সোমবার, ১৩ জুন, ২০১৬

রোযার জন্য জান্নাতের একটি দরজাঃ





রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: “জান্নাতে আটটি দরজা, তাতে একটি দরজাকে “রাইয়ান” বলা হয়, তা দিয়ে রোযাদার ব্যতীত কেউ প্রবেশ করবে না”। (বুখারি: ৩০৮৪, মুসলিম: ১১৫৫, তিরমিযি: ৭৬৫)

বুখারির বর্ণিত শব্দে হাদিসটি এসেছে এভাবে: “নিশ্চয় জান্নাতে একটি দরজা আছে, যাকে বলা হয় রাইয়ান, কিয়ামতের দিন তা দিয়ে রোযাদার প্রবেশ করবে, তাদের ব্যতীত কেউ সেখান থেকে প্রবেশ করবে না। বলা হবে: রোযাদারগণ কোথায়? ফলে তারা দাঁড়াবে, তাদের ব্যতীত কেউ তা দিয়ে প্রবেশ করবে না, যখন তারা প্রবেশ করবে বন্দ করে দেয়া হবে, অতঃপর কেউ তা দিয়ে কেউ প্রবেশ করবে না”। (বুখারি: ১৭৯৭)

তিরমিযির বর্ণিত শব্দ: “জান্নাতে একটি দরজা আছে, যাকে রাইয়ান বলা হয়, তার জন্য রোযাদারদেরকে আহ্বান করা হবে, যে রোযাদারদের অন্তর্ভুক্ত হবে, সে তাতে প্রবেশ করবে, যে তাতে প্রবেশ করবে কখনো পিপাসার্ত হবে না”। (তিরমিযি: ৭৬৫)

আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: “আল্লাহর রাস্তায় যে দু’টি জিনিস খরচ করল, তাকে জান্নাতের দরজাসমূহ থেকে ডাকা হবে: হে আব্দুল্লাহ, এটা কল্যাণ। যে সালাত আদায়কারী তাকে সালাতের দরজা থেকে ডাকা হবে। যে মুজাহিদ তাকে জিহাদের দরজা থেকে ডাকা হবে। যে রোযাদার তাকে রাইয়ান দরজা থেকে ডাকা হবে। যে দানশীল তাকে সদকার দরজা থেকে ডাকা হবে। আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেন : হে আল্লাহর রাসূল, আমার মাথা-পিতা আপনার উপর উৎসর্গ। যাকে এক দরজা থেকে ডাকা হবে না, তার বিষয়টি পরিষ্কার, কিন্তু কাউকে কি সকল দরজা থেকে ডাকা হবে? তিনি বললেন: হ্যাঁ, আমি আশা করছি তুমি তাদের অন্তর্ভুক্ত”। (বুখারি: ১৭৯৮, মুসলিম: ১০২৭)

বুখারি ও মুসলিমের অন্য শব্দে এসেছে: “জান্নাতের প্রহরী তাকে ডাকবে, প্রত্যেক দরজার প্রহরী বলবে: হে অমুক, আস”। (বুখারি: ২৬৮৬, মুসলিম: ১০২৭)

ইমাম আহমাদের বর্ণিত শব্দ: “প্রত্যেক আমলের লোকের জন্য জান্নাতে একটি করে দরজা আছে, তাদেরকে সে আমল দ্বারা ডাকা হবে। রোযাদারদের একটি দরজা রয়েছে, তাদেরকে সেখান থেকে ডাকা হবে, যাকে বলা হয় রাইয়ান। আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেন: হে আল্লাহর রাসূল, কেউ কি সব দরজা থেকে ডাকা হবে? তিনি বললেন: হ্যাঁ, আমি আশা করছি তুমি তাদের অন্তর্ভুক্ত হে আবু বকর”। (মুসনাদে আহমদ: ২/৪৪৯)



মওলিদুন্নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সম্পর্কে ইমাম ইবনে কাসীর (রহঃ) :-


▄▄▄▄▄▄▄▄▄▄▄▄▄▄▄▄▄▄▄▄▄▄▄▄▄▄▄
ইসলাম নতুন নয়; পুরাতন। মীলাদ উন নাবী (صلى الله عليه و آله وسلم) সম্পর্কে কতিপয় অভিমত :
▄▄▄▄▄▄▄▄▄▄▄▄▄▄▄▄▄▄▄▄▄▄▄▄▄▄▄
ইমাম ইবনে কাসীর রহমতুল্লাহি আলাইহি'র দৃষ্টিতে আরবলের বাদশাহ সুলতান সালাউদ্দিন আইয়্যুবীর ভগ্নিপতি হযরত মুজাফফর রাহমাতুল্লাহি আলাইহি। 
ইবনে কাসীর রহমতুল্লাহি আলাইহি, যাকে সালাফী / ওহাবীরা তাফসীর ও ইতিহাস শাস্ত্রে সবচেয়ে বেশি শ্রদ্ধা করে থাকে।
________________________
প্রকৃতপক্ষে ইবনে কাসীর লিখেন:

