামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ্! আপনি তো কঠিন জ্বরে আক্রান্ত। তিনি বললেনঃ হাঁ। তোমাদের দু’ব্যক্তি যতটুকু জ্বরে আক্রান্ত হয়, আমি একাই ততটুকু আক্রান্ত হই। আমি বললামঃ এটি এজন্য যে, আপনার জন্য রয়েছে দ্বিগুন সাওয়াব তিনি বললেনঃ হাঁ ব্যাপারটি এমনই। কেননা যে কোন মুসলিম মুসীবতে আক্রান্ত হয়, চাই তা একটি কাঁটা কিংবা আরো ক্ষুদ্র কিছু হোক না কেন, এর দ্বারা আল্লাহ তার গুনাহগুলোকে মুছে দেন, যে ভাবে গাছ থেকে পাতাগুলো ঝরে যায়। (সহিহ বুখারী :: খন্ড ৭ :: অধ্যায় ৭০ :: হাদিস ৫৫২)


আবূ মুসা আশ’আরী (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) বলেছেনঃ তোমরা ক্ষুধার্তকে খাবার দাও, রোগীর সেবা কর এবং কয়েদীকে মুক্ত কর।(সহিহ বুখারী :: খন্ড ৭ :: অধ্যায় ৭০ :: হাদিস
বারা’ ইব্ন আযিব (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ্ (সাঃ) আমাদের সাতটি জিনিসের আদেশ দিয়েছেন এবং সাতটি বিষয়ে নিষেধ করেছেন। তিনি আমাদের নিষেধ করেছেনঃ সোনার আংটি, মোটা ও পাতলা এবং কারুকার্য খচিত রেশমী কাপড় ব্যবহার করতে এবং কাস্সী ও মিয়সারা কাপড় ব্যবহার করতে। আর তিনি আমাদের আদেশ করেছেনঃ আমরা যেন জানাযার অনুসরন করি রোগীর সেবা করি এবং বেশি বেশি সালাম করি।(বুখারী :: খন্ড ৭ :: অধ্যায় ৭০ :: হাদিস ৫৫৪)

জাবির ইব্ন আব্দুল্লাহ্ (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, একবার আমি ভীষনভাবে অসুস্থ হয়ে পড়লাম। তখন নবী (সাঃ) ও আবূ বকর (রা) পায়ে হেঁটে আমার খোজ খবর নেওয়ার জন্য আমার নিকট আসলেন। তাঁরা আমাকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পেলেন। তখন নবী (সা) অযূ করলেন। তারপর তিনি তাঁর অবশিষ্ট পানি আমার পায়ের উপর ছিটিয়ে দিলেন। ফলে আমি সংজ্ঞা ফিরে পেয়ে দেখলাম, নবী (সা) উপস্থিত। আমি নবী (সা) কে বললামঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! আমার সম্পদের ব্যাপারে আমি কি করবো? আমার সম্পদের ব্যাপারে কি পদ্ধতিতে আমি সিদ্ধান্ত গ্রহন করবো? তিনি তখন আমাকে কোন উত্তর দিলেন না। অবশেষে মীরাসের-আয়াত নাযিল হল।(বুখারী :৭খন্ড:: হাদিস ৫৫৫)

মুসাদ্দাদ (র)…………..আতা ইব্ন আবূ রাবাহ্ (র) থেকে বর্নিত। তিনি বলেন, ইব্ন আববাস (রা) আমাকে বললেনঃ আমি কি তোমাকে একজন জান্নাতী মহিলা দেখাবো না? আমি বললামঃ অবশ্যই। তখন তিনি বললেনঃ এই কৃষ্ণ বর্নের মহিলাটি, সে নবী (সা) এর নিকট এসেছিল্ তারপর সে বললঃ আমি মৃগী রোগে আক্রান্ত হই এবং এ অবস্থায় আমার ছতর খুলে যায়। সুতরাং আপনি আমার জন্য আল্লাহর কাছে দু’আ করুন। নবী (সা) বললেনঃ তুমি যদি চাও, ধৈর্য ধারন করতে পার। তোমার জন্য্ থাকবে জান্নাত। আর তুমি যদি চাও, তাহলে আমি আল্লাহর কাছে দু’আ করি, যেন তোমাকে নিরাময় করেন। মহিলা বললঃ আমি ধৈর্য ধারন করবো। সে বললঃ তবে যে সে অবস্থায় ছতর খূলে যায়। কাজেই আল্লাহ্র নিকট দু’আ করুন যেন আমার ছতর খুলে না যায়। নবী (সা) তাঁর জন্য দু’আ করলেন। (সহিহ বুখারী :: খন্ড ৭ :: অধ্যায় ৭০ :: হাদিস ৫৫৬)।

