শুক্রবার, ৪ মার্চ, ২০১৬

টয়লেটে কুলুখ নেয়ার পর পানি ব্যবহার করাঃ


লিখেছেন : কলম সৈনিক

আহলে হাদীস সর্দার মুজাফফর বিন মুহসিন নামক উদ্ভট মুফতী বলেছেন,
পানি থাকা অবস্থায় কুলুখ নেয়া শরিয়ত সম্মত নয়। কুলুখ নেয়ার পর পানি ব্যবহার সম্পর্কিত যে হাদীস বর্ণনা করা হয়, তা মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন।
বেচারা আরো বলেন,
“সুতরাং সামাজিক ভাবে প্রতিষ্ঠিত উক্ত মিথ্যা প্রথাকে অবশ্যই উচ্ছেদ করতে হবে। পানি থাকা অবস্থায় যেন কোন স্থানে কুলুখের স্তুপ সৃষ্টি না হয়”।
দেখুন,
জাল হাদীসের কবলে রাসুলুল্লাহ (সা) এর সালাত/৩৯

জবাবঃ

কুলুখ ব্যবহার করে পানি নেয়া সংক্রান্ত সহীহ হাদীসঃ
___________________________
হযরত আলী (রা) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, তোমাদের পূর্ববর্তীরা শক্ত পায়খানা করতো। আর তোমরা কর নরম ভাবে। সুতরাং তোমরা পাথর (কুলুখ) ব্যবহার করে তারপর পানি ব্যবহার কর।
রেফারেন্সঃ
আস সুনানুল কুবরা, মুসান্নাফ ইবনি আবী শাইবাহ।

ইবনু হাজার আসকালানী (রাহ) এর পর্যালোচনাঃ
_________________________
ইমাম ইবনু হাজা আসকালানী (রাহ) বলেন, এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ইমাম ইবনু আবী শাইবাহ এবং ইমাম বাইহাকী হাসান সনদে।
অর্থাৎ হাদীসটি সহীহ।
রেফারেন্সঃ
আদ দিরায়াহ-১/৯৭
হাদীসটির পূর্ণ সনদ উল্লেখ করেছেন ইমাম যায়লায়ী (রাহ)।
রেফারেন্সঃ
নাসবুর রায়াহ-১/২১৮

ইমাম নববী (রাহ) এর ফতোয়াঃ
_________________
ইমামগণ ঐক্যমত পোষণ করেছেন যে, পানি এবং পাথর দ্বারা পবিত্রতা হাসিল করা উত্তম। আর তা হচ্ছে প্রথমে পাথর (কুলুখ) দ্বারা এবং তারপর পানি দ্বারা পবিত্রতা হাসিল করা। তবে কেউ যদি এ দুটি (পাথর এবং পানি) এর কোন একটি দ্বারা পবিত্রতা হাসিল করে, তবে তা জায়েয।
রেফারেন্সঃ
শারহু মুসলিম লিন নাওয়াওয়ী-৩/১৬৩
এমন কথাই বলেছেন জামিউত তিরমিযীর ব্যাখ্যাকার মুবারকপুরী।
তুহফাতুল আহওয়াযী-১/৭৮

ইবনু তাইমিয়্যাহ এর ফতোয়াঃ
__________________
ইবনু তাইমিয়্যাহ বলেন,
প্রথমে কুলুখ ব্যবহার এবং পরে পানি ব্যবহার করে পবিত্রতা হাসিল করা- এটাই হচ্ছে উত্তম কাজ। ইমাম আহমাদ বিন হাম্বাল ও এটাকে জায়েয বলেছেন। তাছাড়া আরেকটি দলীল হলো, মদীনা মুনাওওয়ারার আনসারগণ পবিত্রতা হাসিলের জন্য পাথর এবং পরে পানি ব্যবহার করতেন। আর এর স্বপক্ষে আল্লাহ আয়াত নাযিল করেছেন,
(সূরা তাওবাহ,১০৮)