অর্থ: “বাদশা হযরত মুজাফফরুদ্দীন ইবনে যাইনুদ্দীন আবু সাঈদ রাহমাতুল্লাহি আলাইহি তিনি দানশীল ও নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিদের অন্যতম ছিলেন। সাথে সাথে তিনি সম্মানিত বাদশাও ছিলেন। উনার বহু পূন্যময় কাজের আলামত এখনও বিদ্যমান রয়েছে।”
গ্রন্থ সূত্র :
*_* আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া, ১৩ তম, খন্ড ১৩৬ পৃষ্ঠা।

তিনি আরো লিখেন :

অর্থ: আরবলের বাদশা হযরত মালিক মুজাফফরুদ্দীন ইবনে যাইনুদ্দীন রহমতুল্লাহি আলাইহি তিনি প্রতি বছর পবিত্র ঈদে মীলাদুন্নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উপলক্ষে তিন লক্ষ দিনার ব্যায় করতেন।”
গ্রন্থ সূত্র :
*_* আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া, ১৩ তম, খন্ড ১৩৭ পৃষ্ঠা।

তিনি লিখেন :
أحد الاجواد والسادات الكبراء والملوك الامجاد له آثار حسنة وقد عمر الجامع المظفري بسفح قاسيون وكان قدهم بسياقه الماء إليه من ماء بذيرة فمنعه المعظم من ذلك واعتل بأنه قد يمر على مقابر المسلمين بالسفوح وكان يعمل المولد الشريف في ربيع الاول ويحتفل به احتفالا هائلا وكان مع ذلك شهما شجاعا فاتكا بطلا عاقلا عالما عادلا رحمه الله وأكرم مثواه وقد صنف الشيخ أبو الخطاب ابن دحية له مجلدا في المولد النبوي سماه التنوير في مولد البشير النذير فأجازه على ذلك بألف دينار وقد طالت مدته في الملك في زمان الدولة الصلاحية وقد كان محاصر عكا وإلى هذه السنة محمودالسيرة والسريرة قال السبط حكى بعض من حضر سماط المظفر في بعض الموالد كان يمد في ذلك السماط خمسة آلاف راس مشوى وعشرة آلاف دجاجة ومائة ألف زبدية وثلاثين ألف صحن حلوى

অর্থঃ “(মুযাফফর শাহ) ছিলেন একজন উদার/সহৃদয় ও প্রতাপশালী এবং মহিমান্বিত শাসক, যাঁর সকল কাজ ছিল অতি উত্তম। তিনি কাসিইউন-এর কাছে জামেয়া আল-মুযাফফরী নির্মাণ করেন…..(প্রতি) রবিউল আউয়াল মাসে তিনি জাঁকজমকের সাথে মীলাদ শরীফ (মীলাদুন্নবী) উদযাপন করতেন। উপরন্তু, তিনি ছিলেন দয়ালু, সাহসী, জ্ঞানী, বিদ্বান ও ন্যায়পরায়ণ শাসক – রাহিমুহুল্লাহ ওয়া একরাম – শায়খ আবুল খাত্তাব রহমতুল্লাহি আলাইহি সুলতানের জন্যে মওলিদুন্ নববী সম্পর্কে একখানি বই লিখেন এবং নাম দেন ‘আত্ তানভির ফী মওলিদ আল-বাশির আন্ নাযীর’। এ কাজের পুরস্কারস্বরূপ সুলতান তাঁকে ১০০০ দিনার দান করেন। সালাহিয়া আমল পর্যন্ত তাঁর শাসন স্থায়ী হয় এবং তিনি ’আকা’ জয় করেন। তিনি সবার শ্রদ্ধার পাত্র থেকে যান।”
আস্ সাবত্ এক ব্যক্তির কথা উদ্ধৃত করেন-যিনি সুলতানের আয়োজিত মওলিদ অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন; ওই ব্যক্তি বলেন:
‘অনুষ্ঠানে সুলতান ভালভাবে রান্নাকৃত ৫০০০ ছাগল, ১০,০০০ মোরগ, ১ লক্ষ বৌল-ভর্তি দুধ এবং ৩০,০০০ ট্রে মিষ্টির আয়োজন করতেন’।”