আতা (র) থেকে বর্নিত আছে যে, তিনি সেই উম্মে যুফার (রা) কে দেখেছেন কা’বার গিলাফ ধরা অবস্থায়। সে ছিল দীর্ঘ দেহী কৃষ্ণ বর্নের এক মহিলা।(বুখারী :: খন্ড ৭ :: অধ্যায় ৭০ :: হাদিস ৫৫৭)

আব্দুল্লাহ ইবনে ইউসুফ (র)………..আনাস ইব্ন মালিক (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী (সা) কে বলেত শুনেছি যে, আল্লাহ বলেছেনঃ আমি যদি আমার কোন বান্দাকে তার অতি প্রিয় দু’টি জিনিসের ব্যাপারে পরীক্ষায় ফেলি, আর সে তাতে ধৈর্য ধারন করে, তাহলে আমি তাকে সে দু’টির বিনিময়ে দান করবো জান্নাত। আনাস (রা) বলেন, দু’টি প্রিয় জিনিস বলে তার উদ্দেশ্য হল সে ব্যক্তির চক্ষুদ্বয়। অনুরুপ বর্ননা করেছেন আশ্াস ইব্ন জাবির ও আবূ যিলাল (র) আনাস (রা)-এর সূত্রে নবী (সা) থেকে।(সহিহ বুখারী :: খন্ড ৭ :: অধ্যায় ৭০ :: হাদিস ৫৫৮)

আয়েশা (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, যখন রাসূলুল্লাহ (সাঃ) মদীনায় আসলেন, তখন বকর ও বিলাল (রা) জ্বরে আক্রান্ত হয়ে পড়েন। তিনি বলেনঃ আমি তাঁদের কাছে গেলাম এবং বললামঃ হে আব্বাজান! আপনি কেমন অনুভব করছেন? হে বিলাল, আপনি কেমন অনুভব করছেন? আবূ বকর (রা)-এর অবস্থা ছিল, তিনি যখন জ্বরে আক্রান্ত হতেন আবৃত্তি করতেনঃ “সব মানুষ সুপ্রভাত ভোগ করে আপন পরিবার পরিজনের মধ্যে, আর মৃত্যু অপেক্ষমান থাকে তার জুতার ফিতার চেয়ে সন্নিকটে।” বিলাল (রা)-এর জ্বর যখন থামত তখন তিনি বলতেনঃ “হায়! আমি যদি লাভ করতাম একটি রাত কাটানোর সুযোগ এমন উপত্যকায় যে আমার পাশে আছে উযখির ও জালীল ঘাস। যদি আমার অবতরণ েহতো কোন দিন মাজিন্নার কূপের কাছে। হায়! আমি কি কখনো দেখা পাব শামা ও তাফীলের।” আয়েশা (রা) বলেন, এরপর আমি রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর কাছে এসে তাকে এদের অবস্থা জানালাম। তখন তিনি দু’আ করে বললেনঃ হে আল্লাহ! মদীনাকে আমাদের কাছে প্রিয় করে দাও, যে রূপে তুমি আমাদের কাছে মক্কা প্রিয় করে দিয়েছিলে কিংবা সে অপেক্ষা আরো অধিক প্রিয় করে দাও। হে আল্লাহ! আর মদীনাকে উপযোগী করে দাও এবং মদীনার মুদ্দ ও সা’ এর ওযনে বরকত করে দাও। আর এখানকার জ্বরকে স্থানান্তরিত করে জুহ্হফা এলাকায় স্থাপন করে দাও।(সহিহ বুখারী :: খন্ড ৭ :: অধ্যায় ৭০ :: হাদিস ৫৫৯)


উসামা ইবন যায়েদ (রা) থেকে বর্ণিত যে, নবী (সা) এর এক কন্যা (যায়নাব) তার কাছে সংবাদ পাঠিয়েছেন, এসময় উসামা, সা’দ ও সম্ভবতঃ উবায় (রা) নবী (সা) এর সংগে ছিলেন। সংবাদ ছিল এ মর্মে য (যায়নাব বলেছেন) আমার এক শিশু কন্যা মৃত্যু শয্যায় শায়িত। কাজেই আপনি আমাদের এখানে আসুন। উত্তরে নবী (সা) তার কাছে সালাম পাঠিয়ে বলে দিলেনঃ সব আল্লাহর এখতিয়ার। তিনি যা চান নিয়ে নেন, আবার যা চান দিয়ে যান। তাঁর কাছে সব কিছুরই একটা নির্ধারিত সময় আছে। কাজেই তুমি র্ধৈযধারন কর এবং উত্তম প্রতিদানের আশায় থাকো। তারপর আবারো তিনি নবী (সা) এর কাছে কসম ও তাগিদ দিয়ে সংবাদ পাঠালে নবী (সা) উঠে দাড়ালেন। আমরাও দাড়িয়ে গেলাম। এরপর শিশুটিকে নবী (সা) এর কোলে তুলে দেওয়া হলো। এ সময় তার নিঃশ্বাস দ্রুত উঠানামা করছিল। নবী (সা) এর দু’চোখ বেয়ে অশ্রু ঝরতে লাগলো। সা’দ (রা) বললেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ! এটা কি? তিনি উত্তর দিলেনঃ এটা রহমত। আল্লাহ তাঁর বান্দাদের মধ্য থেকে যাকে ইচ্ছা করেন তার অন্তরে এটিকে স্থাপন করেন। আর আল্লাহ তাঁর মেহেরবান বান্দাদের প্রতিই মেহেরবানী করে থাকেন। (সহিহ বুখারী :: খন্ড ৭ :: অধ্যায় ৭০ :: হাদিস ৫৬১)