রেফারেন্সঃ
শারহু উমদাতিল ফিকহ
তাহারাত অধ্যায়, টয়লেটে প্রবেশ করা পরিচ্ছদ।

______________
সম্মানিত পাঠক,
তাহলে ব্যাপারটি কী দাঁড়ালো?
প্রশ্রাব পায়খানার পর পবিত্রতা হাসিলের জন্য উত্তম হলো প্রথমে কুলুখ এবং পরে পানি ব্যবহার করা উত্তম। আর এটাই সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত, যা উপরে আলোচনা করা হলো।
কিন্তু এসব সহীহ হাদীস এবং বিশ্ববিখ্যাত মুহাদ্দিসগনণের রায় এমনকি তাদের ইমামের ফতোয়া উপেক্ষা করে নামধারী আহলে হাদীস সর্দার মুজাফফর বিন মুহসিন বলে দিলেন, সমাজে প্রচলিত কুলুখ ব্যবহার একটি
“মিথ্যা প্রথা”!!!!!!
আর এ সংক্রান্ত হাদীস নাকি
মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন!!!!!!!
আজব খেলা!
_________________
লেখাটি শেয়ার / কপি করুন। প্রচার করুন। সকলকে এ প্রতারণা সম্পর্কে সচেতন করুন।

রাসুলগণের সুন্নাত চারটি। লজ্জা করা, আতর ব্যবহার করা, মিসওয়াক করা, এবং বিবাহ করাঃ



নামধারী আহলে হাদীস সর্দার মুজাফফর বিন মুহসিন বলেছেন, নীচের হাদীসটি নাকি দুর্বল!!
দেখুন,
জাল হাদীসের কবলে রাসুলুল্লাহ (সা) এর সালাত/ ৩৪
হাদীসঃ
হযরত আবু আইয়ূব (রা) থেকে বর্ণিত, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, রাসুলগণের সুন্নাত চারটি। লজ্জা করা, আতর ব্যবহার করা, মিসওয়াক করা, এবং বিবাহ করা।
আরবী এবারতঃ
حدثنا سفيان بن وكيع حدثنا حفص بن غياث عن الحجاج عن مكحول عن أبي الشمال عن أبي أيوب قال قال رسول الله صلى الله عليه وسلم أربع من سنن المرسلين الحياء والتعطر والسواك والنكاح
হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ইমাম তিরমিযী (রাহ) তার জামি’তে। বর্ণনা শেষে তিনি বলেছেন, হাদিসটি হাসান (সহীহ)।
তিনি বলেছেন,
حديث حسن غريب
রেফারেন্সঃ
জামি তিরমিযি- ৩/৩৮২
ফাতহুল গাফফার -৩/১৩৯৬
কেউ কেউ এ হাদীসকে দুর্বল বলার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু মুবারকপুরী তার জবাব দিয়েছেন। বলেছেন,
وقد عرفت أنه مجهول إلا أن يقال : إن الترمذي عرفه ولم يكن عنده مجهولا ، أو يقال إنه حسنه لشواهده
অর্থাৎ, আমি এ হাদিসের একজন রাবী সম্পর্কে জানিনা। তিনি মাজহুল (অপরিচিত)। তবে ইমাম তিরমিযি (রাহ) হয়ত তাকে চিনতেন এবং এ রাবী তাঁর নিকট অপরিচিত ছিলেন না। অথবা তিনি হাদীসটিকে অন্যান্য সনদ থাকার কারণে ‘হাসান’ বলেছেন।
রেফারেন্সঃ
তুহফাতুল আহওয়াযী।
এ সনদ ছাড়াও অন্য সনদে এ হাদিসটি বর্ণিত হয়েছে-
رَوَى هَذَا الْحَدِيثَ هُشَيْمٌ ، وَمُحَمَّدُ بْنُ يَزِيدَ الْوَاسِطِيُّ ، وَأَبُو مُعَاوِيَةَ ، وَبِهِ غَيْرُ وَاحِدٍ عَنِ الْحَجَّاجِ ، عَنْ مَكْحُولٍ ، عَنْ أَبِي أَيُّوبَ
এ সনদে কিন্তু সেই মাজহুল (অপরিচিত) রাবী নেই, যাকে নিয়ে কেউ কেউ সন্দেহ পোষণ করেছিলেন।
রেফারেন্সঃ
জুয উ ইবনিদ দিমইয়াতী-১৩
হামযা আহমাদ যাইন ও বলেছেন, হাদীসটির সনদ হাসান। অর্থাৎ হাদীসটি সহীহ।
রেফারেন্সঃ
শুয়াবুল ঈমান-২৩৫৮১
আলবানী কিন্তু প্রথমে দুর্বল বললেও পরে অন্য স্থানে এ হাদিসটিকে হাসান বলতে বাধ্য হয়েছেন।
382 - [ 7 ] ( حسن )
وعن أبي أيوب قال : قال رسول الله صلى الله عليه وسلم : " أربع من سنن المرسلين : الحياء ويروى الختان والتعطر والسواك والنكاح " . رواه الترمذي
রেফারেন্সঃ
মিশকাতুল মাসাবীহ-৩৮২- ১/৮২
যেখানে পর্যালোচনা করে হাদীসটিকে হাসান তথা সহীহ এর পর্যায়ের ব্যাপারে সিদ্দান্ত দেয়া হয়েছে, সেখানে নামধারী আহলে হাদিস সর্দার মুজাফফর কিন্তু এক পায়ে খাঁড়া।
চোখ বন্ধ করে ফোতোয়া দিয়ে দিলেন, হাদীসটি দুর্বল!!!!!