গ্রন্থ সূত্র :
*_* ’তারিখে ইবনে কাসীর’, ‘আল-বেদায়াহ ওয়ান্ নেহায়া’ ১৩তম খণ্ড, ১৭৪ পৃষ্ঠা।
অনুরূপ বিবরণ জগৎ বিখ্যাত পূর্বেকার উম্মতের ইমামগনের বিখ্যাত যত গ্রন্থ "সীরাতে শামী, সীরাতে হালবীয়া, সীরাতে নববীয়া ও যুরকানী” ইত্যাদিতে ও বিদ্যমান আছে।

জুম’আর দিন প্রসঙ্গে কিছু সহিহ্ হাদিসঃ


রাসুলে কারিম সল্লাল্লহু 'আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
জুম’আর দিনে এমন একটি সময় আছে, যখন বান্দা আল্লাহর কাছে যা চায়, তা-ই তাকে দেওয়া হয়। আর এ সময়টি হল জুম’আর দিন আসরের পর থেকে মাগরিব পর্যন্ত, একটি সময়।
*_* বুখারী শরীফ/৯৩৫।

হযরত আবু হুরাইরা(রা) হতে বর্ণিত,
রাসূলে কারিম সল্লাল্লহু 'আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
”যে গোসল করে জুমু’আর উদ্দেশ্যে আসে এবং যে পরিমাণ নফল নামায পড়ার তাওফীক হয় তা পড়ে, এরপর ইমামের খুতবা শেষ হওয়া পর্যন্ত চুপ থাকে এবং ইমামের সঙ্গে নামায আদায় করে, আল্লাহ তা’আলা তার দশ দিনের (সগীরা) গুনাহ মাফ করে দেন।”
*_* সহীহ মুসলিম, ১/২৮৩।

জুমুয়ার দিন রসূলে কারিম হাযরাত মুহাম্মদ সল্লাল্লহু 'আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লাম এর উম্মত এর জন্য একটি মহান দিন। এ জুম’আর দিনটিকে সম্মান করার জন্য ইহুদী-নাসারাদের উপর ফরজ করা হয়েছিল; কিন্তু তারা মতবিরোধ করে এই দিনটিকে প্রত্যাখ্যান করেছিল। অতঃপর ইহুদীরা শনিবারকে আর খ্রিষ্টানরা রবিবারকে তাদের ইবাদতের দিন বানিয়েছিল। অবশেষে আল্লাহ তায়ালা তাঁর হাবীব রসূলে কারিম হাযরাত মুহাম্মদ সল্লাল্লহু 'আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লাম এর উম্মতের জন্য শুক্রবারকে মহান দিবস ও ফযীলতের দিন হিসেবে দান করেছেন। আর উম্মতে মুহাম্মদী তা গ্রহন করে নিল।
*_* বুখারী শরীফ ৮৭৬;
*_* মুসলিম শরীফ ৮৫৫।

হাযরাত আবদুল্লাহ ইবনে আমর [রাযি] থেকে বর্ণিত যে, নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লাম প্রত্যেক জুমুআর দিনে নিজের গোঁফ ছোট করেতেন এবং আংগুলের নখ কাটতেন।
*_* আখলাকুন নবী সল্লাল্লহু 'আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লাম, হাদিস নং-৭৭০।

হাযরাত আবু হুরায়রা [রাযি] থেকে বর্ণিত,
তিনি বলেন, নবী করীম সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম বলেছেন,
জুমুআর দিন মসজিদের দরজায় ফিরিশতারা অবস্থান করেন এবং ক্রমানুসারে আগে আগমনকারীদের নাম লিখতে থাকেন। যে সবার আগে আসে সে ঐ ব্যক্তির ন্যায় যে একটি মোটাতাজা উট কুরবানী করে। এরপর যে আসে সে ঐ ব্যক্তির ন্যায় যে একটি গাভী কুরবানী করে। এরপর যে আসে সে ঐ ব্যক্তির ন্যায় যে একটি দুম্বা কুরবানী করে তারপর আগমনকারী ব্যক্তি মুরগী দানকারীর ন্যায়। এরপর আগমনকারী ব্যক্তি ডিম দানকারীর ন্যায়। তারপর ইমাম যখন [খুৎবার প্রদানের জন্য] বের হন তখন ফিরিশিতা তাঁদের দফতর বন্ধ করে দেন এবং মনোযোগ সহকারে খুৎবা শুনতে থাকেন।
*_* বুখারি শরীফ, হাদিস ৮৮২।

হাযরাত আবু সাঈদ খুদরী (রাঃ) বলেন,
রসূলে কারিম সল্লাল্লহু 'আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
যে ব্যক্তি জুমআর দিন সূরা কাহ্ফ পড়বে তার জন্য এক জুম’আ থেকে আরেক জুম’আ পর্যন্ত আলো বিচ্ছুরিত হবে।
*_* মুসতাদারেক হাকিমঃ২/৩৯৯,
*_* বায়হাকীঃ ৩/২৪৯,
*_* ফয়জুল ক্বাদীরঃ ৬/১৯৮।