আনাস (রা) থেকে বর্নিত যে, এক ইয়াহুদীর ছেলে নবী (সা) এর খেদমত করত। ছেলেটির অসুখ হলে নবী (সা) তাকে দেখতে এলেন। এরপর তিনি বললেনঃ তুমি ইসলাম গ্রহন করো। সে ইসলাম গ্রহন করলো। সাঈদ ইবন মুসায়্যাব (র) তাঁর পিতা থেকে বর্ননা করেছেন যে, আবূ তালিব মৃত্যুমুখে পতিত হলে নবী (সা) তার কাছে এসেছিলেন।(সহিহ বুখারী :: খন্ড ৭ :: অধ্যায় ৭০ :: হাদিস ৫৬৪)

আবদুল্লাহ ইবন মাসউদ (র) থেকে বর্নিত। তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (সা) এর কাছে প্রবেশ করলাম। তখন তিনি ভীষন জ্বরে আক্রান্ত ছিলেন। আমি তার গায় আমার হাত বুলালাম এবং বললামঃ ইয়া রাসুলাল্লাহ! আপনি কঠিন জ্বরে আক্রান্ত। রাসূলুল্লাহ (সা) বললেন হা। আমি এমন কঠিন জ্বরে আক্রান্ত হই, যা তোমাদের দু’জনের হয়ে থাকে। আমি বললামঃ এটা এ জন্য যে, আপনার জন্য প্রতিদানও হল দ্বিগুন। রাসূলুল্লাহ (সা) বললেন হাঁ! এরপর রাসূলুল্লাহ (সা) বললেনঃ যে কোন মুসলিম ব্যক্তির উপর কোন যন্ত্রনা, রোগ ব্যাধি বা এ ধরনের অন্য কিছু আপতিত হলে তাতে আল্লাহ তাঁর গুনাহগুলো ঝরিয়ে দেন, যে ভাবে গাছ তার পাতাগুলো ঝরিয়ে ফেলে।(হাদিস ৫৭৫)
মুসলিম ইব্ন ইবরাহীম (রা) ….. আনাস (রা) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ আদম সন্তানের বয়স বাড়ে আর তার সাথে দুটি জিনিসও বৃদ্ধি পায়; ধন-সম্পদের মহব্বত ও দীর্ঘায়ুর আকাঙ্খা

আনাস ইবন মালিক (র) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী (সা) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ দুঃখ দৈন্যে নিপতিত হওয়ার কারনে যেন মৃত্যু কামনা না করে। যদি এমন একটা কিছু করতেই হয়, তা হলে সে যেন বলেঃ হে আল্লাহ! আমাকে জীবিত রাখ, যতদিন পর্যন্ত আমার জন্য জীবিত থাকা কল্যানকর হয় এবং আমাকে মৃত্যু দাও, যখন আমার জন্য মৃত্যু কল্যানকর হয়।

বুধবার, ১৪ জুন, ২০১৭

নুর সম্পর্কে 50+ pdf ফাইল ডাউনলোড করুনঃ


এখান থেকে  Download করুনঃ-

পর্ব ১ : www.goo.gl/mGGiai

পর্ব ২ : www.goo.gl/gBVshi


এখান থেকে পোস্ট গুলো পড়ুনঃ-

http://sunni-encyclopedia.blogspot.com/2015/09/blog-post_37.html?m=1










"আমিও তোমাদের মত মানুষ" এই আয়াত সমুহের এর ব্যাখ্যা :



Lecture::Comparable creation(মিছাল মাখলুক) VS uncomparable creation(বেমিছাল মাখলুক) & Who say Rasul صلى الله عليه و آله وسلم is like among us?
By (Masum Billah Sunny)