https://smartanalysis.wordpress.com/

মুযাফফর বিন মুহসিনঃ জালিয়াতির এক জীবন্ত প্রমাণ


লিখেছেন : কলম সৈনিক
____________________________
লেখাটি কপি / শেয়ার করুন, যাতে ‘জাল হাদীসের কবলে রাসুল (সাঁ) এর সালাত’ নামক বইটি পড়ে যারা বিভ্রান্ত হচ্ছেন, তাদের নিকট এই বার্তাটি পৌঁছে যায়।
প্রথমে যা জেনে নিলে ভাল হয়ঃ
________________
যয়ীফ হাদীস বলা হয় ঐ হাদীসকে যার সনদের মধ্যে হাদিস কবুল হবার শর্তগুলোর মধ্যে কোন একটি শর্ত অনুপস্থিত থাকে।
কিন্তু জাল হাদিস বলা হয় ঐ হাদিসকে যার সনদের মধ্যে মিথ্যাবাদী বর্ণনাকারী থাকে।
মোট কথা, জাল এবং যয়ীফ হাদীসের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। যয়ীফ হাদীসকে জাল হাদিস বলা হয় না, আবার জাল হাদীসকে ও যয়ীফ বা দুর্বল হাদিস বলা হয়না।
এ পার্থক্য যে করতে পারেনা, আবার হাদীস নিয়ে লম্বা লম্বা কথা বলে, সে হচ্ছে এ যামানার এক জঘন্য দাজ্জাল যে নাকি মুসলমানকে বিভ্রান্ত করার টিকাদারী নিয়েছে।
মুযাফফর বিন মুহসিনঃ
লা-মাযহাবী, নামধারী আহলে হাদিসদের জনপ্রিয় শায়েখ।
উনি আমাদের সালাত যে হচ্ছেনা তা প্রমাণ করার জন্য একটি বই লিখেছে। নাম দিয়েছে,
‘জাল হাদীসের কবলে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সালাত’।
বইটির কভার দেখলে আপনি এ নামটি বাংলাতে এভাবেই দেখবেন। কিন্তু পাতা উল্টালেই পরের পৃষ্টার উপরে দেখবেন লোকটা বইটির নাম আরবীতে লিখেছে। লিখেছে-
صلاة الرسول صلي الله عليه وسلم بقبضة الاحاديث الضعيفة والموضوعة
আমরা যদি এ আরবী লাইনের অনুবাদ করি, তবে অর্থ দাঁড়াবে,
যয়ীফ ও জাল হাদীসের কবলে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সালাত।
তারমানে আরবীতে উনি বলতে চেয়েছে, বইটি যয়ীফ এবং জাল হাদীসের সমন্বয়ের আলোকে লিখা হয়েছে।
কিন্তু বইটির কভার পেইজে বাংলা নামের মধ্যে শুধু জাল হাদিসের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
তাহলে প্রশ্ন হলো,
আরবী নামের সেই যয়ীফ হাদীস গেল কই?
তাহলে কি সে আরবী অনুবাদ করতে জানেনা?