হযরত ইবনে উমর (রা) থেকে বর্ণিত,
রসূলে কারিম সল্লাল্লহু 'আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
যে ব্যক্তি শুক্রবার দিন সূরা কাহফ পাঠ করবে তার পা থেকে আকাশের উচ্চতা পর্যন্ত নূর হয়ে যাবে, যা কেয়ামতের দিন আলো দিবে এবং বিগত জুমআ থেকে এ জুমআ পর্যন্ত তার সব গুনাহ মাফ হয়ে যাবে।
*_* সহিহ্ আত তারগীব ওয়া তারহীবঃ ১/২৯৮।

হাযরাত আবু দারদা রাঃ রসূলে কারিম সল্লাল্লহু 'আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন,
যেব্যক্তি সুরায়ে কাহাফের প্রথম দশটি আয়াত মুখস্থ করবে সে দাজ্জালের ফেৎনা হতে রক্ষা পাবে।
*_* মুসলিম শরীফ, হাদিস ১৩৪২,
*_* মুসনাদু আহমদ শরীফ, হাদিস ২০৭২০,
*_* আবু দাউদ শরীফ, হাদিস ৩৭৬৫।

হযরত ইয়াযীদ ইবনে আবি মারয়াম (র) থেকে বর্ণিত।
তিনি বলেন,
আমি একদিন পায়ে হেঁটে জুম’আর জন্য যাচ্ছিলাম। এমন সময় আমার সাথে আবায়া ইবনে রিফায়া (র) এর সাথে সাক্ষাৎ হয়।
তিনি বললেন, সুসংবাদ গ্রহণ কর! তোমার এই পদচারণা আল্লাহর পথেই। আমি আবু আবস (রা) কে বলতে শুনেছি, রাসূলুলে কারিম সল্লাল্লহু 'আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
যে ব্যক্তির পদদ্বয় আল্লাহর পথে ধূলিময় হলো, তার পদদ্বয় জাহান্নামের জন্য হারাম করা হলো।
*_* জামে তিরমিযি, হাদিস ১৬৩৮,
*_* সহীহ বুখারী, হাদিস ৯০৭।

রাসূলে কারিম সল্লাল্লহু 'আলাইহি ওয়া আলিহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
জুম’আতে তিন ধরনের লোক আসে।
(ক) যে ব্যক্তি অনর্থক আসে, সে তাই পায;
(খ) যে ব্যক্তি আল্লাহর কাছে কিছু প্রার্থনার জন্য আসে। আল্লাহ চাইলে তাকে দেন, অথবা না দেন;
(গ) যে ব্যক্তি নীরবে আসে এবং কারো ঘাড় মটকায় না ও কষ্ট দেয় না, তার জন্য এই জুম’আ তার পরবর্তী জুম’আ এমনকি তার পরের তিন দিনের (সগীরা) গোনাহ সমূহের কাফফারা হয়ে থাকে। এ কারণেই মহান আল্লাহ্ পাক বলেছেন,
যে ব্যক্তি একটি নেকীর কাজ করে, তার জন্য দশগুণ প্রতিদান রয়েছে (সূরাহ্ আন’আম; আয়াত ১৬০)।
*_* আবুদাঊদ, মিশকাত হা/১৩৯৬, অনুচ্ছেদ-৪৪।

ইমাম মালিক রাহিমাহুল্লাহ্ বলেনঃ



عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ رضي الله عنه أَنَّهُ قَالَ: تُعْرَضُ أَعْمَالُ النَّاسِ كُلَّ جُمُعَةٍ مَرَّتَيْنِ، يَوْمَ الْاثْنَيْنِ وَيَوْمَ الْخَمِيسِ، فَيُغْفَرُ لِكُلِّ عَبْدٍ مُؤْمِنٍ إِلَّا عَبْدًا كَانَتْ بَيْنَهُ وَبَيْنَ أَخِيهِ شَحْنَاءُ، فَيُقَالُ: اتْرُكُوا هَذَيْنِ حَتَّى يَفِيئَا. أَوِ ارْكُوا (يعني أخِّروا) هَذَيْنِ حَتَّى يَفِيئَا.
“আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেছেন: প্রতি জুমায় [সপ্তাহে] বান্দার আমল দু’বার পেশ করা হয়: সোমবার ও বৃহস্পতিবার। অতঃপর প্রত্যেক মুমিন বান্দাকে ক্ষমা করা হয়, তবে সে বান্দা ব্যতীত যার মাঝে ও তার ভাইয়ের মাঝে বিদ্বেষ রয়েছে। বলা হয়: তাদেরকে ত্যাগ কর, যতক্ষণ না তারা সংশোধন করে নেয়”।
গ্রন্থ সূত্র :
*_* মুয়াত্তা মালেক; ২/৯০৮, হাদিস ১৭।