বিশেষ সতর্কতা ঃঃঃ each line is linked with next line,each step is linked with next step so if u avoid any line u may missunderstand the concept.
এলো পাথারি লাইন ছারলে মিলাতে গিয়ে ভুল করার আশংকা রয়েছে।

'say: i am a man (bashar) like you(bt u doesn't like me), it is revealed (WAHI) to me that your god is One God'.(41:6)

"Say! I am a human being like you,"

similar recitation::
[K'af 18:110]
[Mominun 33-34]
[Hamim sijdah 6]
[Ibrahim 11]
[3:144]



---------------------EXPLAINATION of these ayahs------------------

------------------আয়াত গোলোর ব্যখ্যা ------------------------






যুক্তি সাপেক্ষেঃঃ

হযরত হাওয়া (আঃ সাঃ) আদম সন্তান নন এবং কোন বীর্য দ্বারা সৃষ্টি নয়। তিনি হযরত আদম(আঃ সাঃ) এর বাম পাজরের হাড় দ্বারা সৃষ্টি। (দেখুন তাফসীরে জালালাইন শরীফ) কিন্তু তিনিও মানুষ ছিলেন।

হযরত ঈছা ( আঃ সাঃ)কোন বীর্য দ্বারা সৃষ্টি নন কারণ তাঁর পিতা নেই। তিনি আল্লাহর রুহ যা হযরত জিব্রাইল (আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ফুকদিয়ে হযরত মরিয়ম (আলাইহি ওয়াসাল্লাম)এর মধ্যে দান করেছিলেন। তা দ্বারা সৃষ্টি কিন্তু তিনিও মানুষ ছিলেন।

তদ্রুপ নবী করীম(সাল্লাল্লা হু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ও মাখলুক এমনকি হযরত আদম (আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর সৃষ্টির হাজার হাজার বছর পূর্বে যখন মাটি পানি কিছুই ছিলনা তখন আল্লাহৰ নূর দ্বারা সৃষ্টি।

ওহাবীরা এই আয়াত কপি-পেষ্ট করে সব সময়
قُلْ إِنَّمَا أَنَا بَشَرٌ مِّثْلُكُمْ يُوحَى إِلَيَّ أَنَّمَا إِلَهُكُمْ إِلَهٌ وَاحِدٌ فَمَن كَانَ يَرْجُو لِقَاء رَبِّهِ فَلْيَعْمَلْ عَمَلًا صَالِحًا وَلَا يُشْرِكْ بِعِبَادَةِ رَبِّهِ أَحَدًا
110
অর্থঃ বলুনঃ আমি ও তোমাদের মতই একজন মানুষ, আমার প্রতি প্রত্যাদেশ হয় যে, তোমাদের ইলাহই একমাত্র ইলাহ। অতএব, যে ব্যক্তি তার পালনকর্তার সাক্ষাত কামনা করে, সে যেন, সৎকর্ম সম্পাদন করে এবং তার পালনকর্তার এবাদতে কাউকে শরীক না করে।

এখানে আরবী শব্দ بَشَرٌ (বাশার) দ্বারা এরা শুধুমাত্র মানুষ বুঝাতে চায়। অথচ সূরা মরিয়মের আয়াত - ১৭ তে بَشَرً (বাশার) দ্বারা ফেরেস্তাকে বুঝানো হয়েছে। দেখুন মূল আরবী রেওয়াত সহ
فَاتَّخَذَتْ مِن دُونِهِمْ حِجَابًا فَأَرْسَلْنَا إِلَيْهَا رُوحَنَا فَتَمَثَّلَ لَهَا بَشَرًا سَوِيًّا
অর্থঃ আমি আমার রুহ (হযরত জিব্রাইল আঃ) কে তাঁর (হযরত মরিয়ম) প্রতি প্রেরণ করেছি, অতঃপর সে (জিব্রাঈল আঃ) তাঁর সামনে একজন পূনাঙ্গ সুঠোম \"বাশার\" বা মানুষ এর আকৃতিতে আত্ম প্রকাশ করেছেন।

ওহাবীরা কি এখন বলবে ফেরেস্তারা (হযরত জীব্রাইল আলাইহিস সালাম) আমাদের মত মানুষ? কখনও নয়।
সুতরাং, এর দ্বারা বুঝা গেল بَشَرٌ (বাশার) শব্দ দ্বারা মানুষ বুঝায় না বরং মনুষ্য আকৃতি বুঝায়।

ওহাবী সাধারণ মানুষদের ধোঁকা দিয়ার জন্য এক আয়াত উল্লেখ করে এবং অপর আয়াত গোপন করে।