নাকি সে জানেনা যয়ীফ হাদীস কাকে বলে আর জাল হাদিস কাকে বলে? এ দুটুর মধ্যে পার্থক্য কী?
তারমানে সে আরবী ভাষা জানেনা?
বাংলা বই কয়েকটা জোগাড় করে সে বই লিখেছে?
আপনি যদি বলেন, অসতর্কতা বশতঃ বইটির মূল নাম থেকে বাদ পড়ে গেছে। তা কীভাবে সম্ভব? যে বই লেখা হয়েছে আমাদের সালাতকে জাল প্রমাণিত করার জন্য এত সতর্কতা নিয়ে? এত সিরিয়াস হয়ে? সে সিরিয়াস বইয়ের নামের মধ্যে অসতর্কতা?
কেউ তা মেনে নিবে?
না।
তাছাড়া আমি এখানে যে স্ক্রীন শট দিয়েছি, সেটা হচ্ছে দ্বিতীয় সংস্করণ। যদি একান্তই অসতর্কতার কারণে হয়ে থাকতো, তবে সেটা পরে শুদ্ধ করা হত।
কিন্তু তা করা হয়নি।
তাঁর মানে?
লেখকের নিকট তার লিখিত বইয়ের আরবী নাম আর বাংলা নাম একই। এখানে কোন ভুল নেই।
আপনি যদি বলেন, লেখক এখানে নাম দীর্ঘ হয়ে যাবার ভয়ে শর্ট করে লিখেছে।
এটা কি গ্রহণযোগ্য ?
অবশ্যই নয়।
আরবীতে বইয়ের নাম লিখলেন- জাল ও যয়ীফ হাদীসের কবলে
আর বাংলাতে তা শর্ট হয়ে তা হয়ে গেল কেবল জাল হাদিসের কবলে?
শর্ট করার নামে জাল হাদিস এর কথা উল্লেখ করে বুঝানো হলো- জাল আর যয়ীফ হাদিস একই, তাই উভয়টির নাম উল্লেখ না করে একটিই উল্লেখ করা হলো!
আরো অবাক লাগে,
এই বই পড়ে নাকি জামায়াতে ইসলামীর মাওলানা সাঈদী বলেছেন, আমি ৬৮ বছর পর আজ নতুন করে নামাজ শিখলাম!!

সম্মানিত পাঠক,
তো বইয়ের নামের মধ্যে যখন এই জালিয়াতি, তখন ভাবুন, ভেতরে কী পরিমাণ জালিয়াতির স্তুপ রয়েছে।
https://www.facebook.com/photo.php?fbid=452038414978883
https://www.facebook.com/photo.php?fbid=452775198238538
https://www.facebook.com/photo.php?fbid=454918454690879

মঙ্গলবার, ১ মার্চ, ২০১৬

এত বড় জানাযা আর কোন দিন দেখি নিঃ আল্লাহু আকবার



→ শহীদ মমতাজ ক্বাদেরী (রহঃ) এর জানাযায় লক্ষ কোটি নবীপ্রেমিক সুন্নী মুসলিম জনতার জোয়ার উঠেছে। নবীর শানে কুটুক্তি কয়ায় তিনি একজনকে গুলি করে হত্যা করেছিলেন। তার এই ফাসিঁর বিরোদ্ধে পাকিস্তানের সুন্নী মুসলিম জনতার বিক্ষোভ সমাবেশ।

আল্লাহ পাক ওনাকে জান্নাতুল ফেরদাউস নসীব করুন।-- আমিন
৩ মিনিটের এই ভিডিওটি দেখুনঃ

https://goo.gl/UJbYVA