রবিবার, ১২ জুন, ২০১৬

কালের সকল মুফাস্সির, মুহাদ্দিস ও ফকিহগণ মাযহাব এর অনুসারী ছিলেনঃ


এসব নিচের পুস্তকে সংরক্ষিত হয়েছে :

০১. তাবাকাতুল হানাফীয়্যাহ্
০২. তাবাকাতুল মালিকিয়্যাহ্
০৩. তাবাকাতুল শাফিয়্যাহ্
০৪. তাবাকাতুল হানাবিলাহ্

উপরোক্ত নামে কিতাবগুলো জীবনীকোষ হিসেবে পরিচিত।
এখানে মৃত্যু সনসহ শাস্ত্রজ্ঞ উলামায়ে ক্বিরামের মাযহাব ভিত্তিক একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা দেয়া হলো :


প্রসিদ্ধ মুফাস্সিরগণ যাঁরা হানাফী ছিলেন :


০১. ইমাম আবু বকর আহমাদ ইবনে আলী আল জাসসাস (৩৭০হি.) তাফসীর আহকামুল ক্বুরআ'ন।
০২. নসর ইবনে মুহাম্মাদ (৩৭৩হি.) তাফসীর সমরকন্দী।
০৩. আব্দুল্লাহ্ ইবনে আহমাদ (৭০১হি.) তাফসীর নাসাফী।
০৪. মুহাম্মাদ ইবনে মুহাম্মাদ ইবনে মুস্তাফা (৯৫২হি.) তাফসীর আবিস সউদ।
০৫. ইসমাইল হাক্বী (১১২৭হি.) তাফসীর রুহুল বয়ান।
০৬. কাজী সানাউল্লা পানিপথী (১২২৫হি.) তাফসীর মাযহারী।
০৭. শিহাবউদ্দীন মাহমুদ আলূসী (১২৭০হি.) তাফসীর রুহুল মাআনী।


প্রসিদ্ধ মুফাস্সিরগণ যাঁরা শাফিয়ী ছিলেন :


০৮. আলী ইবনে মুহাম্মাদ আত তাবারী (৩১০হি.) তাফসীর তাবারী।
০৯. হুসাইন ইবনে মাসউদ আল বাগাবী (৫১৬হি.) তাফসীর বাগাবী।
১০. মুহাম্মাদ ইবনে উমর আর রাযী (৬০৬হি.) তাফসীর কাবীর।
১১. আবদুল্লাহ্ ইবনে বায়যাবী (৬৮৫হি.) তাফসীর বায়যাবী।
১২. আবদুল্লাহ্ ইবনে খাযেন (৭৪১হি.) তাফসীর খাযেন।
১৩. ইসমাইল ইবনে আমর দিমাশকী (৭৭৪হি.) তাফসীর ইবনে কাসীর।
১৪. জালালুদ্দিন মুহাল্লী (৮৬৪হি.) তাফসীর জালালাইন।
১৫. জালালুদ্দিন সুয়ূতি (৯১১হি.) তাফসীর জালালাইন, তাফসীর দুররে মানসূর।
১৬. মুহাম্মাদ ইবনে আহমাদ শিরবীনী (৯৭৭হি.) তাফসীর খতীব।


প্রসিদ্ধ মুফাস্সিরগণ যাঁরা মালেকী ছিলেন :


১৭. মুহাম্মাদ ইবনে আবদুল্লাহ্ আন্দালুসী (৫৪৩হি.) তাফসীর আহকামুল ক্বুরআ'ন।
১৮. আব্দুল হাক্ব ইবনে গালেব (৫৪৬হি.) তাফসীর ইবনে আতীয়্যাহ্।
১৯. আব্দুর রহমান ইবনে মুহাম্মাদ আস সাআলাবী (৮৭৬হি.) তাফসীর আল জাওয়াহিরুল হিসান।
২০. মুহাম্মাদ ইবনে আহমাদ আল কুরতুবী (৬৭১হি.) তাফসীর কুরতুবী।
২১. মুহাম্মাদ ইবনে ইউসূফ আন্দালুসী (৭৪৫হি.) তাফসীর বাহারুর মুহীত।
২২. আবুল আব্বাস শিহাবুদ্দীন (৭৫৬হি.) তাফসীর আদ দুররুল মাসনুন।
২৩. ইবনু উরফাহ্ (৮০৩হি.) তাফসীর ইবনে উরফাহ্।