আবদুল হক মোহাদ্দেস দেহলবী (মাদারিজুন নবুওত)কিতাবে প্রথম খন্ডের এজালাতুশ সুবহাত অধ্যায়ে বলেন :قل انماانابشرمثلكم
ও কোরানে এইরূপ যতগুলি আয়াত এসেছে,এইগুলি আয়াতে মুতাসাবিহাতের আওতাভুক্ত।

আল্লামা জালালুদ্দিন "সুঅতি"আল এত্কান কি উলুমুল কোরান" ২খন্ড ২য ও ৩য পৃষ্টা তে বলেন আল কোরআনে যে সমস্ত আয়াতেمثلكم শব্দটি এসেছে, এইগুলি আয়াতে মতাসাবিহাতের আওতাভুক্ত।
মতাসাবিহাত এর অর্থ আল্লাহ এবং রাসুল ছাড়া কেও জানেনা,তাই সর্বসন্মতিক্রমে এই আয়াত দ্বারা কোনো দলিল হতে পারেনা।
আল্লাহ তায়ালা মতাসাবিহাত আয়াত সম্পর্কে বলেন :-"যাদের অন্তরে কপটতা রযেছে,তারাই কেবল মতাসাবিহাত এর দলিল গ্রহণ করেন "আল কোরান "
হজরত জিব্রিয়াল (আ ) নবীজির নিকট মানুষ রূপে আসতেন ,তাই বলে কি জিব্রাইল মানুষ?
যুগে যুগে নবীদের কে আমাদের মত বলেছেন ,কাফেররা (সুরা শুরা /সুরা ইয়াসিন)

জালালউদ্দিন রুমী মসনবী সরীফে বলেন- অনুবাদ :
কাফিররাই হজরত আহমদ (দ কে বশর বলেছিল ,কিন্তু তারা দেখে না যে, তিনি চন্দ কে দিখন্ডিত করেছিল,
তারা বলেছিল "আমরা যেমন বশর নবীও আমাদের মত বশর" যেমন-ঘুমাই ,পানাহার করে ,
তারা অগাত ছিল যে ,আমাদের এবং নবীদের মধ্য বেশুরম পার্তক্য রযেছে।


মূর্খদের সাথে তর্ক করতে নিষেধ করা হয়েছে কারন তাদের বদ আকিদার জন্য । সূরা কাহাফ ১১০ নং আয়াতের ব্যাখ্যা আমি(মাসুম বিল্লাহ সানি) দিচ্ছি ।সবাই একমত হবেন।

1.Question:-রাসূলুল্লাহ
صلى الله عليه و آله وسلم
কি ইনসান নাকি ফেরেশতা ?
Ans:- হ্যাঁ.নিশ্চই তিনি ইনসান।

2.Question:- তাহলে আহলে সুন্নত রাসূলুল্লাহ
صلى الله عليه و آله وسلم
যে ইনসান এটা মানে না কেন?
Ans:- আহলে সুন্নত আর ওহাবীদের কথায় ছোট একটা প্যাচঁ আছে যা বিশাল ভুল তাই মানে না ।

3.Question:- প্যাচঁটা কি বলবেন কি?
Ans:- তিনি বেমিসাল মাখলুক ।তাই আমাদের মত বলা মানে আমাদের সাথে তুলনীয় ।রাসূলুল্লাহ
صلى الله عليه و آله وسلم
কে খাট করা হবে । নাউযুবিল্লাহ

4.Question:- তাহলে আল্লাহ আল কোরআনে আমাদের মত বলেছেন কেন ?
Ans:- এর শানে নুযুল গুলো এক এক করে বলুন তো আমাকে তখন নিজেই বুঝে যাবেন ।

5.Question:-আমাকে একটু বুঝিয়ে বলুন ভাই ?
Ans:- দেখুন :
($) ঈসা(আ) এর কিছু মোজেযা ছিল কিন্তু তাই দেখে ওনাকে ইশ্বরের পুএ বলা শুরু করল সবাই ।রাসূলুল্লাহ
صلى الله عليه و آله وسلم
কে যেন এমনকিছু না মনে করেন সেজন্য কিছু হাদিসে নবী এবং মানুষ এর বেশি না ভাবার জন্য সতর্কও করেছেন ।এর মানে এটাই সীমার বাইরে গিয়ে কেউ যেন কুফরি না করেন ।

($) রাসূলুল্লাহ
صلى الله عليه و آله وسلم
এর পুরু জিন্দেগি অসিম মোজেযার সাগর তাই দেখে কাফিররা ফতোয়া দিল জাদুকর, রহমতের নবীকে সাধারন মানুষ ভয় পেয়ে দূরে সরতে থাকে তখন সেই পরিস্থিতিতে আল্লাহ কি ওনাকে শিখিয়ে দিয়ে এই আয়াত নাযিল করবেন না যে::

বলুন""হে রাসূল ! আমিও তোমাদের মত মানুষ ""
AL-QURAN

আমাকে উত্তর দিন এ ছাড়া আর কি শ্রেষ্ঠ উত্তর ছিল আল্লাহ কি এমতবস্থায় এই আয়াত নাযিল করবেন না ?