প্রসিদ্ধ মুফাস্সিরগণ যাঁরা হাম্বলী ছিলেন :


২৪. ইবনে আদেল আবী হাফস (৮৮০হি.) তাফসীর লুবাব।
২৫. ইবনে রজব (৭৯৫হি.) তাহকিকু তাফসীরুল ফাতিহা।
২৬. ইবনূল কাইয়্যিম আল জাওযীয়া (৭৫১হি.) আত তাফসীরুল কাইয়্যিম।
২৭. ইবনে রজব (৭৯৫হি.) রওয়ায়িয়ূত তাফসীর।


প্রসিদ্ধ মুহাদ্দিসগণ যাঁরা হানাফী ছিলেন :


০১. মাক্বী ইবনে ইব্রাহীম রহ. (১২৬হি.)
০২. আব্দুল্লাহ্ ইবনে মুবারাক রহ. (১৮১হি.)
০৩. ইমাম আবু ইউসূফ রহ. (১৮২হি.)
০৪. ইমাম মুহাম্মাদ রহ. (১৮৯হি.)
০৫. ইয়াহইয়াহ ইবনে সাইদ আল কাত্তান রহ. (১৯৮হি.)
০৬. ইহইয়াহ ইবনে মাঈন রহ. (২৩৩হি.)
০৭. আবু ইয়ালা আল মুসিলী রহ. (৩০৭হি.)
০৮. ইমাম ত্বাহাবী রহ. (৩১১হি.)
০৯. আলাউদ্দীন মুগলতাইয়ী রহ. (৭৬২হি.)
১০. আলাউদ্দিন ইবনুত তরকুমানী রহ. (৭৪৫হি.)
১১. ইউসূফ যাইলাঈ রহ. (৭৬২হি.)
১২. বাদরুদ্দিন আল আইনী রহ. (৮৫৫হি.)
১৩. রজীউদ্দীন মুহাম্মাদ ইবনে ইব্রাহীম রহ. (৯৭১হি.)
১৪. মুল্লা আলী কারী রহ. (১০১৪হি.)


প্রসিদ্ধ মুহাদ্দিসগণ যাঁরা শাফিয়ী ছিলেন :


০১. মুহাম্মাদ ইবনে ইসমাইল বুখারী (২৫৬হি.)
০২. আব্দুর রহমান আন নাসায়ী (৩০৩হি.)
০৩. আবু ইসা তিরমিযী (২৭৯হি.)
০৪. আবু ইবনু হিব্বান (৩৫৪হি.)
০৫. ইবনু খুযাইমা (৩১১হি.)
০৬. আবু দাউদ আত ত্বয়ালিসী (২০৪হি.)
০৭. আলী ইবনে ওমর আদ দারাকুতুনী (৩৮৫হি.)
০৮. আবু বকর আল বায়হাকী (৪৫৮হি.)
০৯. হাকেম আবু আবদিল্লাহ্ (৪০৫হি.)
১০. ইবনূল আসীর (৬০৬হি.)
১১. যাইনুদ্দীন আল ইরাকী (৮০৬হি.)
১২. আবুল হাজ্জাজ আল মিজ্জী (৭৪২হি.)
১৩. শামসুদ্দীন আয যাহাবী (৭৪৮হি.)
১৪. হাফেজ ইবনু হাজার (৮৫২হি.)
১৫. হাফেজ শামসুদ্দীন আস সাখাভী (৯০২হি.)
১৬. ইবনু আসাকীর (৫৭১হি.)
১৭. আবু বকর আল বাগদাদী (৪৬৩হি.)


প্রসিদ্ধ মুহাদ্দিসগণ যাঁরা মালেকী ছিলেন :


০১. ইবনু আব্দিল বার (৪৬৩হি.)
০২. আবু বকর ইবনূল আরাবী (৫৪৩হি.)
০৩. আবু আব্দুল্লাহ্ আয যুরকানী (১১২২হি.)


প্রসিদ্ধ মুহাদ্দিসগণ যাঁরা হাম্বলী ছিলেন :


০১. মুসলিম ইবনে হাজ্জাজ (২৬১হি.)
০২. আবু আব্দুর রহমান আদ দারিমী (২৫৫হি.)
০৩. আব্দুর রাজ্জাক সানআনী (২১১হি.)
০৪. আবু দাউদ (২৭৫হি.)


প্রসিদ্ধ ফকিহ্গণ যাঁরা হানাফী ছিলেন :


০১. আবুল হাসান কুদুরী (৪২৮হি.)
০২. আবু বকর সারাখসী (৪৯০হি.)
০৩. আলাউদ্দীন আল কাসানী (৫৮৭হি.)
০৪. আব্দুল্লাহ্ ইবনে মাহমুদ (৬৮৩হি.)
০৫. কামাল ইবনূল হুমাম (৮৬১হি.)
০৬. ইবনূ নুজাইম (৯৭০হি.)

০৭. আব্দুর রহমান ইবনে মুহাম্মাদ শাইখী যাদাহ (১০৭৮হি.)
০৮. আলাউদ্দীন আল হাসকাফী (১০৮৮হি.)
০৯. ইবনু আবেদীন (১২৫২হি.)


প্রসিদ্ধ ফকিহ্গণ যাঁরা মালেকী ছিলেন :


০১. শিহাবুদ্দীন আল কারাফী (৬৮৪হি.)
০২. ইবনে রুশদ (৫৯৫হি.)
০৩. শামসুদ্দিন আর রুআইনী (৯৫৪হি.)
০৪. খলীল ইবনে ইসহাক আল জুনদী (৭৬৭হি.)
০৫. শিহাবুদ্দীন আল বাগদাদী (৭৩২হি.)
০৬. ইবনূল হাজ্জ (৭৩৭হি.)
০৭. আব্দুল ওহহাব ইবনে আলী (৪২২হি.)
০৮. আবু উমর আল কুরতুবী (৪৬৩হি.)
০৯. আবুল ওয়ালীদ আল কুরতুবী (৫২০হি.)
১০. মুহাম্মাদ আদ দূসুকী (১২৩০হি.)


প্রসিদ্ধ ফকিহ্গণ যাঁরা শাফিয়ী ছিলেন :


০১. আবূ ইসহাক আশ শিরাজী (৪৭৬হি.)
০২. জালালুদ্দীন আস সুয়ূতি (৯১১হি.)
০৩. আবুল হাসান আল মাওয়ারদী (৪৫০হি.)
০৪. মুহীউদ্দীন আন নববী (৬৭৬হি.)
০৫. ইবনূল মুলাক্কীন (৮০৪হি.)
০৬. আবুল কাসেম আব্দুল আজীজ (৬২৩হি.)
০৭. তাকীউদ্দীন আবুল বারাকাত (৮২৯হি.)
০৮. ইমামা গাজালী (৫০৫হি.)
০৯. ইমামুল হারামাইন আব্দুল মালেক (৪৭৮হি.)
১০. শামসুদ্দীন আর রমল্লী (১০০৪হি.)


প্রসিদ্ধ ফকিহ্গণ যাঁরা হাম্বলী ছিলেন :


০১. ইবনু কুদামা (৬২০হি.)
০২. ইবনু বাত্তাহ আল উকবারী (৩৮৭হি.)
০৩. আবুল হাসান আল মারদাভী (৮৮৫হি.)
০৪. শামসুদ্দীন আবুল ফরজ (৩৮১হি.)
০৫. ইবনু মুফলিহ্ (৭৬৩হি.)
০৬. আবু মুহাম্মাদ আল মাবদেসী (৬২৪হি.)
০৭. ইব্রাহীম ইবনে মুহাম্মাদ (১৩৫৩হি.)
০৮. আবুল কাসেম আল খেরাকী (৩৩৪হি.)
০৯. ইবনু কুতাইবা (১০৩৩হি.)
১০. ইবনু তাইমিয়া (৭২৮হি.)

উম্মাহর এসকল প্রসিদ্ধ মুফাস্সির, মুহাদ্দিস, ফকিহ-এর মাধ্যমেই আমরা লাভ করেছি তাফসীর, উসূলে তাফসীর, হাদিস, উসূলে হাদিস, ফিকহ্ ও উসূলে ফিকহ্ সহ সকল প্রকার ইলম।

(Mahmud Hasan)

যে ব্যক্তি আমাকে সপ্নে দেখে, সে অবশ্যই আমাকে দেখেছেঃ (হাদিস এর রেওয়াত সমুহ)



পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
গ্রন্থঃ সহীহ মুসলিম (ইফাঃ) 
অধ্যায়ঃ ৪৪/ স্বপ্ন 
হাদিস নম্বরঃ ৫৭২২ | 5722 | ۵۷۲۲
পরিচ্ছদঃ ১. নবী (ﷺ) এর বানীঃ যে ব্যক্তি আমাকে সপ্নে দেখে, সে অবশ্যই আমাকে দেখেছেঃ

৫৭২২। আবূ রবী সুলায়মান ইবনু দাঊদ আতাকী (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি আমাকে স্বপ্নে দেখে, সে আমাকে সত্যই দেখেছো কেননা শয়তান আমার রূপ ধারণ করতে পারে না।

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)





পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
গ্রন্থঃ সহীহ মুসলিম (ইফাঃ) 
অধ্যায়ঃ ৪৪/ স্বপ্ন 
হাদিস নম্বরঃ ৫৭২৩ | 5723 | ۵۷۲۳