($) বিশ্ববিখ্যাত তফসির রুহুল বয়ান ও জালালাইন শরীফ এ আর ও বলা হয়েছে ।আল্লাহ স্বয়ং রাসূলুল্লাহ
صلى الله عليه و آله وسلم
এর শিক্ষক । তাই মহান হাবীব(সাঃ) কে তিনি এই বলে বিনীয়তা শিক্ষা দিয়েছেন যে বিশাল মর্যাদার অধিকারী হয়েও রাসূলুল্লাহ
صلى الله عليه و آله وسلم
এর অন্তর যেন সর্ম্পূণ অহংকার থেকে পবিত্র থাকেন ।

6.Question:- তাহলে রাসূলুল্লাহ
صلى الله عليه و آله وسلم
তো মানুষ ছিলেন এটা কিভাবে বলা আদব হবে ?
Ans:- এই ভাবে বলবেন যে রাসূলুল্লাহ
صلى الله عليه و آله وسلم
মানুষ ছিলেন কিন্তু বেমিসাল মাখলুক ।যিনি মর্যাদা পবিত্রতা আখলাক সৌন্দর্য অন্তর বাহির আপাদমস্তকের পবিত্রায় আর সম্মানে কোন দিক দিয়ে কোন দিন আপনে আমার মত নয় ।

Lets see with evidance of Quran hadith--
আসুন এবার কুরান হাদিসের আলুকে যুক্তিসহ মিলিয়ে নেই --
---------------------------------------------------------------------------------------
Who say Rasul صلى الله عليه و آله وسلم is like u & me?

বলুন ," আমি ও তোমাদের মত মানুষ (কিন্তু তোমরা আমার
মত না) ..আমার নিকট ওহী আসে যে তোমাদের ইলাহ এ এক মাত্র
ইলাহ।"
----হামীম- সিজদাহ ৬
----কাহাফ -১১০
" তাদের পয়গাম্বর গণ বললেন,"আমরা ও তোমাদের মতই
মানুষ ...."
----ইব্রাহীম -১১
---------------­--------~~­~~~~~----------­----------
""ওরা বললো," তোমরা তো আমাদের মতই মানুষ..দয়া ময়
আল্লাহ্‌ তো কিছুই অবতীর্ণ করেন নি..."
ইয়াছিন ১৫
ইব্রাহীম ১০
soyara- ১৮৬
হুদ ২৭
---------------­----~~~~~~~~~~-­-------------­----
" যদি তোমরা তোমাদের মতই এক জনের আনুগত্য কর তবে
নিশ্চিত রুপেই তোমরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে..."
মুমিনুন ৩৪
---------------­-------~~~~~~-----------­-----------

-------------------------------Point1:::-((( Different kalema ))))----------
(Differanec of sariyah)

All muslim::: read kalema(((( there is no God except Allah and Hozrot Mohammad(sm) is His Rasul ))))))

Rasul(sm) :: ((( There is no God except Allah and I am His Rasul )))

if any1 read kalema like dis with bliv he'll kafir............

-------------------------------------Point2::------------------------------------------
((( kalema sahadat '''' Ashado allah ilaha illallaho wahdaho la sarikalaho wa ashado anna Mohammadan ABDUHO wa rasul ho )))

(Totallay made him(sm) as a prestige & sariyah)

All creations :: is A'BD/ABDUL means the sarvents who always want to keep Allah happy......

Rasul(sm) :::-- ABDUHO is only only only used in case of 1 sarvent He is Habib of Allah.....Allah always want to keep whom Happy............

----------------------------Point 3:::--((( SALAT ))-------------------------------
(Differance of sariyah))

All muslim :::-- 5 times Salat is FARAZ

Rasul(sm) ::: 6 times salat was FARAZ including TAHAJJUT.........

-----------------Point 4:::--- ((( NIKAH/MARRIAGE ))))---------------------
(Defferance of sariyah)

All muslim ::: can keep 4 wife......

Rasul(sm):: marraige 11 women who r The MOTHER of all bealivers...........

-----------------------Point 5::--- ((( shadow )))-----------------------------
(Defferance of Physical criteria)

All creations ::: have shadow

Rasul(sm) ::: had not any shadow


((( All know that our Beloved Rasul(sm) Had no any Shadow Beacause his Feet to Head was NOOR -
----Asraf Ali Thanvi~Sokore niyamot P 39
----Molla Ali kari(Rah) in Miskat sorhe mirkat )))

-----------------------Point 6::::-- ((( Urine/posrab mubarok )))-----------
(Defferance of physical criteria)

All muslim ::: any1's urine is haram to drink if any1 say halal it will kofr.

Rasul(sm) ::: Umme Aiman(Ra) drank urine of Rasul(sm) for that Jahannam become Haram for Umme Aiman...

-----------------------Point 7:::--((( Blood ))))------------------------------
(Differance of Physical & Sariah's criteria)

All muslim::: It is Haram to drink any1's Blood............
In al quran.......

[Mayidah 3]
[Nazam 118]
[Bakara 173]
[Nahol 115]

Rasul(sm) ::: Malek Ibn Sina(ra) (1 sahabi) drank Rasul's Blood .......

Jahannam became Haram for him......why it was not haram for him if he would a human like us....

-------------Point8:: (((( Rasul(sm). 'S prestige is Above of all )))-------
(Differance of prestige)

Human,
Muslim,
Momin,
Awlia,
Gaous,
Kotob,
Abdal,
Gaousul azom,
Salehin,
Sahedin,
Sohada,
Siddikin,
Tabe tabeye,
Tabeye,
Sahabi,
Ambiya,
Rasul,
Khatemun-nabeyin(sm)

((( I just give some stage here,and here serial also not maintained much good ,,,thus the most uper stage our beloved prophet(sm). )))

-----------Point 9 ::- (( Al Quran sent to Mohammad(sm). ))-------------
(Its diferance of prestige )
not upon us

--------------------------------Point 10::------------------------------

((( Was our Rasul(sm) human like us?I mean is there any Misal/compare of Rasul(sm) with any1 )))

(Its diferance of Both prestige & Physical criteria)

Ans:::
---------------------------------------------------------------------------
----------------"WHO AMONG YOU IS LIKE ME?”----------------
---------------------------------------------------------------------------

((((1)))) Narrated Anas (RA):

The Holy Prophet صلى الله عليه و آله وسلم fasted Al-Wisal on the last days of the month. Some people did the same, and when the news reached the Prophet صلى الله عليه و آله وسلم
he said, " If the month had been prolonged for me, then I would have fasted Wisal for such a long timethat the most exaggerating ones among you wouldhave given up their exaggeration.

[ Bukhari sarif , Volume 9, Book 90, Number 347]

::::::::::::::

((((2)))) I am not like you ; my Lord always makes me eat and drink."
[Bukhari sarif,Volume 9, Book 90, Number 348]

:::::::::::::

((((3))))) Narrated Abu Huraira:

Allah's Apostle forbade Al-Wisal. The people said (to him),
"But you fast Al-'Wisal,"

He said,
"Who among you is like me ?

When I sleep (at night), my Lord makes me eat anddrink. But when the people refused to give up Al-Wisal, he fasted Al-Wisal along with them for two days and then they saw the crescent whereupon the Prophet said, "If the crescent had not appeared I would have fasted for a longer period," as if he intended to punish them herewith.

::::::::::::::::

(((4)))). The Nobel Quran:

"And the chiefs of those people who disbelieved and belied the presence of the Hereafter and whom We gave comfort in the life of the world, said, 'he isnot but a man like you, he eats of that what you eat and drinks of at what you drink ." [23:33]

Allah(SWT) in the Quran mentions and quotes kuffar saying to the Prophets(PBUH) you are a manlike us to deny their Prophethood, to quote just three out of many

:::::::the unbealiver kafir's opinion about rasul(as):::::

------Namrood and company says to Ibraheem (A)you are a man(bashar) like(missal) us. (11:27)
:::::::::::::::

-------Firaun and company says to Moosa (A) you are a man(bashar) like(missal) us.(26:186)
:::::::::::

-------Abu Jahal and co says to Muhammad Mustafa(S): you are a man (bashar) like(missal) us.

(((((((((((((--------------------------------------)))))))))))))))))

((((((5)))))) Hazrat Abu Hurairah (R.A) states that when the Beloved Prophet (s.a.w) smiled, the walls use to glow with his Noor.

- (Muwahibul Laduniya; Shifa Shareef)

::::::::::::::

((((6)))))) Ummul Mumineen, Hazrat Aisha (R.A) is recorded to have said: "In total dark nights,I used to put the thread into a needle with the help of the Noor of Rasulallah (s.a.w)."
- (Shara Shifa Bar Hashia Naseemur Riaz)

::::::::::::

(((((7)))))) Hazrat Anas (R.A) states that the day in which the Rasulallah (s.a.w) arrived in Madinatul Munawwarah, everything in Madinatul Munawwarah became bright through his Noor.