পরিচ্ছদঃ ১. নবী (ﷺ) এর বানীঃ যে ব্যক্তি আমাকে সপ্নে দেখে, সে অবশ্যই আমাকে দেখেছেঃ

وَحَدَّثَنِي أَبُو الطَّاهِرِ، وَحَرْمَلَةُ، قَالاَ أَخْبَرَنَا ابْنُ وَهْبٍ، أَخْبَرَنِي يُونُسُ، عَنِ ابْنِ، شِهَابٍ حَدَّثَنِي أَبُو سَلَمَةَ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، أَنَّ أَبَا هُرَيْرَةَ، قَالَ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ " مَنْ رَآنِي فِي الْمَنَامِ فَسَيَرَانِي فِي الْيَقَظَةِ أَوْ لَكَأَنَّمَا رَآنِي فِي الْيَقَظَةِ لاَ يَتَمَثَّلُ الشَّيْطَانُ بِي " .
وَقَالَ فَقَالَ أَبُو سَلَمَةَ قَالَ أَبُو قَتَادَةَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " مَنْ رَآنِي فَقَدْ رَأَى الْحَقَّ " .
وَحَدَّثَنِيهِ زُهَيْرُ بْنُ حَرْبٍ، حَدَّثَنَا يَعْقُوبُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، حَدَّثَنَا ابْنُ أَخِي الزُّهْرِيِّ، حَدَّثَنَا عَمِّي، . فَذَكَرَ الْحَدِيثَيْنِ جَمِيعًا بِإِسْنَادَيْهِمَا سَوَاءً مِثْلَ حَدِيثِ يُونُسَ .

৫৭২৩। আবূ তাহির ও হারামালা (রহঃ) ... আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি আমাকে স্বপ্নে দেখে, অচিরেই সে আমাকে জাগ্রত অবস্থায় দেখতে পাবে। কিংবা তিনি বলেছেন, সে যেন আমাকে জাগ্রত অবস্থায় দেখতে পেল। কেননা শয়তান আমার রূপ ধারণ করতে পারে না। রাবী আরো বলেন, আবূ সালামা বলেছেন, আবূ কাতাদা বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি আমাকে দেখল সে নিশ্চয়ই সত্যই দেখল।

(সহিহ)

এবং যুহায়র ইবনু হারব (রহঃ) ... যুহরী (রহঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি হাদীস দু'টির সবটুকু তাদের উভয়ের সনদে ইউনুসের হাদীসের সম্পূর্ণ অনুরূপ সমানভাবে উল্লেখ করেছেন।



পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
গ্রন্থঃ সহীহ মুসলিম (ইফাঃ) 
অধ্যায়ঃ ৪৪/ স্বপ্ন 
হাদিস নম্বরঃ ৫৭২৪ | 5724 | ۵۷۲٤

পরিচ্ছদঃ ১. নবী (ﷺ) এর বানীঃ যে ব্যক্তি আমাকে সপ্নে দেখে, সে অবশ্যই আমাকে দেখেছেঃ
৫৭২৪। কুতায়বা ইবন সাঈদ ও ইবন রুমূহ (রহঃ) ... জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি ঘুমের মধ্যে (স্বপ্নযোগে) আমাকে দেখল, সে অবশ্যই আমাকে দেখল। কেননা শয়তানের পক্ষে আমার রূপ ধারণ করা সঙ্গত (সম্ভব) নয়। তিনি আরও বলেছেন, তোমাদের কেউ যখন বাজে স্বপ্ন দেখে, সে যেন ঘুমের মাঝে তার সাথে শয়তানের কারসাজির খবর কাউকে না দেয়।

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)




পাবলিশারঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
গ্রন্থঃ সহীহ মুসলিম (ইফাঃ) 
অধ্যায়ঃ ৪৪/ স্বপ্ন 
হাদিস নম্বরঃ ৫৭২৫ | 5725 | ۵۷۲۵
পরিচ্ছদঃ ১. নবী (ﷺ) এর বানীঃ যে ব্যক্তি আমাকে সপ্নে দেখে, সে অবশ্যই আমাকে দেখেছেঃ

৫৭২৫। মুহাম্মদ ইবনু হাতিম (রহঃ) ... জাবির ইবনু আবদুল্লাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ যে ব্যক্তি ঘুমের মধ্যে (স্বপ্নযোগে) আমাকে দেখল, সে অবশ্য আমাকেই দেখল। কেননা শয়তানের পক্ষে সঙ্গত (সম্ভব) নয় যে, সে আমার সাদৃশ্য গ্রহণ করে।


হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)