- (Tirmizi Shareef; Ibn Majah)

::::::::::::

(((((8))))))“ Muhammad صلى الله عليه و آله وسلم was born without an umbilical (navel) cord, circumcised and his body miraculously pure and clean without any kind of blood or dirt on it.”
(Ibn Hisham, Sirat al Nabi - Ibn Sa’d, Kitab ul-Tabaqat ul-Kabir)
---------------------------------------------------------------------------:::
Hadith from sahih Bukhari Sarif~~~~
:::::::::::::
~~Sahih al-Bukhari Hadith: 3.182
----------------
Narrated Anas:

The Prophet said, "Do not practice al-Wisal (fasting continuously without breaking one's fast in the evening or eating before the following dawn)." The people said to the Prophet, "But you practice al-Wisal?"The Prophet replied, " I am not like any of you , for I am given food and drink (by Allah) during the night." (Qala: Lastu Ka ahadin minkum).

:::::::::
~~Sahih al-Bukhari Hadith: 3.183
-------

Narrated Abdullah Ibn Umar:
Allah's Apostle forbade al-Wisal. The people said(to him),"but you practice it?" He said, " I am not like you , for I am given food and drink by Allah." (Qala: Inni lastumithlikum).

::::::::::
~~Sahih al-Bukhari Hadith: 3.184
---------

Narrated Abu Sa'id:
That he had heard the Prophet saying, "Do not fast continuously (practice al-Wisal), and if you intend to lengthen your fast, then carry it on only till the Suhur (before the following dawn)." The people said to him,"But you practice (Al-Wisal), O Allah's Apostle!" He replied, " I am not similar to you , for during my sleep I have One Who makes me eat and drink." (Qala: Inni lastu ka Hay'atikum).
:
:::::::::

~~Sahih al-Bukhari Hadith: 3.185
---------
Narrated Aisha:
Allah's Apostle forbade al-Wisal out of mercy to them. They said to him, "But you practice al-Wisal?" He said," I am not similar to you , for my Lord gives me food anddrink." (Qala: Inni lastu ka Hay'atikum)

:::::::::::::::

~~Sahih al-Bukhari Hadith: 3.187

------------

Narrated Abu Huraira:
The Prophet said twice, "(O you people) Be cautious! Do not practice al-Wisal." The people said to him, "But you practice al-Wisal?" The Prophet replied, "My Lord gives me food and drink during my sleep. Do that muchof deeds which is within your ability ."

:::::::::::::::

~~Sahih al-Bukhari Hadith: 3.188
---------------

Narrated Abu Said al-Khudri:
Allah's Apostle said, "Do not fast continuously day and night (practice al-Wisal) and if anyone of you intends tofast continuously day and night, he should continue tillthe Suhur time." They said, "But you practice al-Wisal, O Allah's Apostle!" The Prophet said,
" I am not similar to you ; during my sleep I have One Who makes me eat and drink.

----------------------------------------------------------------------------

-----------Point 11: Rasul(sm) Noore Mujassam/Noorul Basar :----------
....we r all from created from soil....

See dis lecture.................

(((( http://m.facebook.com/photo.php?fbid=346972285403486&id=100002721537813&set=a.153621461405237.23730.100002721537813&_mn_=5&refid=17 )))))

(((((((((Shortly combined many hadith just the view point if u want to see the full hadith u can search in net )))))))))))))

---lecture বড় হ্বার আশঙ্কায় বিশাল বড় বড় হাদিসের view point গুলো দেখেন ~~~~
হযরত মুহাম্মাদ(সা:) বলেন ,"
তোমাদের কে আছো আমার মত ?"
--------------- ­------------~~ ~­~~~~--------- --­---------
"আমি তোমাদের কারো মত না ! "
--------------- ­----~~~~~~~~~~ ~­------------- --­-----
" তোমাদের কেহ আমার অনুরূপ( সাদ্রিস,শামিল,এ ­ক রকম) না,
আমি যখন রাতে ঘুমাই তখন আল্লাহ্‌ আমাকে আহার

করান এবং পান করান "
--------------- ­----~~~~~~~~~~ ~­------------- --­---
Referance:::::- ­-------
~~Sahih al-Bukhari Hadith: 3.183
~~Sahih al-Bukhari Hadith: 3.182
~~Sahih al-Bukhari Hadith: 3.188
~~Sahih al-Bukhari Hadith: 3.185
~~Sahih al-Bukhari Hadith: 3.184
~~Sahih al-Bukhari Hadith: 3.187
~~Bukhari sarif,Volume 9, Book 90, Number 348
~~Bukhari sarif,Volume 9, Book 90, Number 347
--------------- ­~~~~~~~~~~~--- -­------------- --­--

Allah is great who Created his Habib(SAW) as a Bemisal Makhlok.......subhanallah
Allah knows the best.